×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • বাংলায় কি এখন দু'টি সরকার?

    4thpillars ব্যুরো | 12-05-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী এবং শুভাশিস মৈত্র।

    বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসা ও সন্ত্রাস রুখতে কেন্দ্র অতি সক্রিয়। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে হিংসার শিকার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতেই শুধু যাচ্ছে, সঙ্গে বিজেপি নেতারা। সংবিধান অনুসারে আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারে পড়ে। বাংলায় কি এখন সংবিধানের শাসন চলছে না? এই বিষয়ে গত 11মে www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী এবং শুভাশিস মৈত্র উপস্থিত ছিলেন। 

     

     

    1) যখন রাজ্য এবং কেন্দ্রে দু’টো ভিন্ন সরকার থাকে তখন দুটো সরকারের মধ্যে একটা অবিশ্বাসের সম্পর্ক তৈরি হয়। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, অন্যান্য রাজ্যেও একই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে।

     

    2) উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শিক্ষার হার অত্যন্ত কম ফলে সেখানে মেরুকরণের রাজনীতি করে বিজেপি সাফল্য পেয়েছে। কিন্তু সেই এক জিনিস পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে খাটেনি।

     

    3) মমতার সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের যে ক্ষোভ ছিল সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের অপদার্থতা অনেকটাই প্রশমিত করে দিয়েছে, সে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হোক বা নাগরিকত্ব আইন। তার ছাপ আমরা বাংলার ভোটের ফলাফলে দেখতে পেয়েছি।

     

    4) এই রাজ্যে বিজেপির আচার-আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, মানুষ যে তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে, এটা তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই প্রথম থেকেই নির্বাচিত সরকারকে ব্যতিব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছে।

     

    5) পশ্চিমবঙ্গে ‘হিন্দুরা আক্রান্ত’ হচ্ছে, এরকম একটা মিথ্যা প্রচার বিজেপি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই রাজ্যে নির্বাচনী হিংসার এই রেওয়াজ নিন্দনীয়। কিন্তু এমন অসত্য সাম্প্রদায়িক প্রচার আগে কখনও দেখা যায়নি।

     

    6) রাজ্যে যেন দু'রকম সরকার চলছে বলে মনে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় দল শুধু আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেই দেখা করছেন। রাজ্যপালের মুখেও কোভিড নয়, শুধু রাজনৈতিক কথাবার্তা। সদ্য নির্বাচিত রাজ্য সরকারের ওপর এই অহেতুক খবরদারিতে কিন্তু রাজ্য এবং দেশ— সবদিকেই বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

     

    7) বিজেপির ভাবসাবের মধ্যে চিরায়ত ফ্যাসিবাদের ছাপ প্রকট। তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া জনমতকে তারা উপেক্ষা এবং অবজ্ঞা করার চেষ্টা করছে। জনমত তাদের পক্ষে গেলে তখন হয়তো তারা ধন্য ধন্য করত।


    4thpillars ব্যুরো - এর অন্যান্য লেখা


    এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য নেই নেতাদের, এক কে কত বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত শুধু তার‌ই তরজা চলছে।

    প্যালেস্টাইনে হিংসা বন্ধ করতে আলোচনার আহ্বান ইজরায়েলের মেধাজীবীদের।

    কেন্দ্রের শাসকের এজেন্ট উপাচার্য বিশ্বভারতীকে হিন্দুত্ববাদী করার এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছেন।

    মানবাধিকারও কি দলীয় রাজনীতির কুক্ষিগত আজ?

    করোনা পরিস্থিতি যখন সবচেয়ে ভয়াবহ, তখনই হাত গুটিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

    শুক্রবার আলোচনার পঞ্চম দিনে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক অভিরূপ সরকার।

    বাংলায় কি এখন দু'টি সরকার?-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested