×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • গুছিয়ে নেওয়ার রাজনীতি

    4thpillars ব্যুরো | 12-03-2021

    গুছিয়ে নেওয়ার রাজনীতি

    আসন্ন বিধানসভা ভোটের টিকিট না পেলেই দল বদলের হিড়িক দেখা যাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। জনসেবা করার জন্য উদগ্রীব নেতারা, নাকি সবটাই আখের গোছানোর পালা? এই নিয়েই www.4thpillars.com গত 11 মার্চ (বৃহস্পতিবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রজত রায় এবং গৌতম লাহিড়ী।

    1) দলবদল যারা করছেন, তাঁরা নিশ্চিতভাবেই আদর্শগত কারণে করছেন না। বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতায় থাকার জন্যই তাদের এই দলবদল।

    2) বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থীপদ না পেয়েই অনেকে বিদ্রোহ করছেন। দলবদলু বিধায়করা যে দলে যাচ্ছেন, সেই দল থেকেও যে তারা পরে অন্য দলে চলে যাবেন না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

    3) বাম আমলেও কিছু দলবদলের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনকার মতো এমন ব্যাপকমাত্রায় দলবদল এই রাজ্যে কখনও হয়নি। কমবয়সীদের পাশাপাশি শাসক দলের অশীতিপর বিধায়কও টিকিট না পেয়ে দল ছাড়ছেন। তাঁরা যে দলে যাচ্ছেন, সেই বিজেপি কিন্তু এমন প্রবীণদের গুরুত্বহীন মার্গদর্শকমন্ডলীর সদস্য করে রাখে। ঠিক যেমন আডবানীকে করে রাখা হয়েছে। এটা বোধহয় দলবদল করা প্রবীণরা জানেন না।

    4) বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সুনির্দিষ্ট মতাদর্শ নেই। দল গঠনের সময় থেকে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করাই তৃণমূলের একমাত্র রাজনৈতিক লক্ষ্য হয়ে ওঠে। বর্তমানে বামপন্থার মোড়কে একটা পপুলিস্ট বা জনমোহিনী রাজনীতিই তৃণমূলের ট্রেডমার্ক স্টাইল। সুনির্দিষ্ট মতাদর্শ না থাকায় শাসক তৃণমূল থেকে যেমন বহু মানুষ বিজেপিতে যাচ্ছেন, তেমনই মতাদর্শগত দিক থেকে শক্তিশালী বামেদের থেকেও জনপ্রতিনিধিরা বিজেপিতে যাচ্ছেন। দলবদলু নেতা কিংবা সাধারণ জনতা— কেউই মতাদর্শ নিয়ে বেশি ভাবেন না।

    5) বামপন্থী দলগুলি থেকেও যে কেউ দল বদলে শাসক শিবিরে যাবেন না, এই নিশ্চয়তা এখন আর দেওয়া যায় না। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু বামপন্থী সদস্য, জনপ্রতিনিধি বিজেপিতে গেছেন৷ একটা বিষয় স্মরণে রাখতে হবে বিজেপির কিন্তু সুনির্দিষ্ট একটা রাজনৈতিক লক্ষ্য আছে। অমিত শাহ বলেছেন, দল বদল করার পর ব্যক্তিকে বিজেপির আদর্শ মেনেই চলতে হবে। অনেকেই হয়তো জনপ্রতএহবেন না, কিন্তু বিশাল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা পাবেন।

    6) দলত্যাগ বিরোধী আইনকে আরও শক্তপোক্ত করা উচিত। স্পিকার অনেকক্ষেত্রেই তাঁর নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। শাসক দলে যোগ দেওয়া জনপ্রতিনিধিকে স্পিকার নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট কর‍তে বলছেন না। সেক্ষেত্রে আইনসভার স্পিকারের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকে কিছুটা কমিয়ে আনা যেতে পারে।

    7) দলত্যাগ বিরোধী আইনে দু'টো বিষয় মাথায় রাখতে হবে। একদিকে যেমন দলের সদস্য যাতে দলের ভিতরে তাঁর মতামত রাখতে পারেন, সেই স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে। আবার দলবদল করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সেই সদস্যকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।


    4thPillars ব্যুরো - এর অন্যান্য লেখা


    বর্তমানে তিনি একজন পেশাদার লেখক, লেখালিখি নিয়েই থাকেন। তাঁর চারটি বই ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।

    জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনায় শিক্ষাবিদ পার্থ প্রতিম রায় এবং JBNSTS-এর অধিকর্ত্রী, অধ্যাপিকা মৈত্রী

    কৃষকদের দাবি মেনে সরকারের আইন প্রত্যাহারের কোনও লক্ষণ নেই। দু'পক্ষই অনড়।

    Journalists Gautam Lahiri and Sudipta Sengupta discuss Departed Congress Leader Somen Mitra

    মানুষ কখন প্রার্থনা করবে, তা রাষ্ট্র ঠিক করে দেবে না।

    লকডাউন আর আনলকের তামাশার মানেটা কী?

    গুছিয়ে নেওয়ার রাজনীতি-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested