বাংলা দখল করলে বিজেপির উত্তরাপথ বিজয় সম্পূর্ণ হয়। অথচ বাংলায় দলের অতীত সামান্যই। তাই রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দকে ধরে কেন্দ্রের শাসকের বাঙালিয়ানা দেখানোর চেষ্টা? এই নিয়েই www.4thpillars.com গত 5 মার্চ (শুক্রবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা এবং রজত রায়।
1) বাংলার জনগণের মন করতে গিয়ে বিজেপি বাংলার মনীষীদের আত্মস্থ করেনি, একপ্রকার আত্মসাৎ করেছে। বিজেপি নেতারা রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দের ভাবাদর্শকে গ্রহণ করেননি, তাঁদেরকে অবলম্বন করে ভোট বৈতরণী পেরোতে চাইছেন।
2) বিজেপির ক্ষেত্রে মুশকিলটা হল, তাদের কোনও গৌরবোজ্জ্বল অতীত নেই, যেটাকে ভাঙিয়ে তারা নির্বাচনী সাফল্য পেতে পারে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সংঘ পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত বিতর্কিত। এই পরিস্থিতিতে বাংলা ও বাঙালির মন জয় করতে তাদের রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্রের মতো কিছু আইকনকে তুলে ধরতে হচ্ছে।
3) হিন্দু মহাসভা থেকে জনসংঘ হয়ে আজকের বিজেপি— বাংলায় বিজেপির কিন্তু ধারাবাহিক একটা চলন আছে। এতকাল বিজেপি বাংলার মসনদ নিয়ে না ভাবলেও, গত লোকসভায় 40% ভোট পাওয়ার পর, তারা বাংলার ক্ষমতা দখলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
4) উত্তর ভারতের দল হিসাবে পরিচিত বিজেপির এক শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ছাড়া সেই অর্থে বড় কোনও বাঙালি আইকন নেই। তাই তাদের অতীতের পাতা থেকে নানা বাঙালি আইকনকে খুঁজতে হচ্ছে। এখনও তারা তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম জানাতে পারেনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশ কিছু তারকাকে তারা প্রস্তাব দিয়েছে দলে যোগদানের জন্য। বোঝাই যাচ্ছে, তারা একটা ভরসাযোগ্য মুখ চায়।
5) একটি সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে, বাংলায় সাম্প্রদায়িক ইস্যু নিয়ে ভোটে সফল হওয়া সমস্যার। তাই বিজেপিকে বাংলার জন্য অন্য পন্থা নিতে হচ্ছে। বাঙালি আবেগই এখন বিজেপির পুঁজি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাই দুর্বোধ্য উচ্চারণে বাংলা কবিতা পড়ে শোনাচ্ছেন।
6) সংস্কৃতি বা ক্রীড়া জগত থেকে কেউ রাজনীতির ময়দানে উঠে আসছেন মানেই যে তিনি অযোগ্য হবেন এমনটা নয়। বাম আমলেও চলচ্চিত্র জগতের বেশ কিছু বড় নাম সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তৃণমূল আমলে 'সেলেব্রিটি'দের রাজনীতিতে আসার প্রবণতা বেড়েছি। বঙ্গ বিজেপিও এই পন্থা অনুসরণ করছে।
7) এককালে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের যথেষ্ট সুনাম থাকলেও, তাঁদের অনেকেরই রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক আচরণে বুদ্ধিজীবী শব্দটাই গালাগালের প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গোখলে বলেছিলেন, আজ বাংলা যা ভাবে, বাকি ভারত তা আগামীকাল ভাবে। মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ার তাঁর বহুদিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শিবসেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। এই রাজ্যেও হয়তো মহারাষ্ট্র ফর্মুলার প্রয়োগ হতে দেখা যাবে। তবে এইসবই সম্ভাবনার বিষয়।
এক্সিট পোল বলছে বাংলায় এগিয়ে তৃণমূল। বাস্তবে ফল কী হবে?
দায়িত্ববান নাগরিকের মতো এবার কি বাজিমুক্ত কালীপুজো পালন করবে জনগণ?
পদার্থবিজ্ঞানে এবারের অন্যতম নোবেল বিজয়ী রজার পেনরোজ। কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে তাঁর কাজের তত্ত্বগত ভিত্তি বাঙ
ভ্যাকসিনের ভাল খারাপ সম্পর্কিত তথ্য হাতে না এলে সাধারণ মানুষের মনে ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় কাটবে না।
দীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে, মৃত জনপদ পেরিয়ে আমাদের একাকীত্ব সেও কী কম বড় প্রার্থনা!
এবারের ভোটে রাজনৈতিক বক্তব্যটা কী বিভিন্ন দলের?