সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বললেন ভোট দেওয়া মানেই গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র মানে শান্তিপূর্ণ বিরোধিতা, গণতন্ত্র মানে প্রশ্ন করা। আজকের মিডিয়া কি প্রশ্ন করতে ভুলে গেছে? এই বিষয়ে গত 3 জুলাই (শনিবার) www.4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক রজত রায় এবং গৌতম লাহিড়ী উপস্থিত ছিলেন।
1) সাংবাদিকরা আজকাল প্রশ্ন করেন না, তার অন্যতম কারণ তাঁরা নিজেরাই নিজেদের কী বলা উচিত বা উচিত নয় তা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। সরকারের গুণগান গাওয়াই যেন সাংবাদিকদের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল। সাংবাদিকরা আজকাল অনেক বেশি সত্যকে লুকিয়ে মিথ্যাচারণ করছেন মালিককে খুশি রাখার জন্য।
2) সাংবাদিকরা এখন কন্ট্রাক্ট লেবর। ফলে কন্ট্রাক্ট রিনিউ হবে কি হবে না এই অনেক বেশি ভাবিত থাকেন। তাই নিজের চাকরিকে বাঁচাতে তাঁরা অনেক বেশি করে মালিকের হয়ে কথা বলেন এবং গুনগান করেন।
3) আমেদাবাদ, গুজরাটে সাংবাদিকরা হাসপাতাল এবং শ্মশান ঘুরে তথ্য জোগাড় করে তা সরকারি তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে তা সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু বাংলায় এতগুলো মিডিয়া হাউজ থাকা সত্বেও কেউ এই কাজটা করল না, কেউ প্রকাশ্যে আনল না বাস্তব চিত্রের সঙ্গে সরকারি তথ্যের মিল অমিল কতটা।
4) সাংবাদিকতা হচ্ছে দু’ধারি তলোয়ার। এর দায় গণতন্ত্রের প্রতি।
5) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলছেন, গণতন্ত্র মানে প্রশ্ন করা। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশ মনে করছেন, শাসকের প্রতি নীরব আনুগত্যই গণতন্ত্র।
6) দেশের অন্দরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিদেশের সংবাদমাধ্যম তা নিয়ে সরব হয়, সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে৷ আর এই দেশে সংবাদ সঞ্চালিকা সরকার-বিরোধী প্রশ্ন শুনলে বক্তাকে ধমকে থামিয়ে দেয়।
7) ব্যক্তিগত ভাবে অনেক সাংবাদিকই সাহসিকতার সঙ্গে ভাল কাজ করছেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠীগুলো অনেকসময়ই তাদের যথার্থ ভূমিকা পালন করে না। দেশের প্রধানমন্ত্রীও তাই কোনও সাংবাদিক বৈঠক করেন না। নিজের পছন্দের কিছু সাংবাদিককে বাছাই করা প্রশ্নের উত্তর দেন।
8) সরকারের প্রধান কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দাবিকে প্রশ্নহীন ভাবে মেনে নেওয়া সংবাদমাধ্যমের কাজ নয়। বরং সেই দাবিগুলির যৌক্তিকতা কতখানি, তা খুঁজে বার করাও সংবাদমাধ্যমের কাজ। কিন্তু কী রাজ্যে, কী দেশে এমন কাজ কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
9) মালিকদের সন্তুষ্ট করে চাকরি সুরক্ষিত রাখতে সাংবাদিকরাও মালিকপক্ষের আজ্ঞাবহ দাস হিসাবে কাজ করছেন। আগেও মালিকপক্ষ মুনাফা করত, তবু সাংবাদিকেরা সরকার বা শাসকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে পারতেন। এখন সেই সুযোগও নেই।
10) জনপ্রতিনিধিদের মতো সাংবাদিকদেরও ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে জানানো উচিৎ। মুষ্টিমেয় যেসব সাংবাদিক সাংবাদিকতা নিয়ে বড় বড় জ্ঞান বরিষণ করেন, তাঁদের অনেকেরই উৎকোচ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ জানা গেলে।
আবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে ছোট রাজ্যের দাবি উঠছে। বাংলার মানুষ কী চায়?
সংসদের চলতি অধিবেশনে বিরোধীরা এককাট্টা, বিরোধী বৈঠকে রাহল, এবার কি কংগ্রেসের নেতৃত্বেও তিনি?
কোভিডে রাজ্যগুলিকে কীসের ভিত্তিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল? উত্তর নেই কেন্দ্রীস সরকারের কাছে।
কেন শুধু আমাদের দেশেই মানুষকে পয়সা খরচ করে কোভিডের টিকা নিতে হবে?
বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থতার কথা তুলে ধরলেই প্রয়োগ করা হচ্ছে এফআইআর থেরাপি!
দুর্নীতিমুক্ত আদর্শবাদী রাজনীতি করি বলে বুক ঠুকে বলার দম কতজন বিরোধী নেতার আছে?