কোভিডের টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ পিছিয়ে দেওয়া কি সত্যিই বিজ্ঞানসম্মত? টিকার দায় রাজ্যের ঘাড়ে ঝেরে ফেলার পরিণাম কী হতে পারে? এই বিষয়ে 16মে www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় চিকিৎসক শান্তনু ত্রিপাঠী, জীবপ্রযুক্তিবিদ সুস্মিতা ঘোষ ও সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী উপস্থিত ছিলেন।
1) ভারতে একসঙ্গে দু’টি টিকা বাজারে আসে, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, যার দু’টো ডোজের মধ্যে গ্যাপ থাকা উচিত 4-6 সপ্তাহ, এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, যার দু’টি ডোজের মধ্যে প্রথমে বলা হয়েছিল 4-6 সপ্তাহের ব্যবধান থাকা উচিত, পড়ে সেটা বাড়িয়ে 6-8 সপ্তাহ করা হয় এবং এখন বলা হচ্ছে 12-16 সপ্তাহ। প্রথমে যখন ভ্যাকসিন বানানো হয় এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলে তখন আন্দাজে 4 সপ্তাহের ব্যবধান রাখার কথা বলা হয়। পরে ব্রিটেন একটি পরীক্ষা করে এবং তাতে দেখা যায় 12 সপ্তাহ অবধি শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তখন তারা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময়টা বাড়িয়ে 12 সপ্তাহ করে। এবং এখানে যখন সেই খবর আসে তখন কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যের ব্যবধান বাড়িয়ে 6-8 সপ্তাহ করা হয়। যদিও এর নেপথ্যে কারণ স্পষ্ট নয়, যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে।
2) দ্বিতীয় ঢেউ যে আসতে পারে, এটা সাধারণ মানুষ থেকে সরকার কেউই পাত্তা দেয়নি। 18 থেকে 45 বছরের যাঁরা তাঁরাই সব থেকে বেশি কাজের জন্য বাইরে বেরোন, এবং তাঁরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার হন। অথচ, তাঁদের টিকাকরণের কথাও তখন ভাবা হয়নি। এখন হচ্ছে অথচ টিকার জোগান নেই, তাই এভাবে সময় বাড়িয়ে সময় কেনা হচ্ছে।
3) টিকার মূল উদ্দেশ্য সংক্রমণ আটকানোর থেকেও অনেক বেশি মৃত্যুহার এবং ভয়াবহ সংক্রমণের হার কমানো। ফলে ভ্যাকসিন নিলেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। এবং শুধু তাই নয় যে টিকা নিচ্ছে তার থেকেও রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তাই টিকা নেওয়ার পাশাপশি অন্যান্য করোনা বিধি মেনে চলতে হবে।
4) মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে ভারতে টিকার ক্রাইসিস বোঝা যেতে শুরু করে।
5) গোটা ব্যাপারটায় একটা পরিকল্পনাহীনতার অভাব স্পষ্ট। রাজনৈতিক নেতারা আজগুবি সমাধান দিচ্ছে করোনা না হওয়ার জন্য, অবৈজ্ঞানিক নানা মত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে, যা আদতে ঠিক নয়। একই সঙ্গে সরকার থেকে ডাক্তারদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে সিগনেচার ক্যাম্পেইন করার জন্য।
প্যালেস্টাইনে হিংসা বন্ধ করতে আলোচনার আহ্বান ইজরায়েলের মেধাজীবীদের।
বর্তমানে তিনি একজন পেশাদার লেখক, লেখালিখি নিয়েই থাকেন। তাঁর চারটি বই ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি নিয়ে, তাঁর ভাবনা নিয়ে কতটুকু চর্চা করে বাঙালি? মনের কথা খুলে বললেন কবীর সুমন।
যা সংখ্যাগুরু তাই ঠিক, বাকিটা ভুল, এমনটা যে নয় তা ক্যাডবেরি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
বিচারও কি দলীয় রাজনীতির অঙ্গ?
জনমানসে প্রশ্ন, কৌতূহল; সত্যিই কি no one destroyed Babri Masjid?