বাংলায় এসে কৃষক নেতাদের ডাক 'বিজেপিকে একটাও ভোট নয়'। ভোটবাক্সে তার মানে কোন বোতামটা টিপতে বলছেন তাঁরা? এই নিয়েই www.4thpillars.com গত 14 মার্চ (রবিবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রজত রায় এবং শুভাশিস মৈত্র।
1) 'নো ভোট টু বিজেপি' স্লোগানের মূল উদ্দেশ্য হল, বিজেপিকে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করা। কৃষক আন্দোলনের নেতারাও এই স্লোগান দিয়ে বলছেন, তাঁরা কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করবেন না তাঁদের লক্ষ্য শুধু ভোটগুলো যেন বিজেপির কাছে না যায়। এবার সেই ভোট সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেস— যে কোনও বিজেপি বিরোধী দলের কাছে যেতে পারে। আবার ভোট ভাগাভাগি হয়ে বিজেপির সুবিধাও হতে পারে।
2) কৃষক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এক ধরনের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষকদের মধ্যে। এই রাজনৈতিক সচেতনতাই তাঁদের রাষ্ট্রের যাবতীয় শক্তির সামনেও নত হতে দেয়নি। কৃষকরা এখনও পর্যন্ত ধৈর্যের পরীক্ষায় সফল। সরকারও তাঁদের ধরপাকড় করতে পারছে না।
3) 'এই নো ভোট টু বিজেপি' স্লোগানের মধ্যে একটা অস্পষ্টতা আছে। এই স্লোগান বলছে বিজেপিকে ভোট না দিতে। তাহলে মানুষ কাকে ভোট দেবে? নেতিবাচক ভোট বলে তো কিছু হয় না। এই প্রচারের ফলে বিজেপি-বিরোধী ভোট যদি বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যায় তাহলে বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে। বিষয়টা কৃষক আন্দোলনের নেতারা জানলেও তাঁরা কোনও বিশেষ দলের হয়ে প্রচার করতে পারছেন না, কারণ এটা একটা অরাজনৈতিক মঞ্চ। আর তাঁদেরও কিছু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে।
4) বাংলার ভোটে কৃষক আন্দোলনের নেতারা কতখানি প্রভাব রাখতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। প্রথমত, কৃষকদের মূল সমস্যাগুলো না বুঝিয়ে ভোটের আগে শুধু বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানালে, পুরো বিষয়টা তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য নাও হতে পারে। দ্বিতীয়ত, বাংলায় কৃষক আন্দোলনের প্রভাব মূলত শহরকেন্দ্রিক। এখানকার কৃষক নেতারাও শহরকেন্দ্রিক। তাই গ্রামের কৃষকদের সমস্যার সঙ্গে দিল্লি সীমান্তের চাষিদের সমস্যাকে মেলানো কষ্টকর।
5) নানা মত নিয়ে গঠিত হয়েছে এই অরাজনৈতিক মঞ্চ। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে থাকা যে কোনও একটি দলকেও যদি তাঁরা সমর্থন জানান, তাহলে অনেকেই এই মঞ্চের সঙ্গে আর যুক্ত থাকতে চাইবেন না। তাই সব দিক বিবেচনা করেই কোনও বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করা সম্ভব হচ্ছে না কৃষক নেতাদের পক্ষে। তাঁরা শুধু বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন।
সংবিধান অনুসারে আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে। বাংলায় কি এখন সংবিধানের শাসন চলছে না?
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফা ভোটের দিনই বাংলাদেশে মন্দিরে মন্দিরে পূজারত মোদী।
প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও চলছে স্বেচ্ছাচারী শাসন, যা রবীন্দ্র-ভাবনার পরিপন্থী৷
ষষ্ঠ পর্বে গায়ক ঋষি চক্রবর্তী-র মুখে তাঁর ঘরবন্দি জীবনের কথা।
বিদেশ ও প্রতিরক্ষার মধ্যে দলীয় রাজনীতি আনার ফলেই স্বচ্ছতার অভাব।
বিদ্বেষ আর হিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে একটা সাদা রুমাল নিয়েও তাদের কেউ পথে নামেনি।