×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • বাংলায় এখন সরকার ভার্সাস সরকার

    4thpillars ব্যুরো | 20-05-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক রজত রায় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমীর কুমার দাস ও উদয়ন বন্দোপাধ্যায়।

    সিবিআই রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করলে মুখ্যমন্ত্রী ছুটে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার দপ্তরে। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস খুঁজতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচিত বিধায়ক কেন্দ্রের শাসক দলের সদস্য হলে তার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। বাংলায় কি একই সঙ্গে দু'টি সরকার চলছে? এই বিষয়ে গত 18 মে www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক রজত রায় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সমীর কুমার দাস ও উদয়ন বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।

     

     

    1) যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোটা যেভাবে দিন দিন দুর্বল হচ্ছে তাতে রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপালের ভূমিকাটা অন্যভাবে দেখতে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের অতি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা। বিরোধী দল দ্বারা গঠিত রাজ্যগুলো যেমন পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কেরালা, মহারাষ্ট্রপ্রভৃতি রাজ্যগুলোতে সরকারগুলোকে কীভাবে রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ভাবে কোণঠাসা করা যায়, তার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। তারা তাদের মর্জি মতো চলছে এখন।

     

    2) রাজ্যপাল রাজ্যের আইনগত প্রধান। তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভাকে যে কোনও বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারেন মাত্র, নিজে কোনও সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারেন না।

     

    3) সংবিধান বিশেষজ্ঞরা যখন সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন, তখন ভেবেছিলেন কেন্দ্র এবং রাজ্যে দু'টি নির্বাচিত সরকার থাকবে এবং কোনও সরকারই অপর সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করবে না। রাজ্যে দুই সরকারের এই লড়াই কার্যত নজিরবিহীন। 

     

    4) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের এবং কিছু রাজ্যের স্বশাসিত অঞ্চলে রাজ্যপালের কিছু বিশেষ ক্ষমতা আছে। কিন্তু পশ্চিমবাংলার রাজ্যপাল তেমন কোনও ক্ষমতা ভোগ করেন না। এখন প্রশ্ন, এখানেও কি দিল্লির মতো রাজ্যপালের হাতে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা তুলে দেওয়ার পথ প্রশস্ত করা হচ্ছে?

     

    5) সংবিধানে শব্দটির উল্লেখ না থাকলেও, রাজ্যপাল আদতে একজন 'স্টেটসম্যান'। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে যে কোনও রাজ্যের যে কোনও বিষয়ের খোঁজখবর নিতে পারেন। কিন্তু নিজেই খবর সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়তে পারেন না।

     

    6) রাজ্যপালের একটা নৈতিকতার জায়গাও থাকা উচিত। রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী নন্দীগ্রাম নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মন্তব্য করে বাম সরকারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। আবার তাঁর কথাতেই যুযুধান দুই পক্ষ আলোচনার টেবিলে বসতে সমর্থ হয়েছিল। এই বিশ্বাসযোগ্যতা, নৈতিকতার জোর রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপালের নেই।


    4thPillars ব্যুরো - এর অন্যান্য লেখা


    পেশায় রাশিবৈজ্ঞানিক। যুক্ত আছেন আই.এস.আই ও আই.এ.এস.আর-এর সাথে।

    বাংলাকে তাদের কল্পিত হিন্দুরাষ্ট্রের অংশীদার বানানোই কি বিজেপির লক্ষ্য?

    এবারের ভোটে রাজনৈতিক বক্তব্যটা কী বিভিন্ন দলের?

    মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মিডিয়ার কাজ।

    রাজ্যপালের মুখে পরিবর্তন, প্রধানমন্ত্রী জানাচ্ছেন ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ, সাংবিধানিক শিষ্টাচার শিকেয়

    বাংলায় এখন সরকার ভার্সাস সরকার-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested