স্কুল বন্ধ কিন্তু অনলাইনে ক্লাস। সাবেক মাস্টারমশাই দিদিমণির জায়গা নিচ্ছে দানবাকৃতির মুখবিহীন এডুটেক সংস্থা। প্রাইভেট টিউশনের বাজারেও তার বিশাল ছায়া। শিক্ষা কি ক্রমশ রাষ্ট্র ও নাগরিকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে এই দৈত্যদের হাতে চলে যাবে? অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী, দুর্গাপুর এনআইটি-র অধিকর্তা অনুপম বসু এবং সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের শিক্ষক পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে আলোচনায় সুদীপ্ত সেনগুপ্ত।
1) সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীন ভাবে ছাত্রসমাজের ওপর অনলাইন শিক্ষাকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সশরীরে উপস্থিত না থেকেও বিদ্যার্জনের সুযোগের মতো অল্প কিছু ভাল দিক থাকলেও অনলাইন শিক্ষার ফলে ছাত্রসমাজের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হচ্ছে।
2) অনলাইন শিক্ষার জন্য যে পরিমাণ প্রযুক্তিগত সাহায্য প্রয়োজন, তা শিক্ষকরা পাচ্ছেন না। এই প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াকে শিক্ষাদান করা শিক্ষকদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব।
3) অনলাইন শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষকদের নির্দিষ্ট কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। তাঁদের অনেকে বুঝতেই পারছেন না, নতুন ব্যবস্থায় কীভাবে সকল ছাত্রের কাছে পৌঁছনো যাবে।
4) একা পড়ব, একা শিখব— অনলাইন শিক্ষার এই যে ব্যবস্থা, তা শিক্ষার মৌলিক অবস্থার বিপ্রতীপ। যৌথ শিক্ষার ধারণাকে নষ্ট করছে অনলাইন শিক্ষা।
5) আজ থেকে কিছু বছর আগেও যে দক্ষতমূলক পাঠক্রমের চাকরির বাজারে কোনও গুরুত্ব ছিল না, অনলাইন মাধ্যমে সেই বিষয়গুলির ওপরেই পাঠক্রম চালু হয়েছে, যা একজন চাকরিপ্রত্যাশীকে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রাখবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
6) ক্লাসঘরের পড়াশোনায় পড়ুয়ারা ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে এলেও অনলাইন পাঠক্রমকে ব্যয়বহুল ও প্রযুক্তিসর্বস্ব করে রেখে, তার চাহিদা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন একাংশ।
7) আমাদের দেশের বহু পড়ুয়া এবং অভিভাবক মনে করেন যে, একটি স্মার্টফোনই লেখাপড়া শেখার জন্য যথেষ্ট। আগে এমন চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
8) অনলাইন শিক্ষা কিংবা প্রাইভেট কোচিং কোনও অবস্থাতেই একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ তৈরি করতে পারে না। তাই ক্লাসঘরের শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প অনলাইন শিক্ষা নয়।
জনমতের চাপে কোভিডের টিকা নিয়ে অযৌক্তিক স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল মোদী সরকার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে 1971 সালে সত্যিই কি কারাবরণ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী?
প্রায় দু'বছর ধরে শিক্ষা বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে শিশুরা। আগামী দিনে স্কুল খুললে কেমন হবে লেখাপড়া?
সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেশের মিডিয়া সবকিছুকে দেখে!
মোদী জমানায় মিডিয়াকে করে কম্মে খেতে হলে সরকারের গোদি অর্থাৎ কোলে বসা হতেই হবে!
দেশের প্রধান বিরোধী দলের মান্যতা কংগ্রেসকে দিতে নারাজ তৃণমূল।