একটা রাজ্যের বিধানসভার নয়, পশ্চিমবঙ্গের ভোট এবার যেন জাতীয় নির্বাচন। বাংলা দখলে মরিয়া বিজেপি। সমানে টক্কর দিচ্ছে বিরোধীরা। রাজ্যে ভোটের আবহে এই নিয়েই গত 23 ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল www.4thpillars.com। এই আলোচনায় সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রজত রায় ও সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী।
1) রাজনীতিতে শূন্যস্থান বলে কিছু থাকে না। রাজ্যের শাসকদল প্রশাসনের সর্বস্তরে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব কায়েম করতে চেয়েছে। বাম-কংগ্রেসের বহু জনপ্রতিনিধিকে নিজেদের দলে সামিল করেছে। বাংলার বিরোধীশূন্য রাজনৈতিক পরিসরে মাথা তুলেছে সম্পূর্ণ আনকোরা একটা শক্তি— বিজেপি।
2) জনপ্রতিনিধিরা দল ছাড়ার পরে পূর্বতন দল অভিযোগ করছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। অথচ তার আগে তাদের মুখে এমন অভিযোগ শোনা যায়নি। অন্যদিকে, নতুন যে দলে জনপ্রতিনিধিরা যাচ্ছেন, তারা অতীতে তাঁদের বিরুদ্ধে যতই সরব থাকুক, বর্তমানে সাদরে তাঁদের দলে গ্রহণ করে নিচ্ছেন।
3) পশ্চিমবঙ্গে যে ভোট-রাজনীতিটা হচ্ছে তার মধ্যে রাজনীতির উপাদান খুব একটা নেই। কে কত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত, সেই বিতর্কই চলছে। দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীনতা কিংবা কর্মসংস্থানের মতো জরুরি বিষয় রাজনৈতিক আলোচনার পরিসরে উঠে আসছে না।
4) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দলীয় জনসভা থেকে ভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ বলে দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া, তিনি কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন? বিরোধী তরফে, গণমাধ্যমেও এই নিয়ে বিশেষ প্রশ্ন উঠতে দেখা গেল না।
5) বিজেপি সোনার বাংলা গঠনের কথা বলছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী ডানলপ কারখানা সংলগ্ন মাঠে এসে, বন্ধ কারখানা খোলার কোনও প্রতিশ্রুতি দিলেন না। অন্যদিকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল শিষ্টাচার ভেঙে, রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। এইভাবে কি সোনার বাংলা গড়া সম্ভব?
6) বিজেপি বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে, সেখানকার স্থানীয় পরিস্থিতির নিরিখে হরেকরকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। উত্তর-পূর্ব ভারতে গো-মাংস খাওয়ার পক্ষে কথা বলছে, আবার বাকি ভারতে এর বিরুদ্ধে কথা বলছে। এই রাজ্যেও রাজবংশী এবং মতুয়াদের নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দু'রকম বোঝানো হচ্ছে।
বাংলাকে তাদের কল্পিত হিন্দুরাষ্ট্রের অংশীদার বানানোই কি বিজেপির লক্ষ্য?
মানবাধিকারও কি দলীয় রাজনীতির কুক্ষিগত আজ?
লোকসঙ্গীতের পরম্পরা
এঁদের কঠোর পরিশ্রম আপনারাও উপভোগ করবেন, এই ভিডিওতে।
জনৈক ব্যক্তির দু'টো টুইট আর কিছু বক্তব্যে কোনও প্রতিষ্ঠান ভেঙে যায়? এতই ঠুনকো প্রতিষ্ঠান?
কোভিডের টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ পিছিয়ে দেওয়া কি সত্যিই বিজ্ঞানসম্মত?