সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাল দিয়ে ইজরায়েলের সাধারণ ইহুদি নাগরিকরা এখন আরবদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও সমস্ত ইজরায়েলির তাতে সায় নেই। অন্য সুরও শোনা যাচ্ছে। আশার কথা হল, ইজরায়েলের সমস্ত মানুষই এই উগ্র আরব-বিরোধিতার সমর্থক নন। ইজরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ও সমাজবিজ্ঞানীদের একাধিক সংগঠন একযোগে বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনার নিন্দা করেছে। ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে ভাবে দেশের মধ্যে ইহুদি ও আরব মানুষদের মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতি ঘটছে, তা দেখে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন বোধ করছি। এ ভাবে চলতে থাকলে ইজরায়েলি সামরিক বাহিনীর শাসনের অধীনে থাকা এলাকাগুলির বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈরিতার শান্তিপূর্ণ সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশই কঠিন হয়ে যাবে।'
ইজরায়েলের সমাজবিজ্ঞানীদের তরফে এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ইজরায়েলের অ্যানথ্রপলজিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট, অধ্যাপক প্লিনামোৎজাফি-হলার (PninaMotzafi-Haller), ইজরায়েলের ইতিহাস, দর্শন ও সমাজতত্ত্ব সোসাইটির যুগ্ম প্রেসিডেন্ট, অধ্যাপক ইয়েলহাশিলোনি-দোলেভ (Yael Hashiloni-Dolev) এবং ইজরায়েলি সোশিওলজিকাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট, অধ্যাপক লেভ গ্রিনবার্গ (Lev Grinberg)।
তাঁরা আরও বলেছেন, ‘সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারা চর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে আমরা মনে করি প্রতিটি মানুষের ন্যায় ও সমমর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। আমাদের দাবি, প্রতিটি মানুষকেই মন থেকে ঘৃণার আগুন নিভিয়ে শান্তিপূর্ণ আলাপ আলোচনার পথে এগোতে চেষ্টা করতে হবে।'
আরও পড়ুন: কোভিডকে ছাপিয়ে হিংসা-দ্বেষের ভাইরাস পশ্চিম এশিয়ায়
সাম্প্রতিকতম হিংসার ঘটনাবলী সম্পর্কে তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আরও এক দফা যুদ্ধ দিয়ে আমরা এই ঘৃণার বাতাবরণ থেকে মুক্তি পাব না। আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, আমরা এমন একটা বিশ্বে বাস করি, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভিন্ন ভিন্ন আশা আকাঙ্খা থাকতে পারে। কিন্তু সামাজিক ও জাতিগত পার্থক্য সত্ত্বেও প্রত্যেকেরই জীবনযাপনের মৌলিক অধিকারে কোনও ভিন্নতা নেই। আমাদের দেশের সব ধরনের বাসিন্দার সঙ্গে ভাগ করেই জীবনযাপন করতে হবে। সে জন্য বর্তমান হানাহানি বন্ধ করে অবিলম্বে আলোচনার পথে আসতে হবে।'
দেশের কাণ্ডারীর কথায় পাওয়া গেল আশার আলো।
এখনও শুধুই বায়বীয় স্বপ্ন দেখিয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কি নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার পথে হাঁটবে কেন্দ্রীয় সরকার?
আমেরিকার টেলিভিশন যে সাহস দেখাতে পারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কেন তা পারে না?
করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। তবু রাজনীতিক ও জনতার মধ্যে সচেতনতার বালাই নেই।
কী চলছে রাজ্য় রাজনীতিতে, কী অবস্থা বাংলার?