পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফা ভোটের দিনই বাংলাদেশে মন্দিরে মন্দিরে পূজারত মোদী। লোকসভা ভোটে বারাণসীতে ভোটের দিন প্রধানমন্ত্রীর কেদারধামে ঈশ্বর ভজনার পুনরাবৃত্তি? এই বিষয় নিয়েই www.4thpillars.com গত 27 মার্চ (শনিবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক প্রণয় শর্মা এবং রজত রায়। First phase of West Bengal Assembly Elections 2021 see Prime Minister visiting temples in neighbouring Bangladesh.
1) বাংলাদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মতুয়াদের মন্দিরে গেলেনএক্স অথচ শেখ মুজিবুরের জন্মস্থানে গিয়েছেন বলে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। অথচ দু'টো জায়গাই কাছাকাছি। এখান থেকেই স্পষ্ট তিনি ধর্মীয় রাজনীতি করছেন।
2) নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে গিয়ে যে দাবি করেছেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের সপক্ষে আন্দোলন করেছেন এবং জেলে গিয়েছেন এমন তথ্য কিন্তু পাওয়া যায়নি। হ্যাঁ, কয়েকজন সংঘী অবস্থান করছিল বটে, কিন্তু সেখানে যে প্রধানমন্ত্রীও ছিলেন বা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এমন তথ্য নেই। থাকলে সরকার বা বিজেপি কেন তা প্রকাশ করছে না, যে কবে থেকে কবে তিনি জেলে ছিলেন। ফলে এই দাবি অত্যন্ত অবিশ্বাস্য।
3) এর আগে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী এত দীর্ঘ বাংলাদেশ সফরে যাননি। প্রধানমন্ত্রী ভারত বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়ে একটা নতুন দিশা দেখানোর চেষ্টা করছেন। তাই বাংলার ভোটের কথা মাথায় রেখেই তাঁর বাংলাদেশে যাওয়া— এমনটা ভাবলে বোধহয় অতিসরলীকরণ হয়ে যাবে।
তাঁরা বলছেন, প্রতিপক্ষ মানেই শত্রু নয়। একজন জনপ্রতিনিধির কাছে মানুষ এটাই তো শুনতে চায়।
দোষারোপের বাড়াবাড়িতে কেউ ধর্ম খুঁজছেন, কেউ কোনও ভাবধারা।
কেন্দ্রের শাসকের এজেন্ট উপাচার্য বিশ্বভারতীকে হিন্দুত্ববাদী করার এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছেন।
অতীতে আমেরিকার গণতান্ত্রিক ভাবনা এবং মূল্যবোধের যে কদর ছিল, তা এখন আর নেই বললেই চলে।
কলকাতার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের চোখে কেমন লকডাউন চিত্র, আজ দেখুন চতুর্থ পর্ব।
এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য নেই নেতাদের, এক কে কত বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত শুধু তারই তরজা চলছে।