অদম্য মানবাধিকার ও সমাজকর্মী ফাদার স্ট্যান স্বামী সারা জীবন নিরলস, অক্লান্ত ভাবে আদিবাসীদের জন্য কাজ করে গেছেন। কিন্তু শুধু জনসেবাই নয়, রাষ্ট্রের মদতে কর্পোরেট শক্তির দ্বারা অরণ্য ও আদিবাসীদের শোষণের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী।পুলিশি জুলুম, হেনস্থা, কোনও কিছুই তাঁকে সেই পথ থেকে সরাতে পারেনি। তাঁর জীবনের শেষ পর্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং তার পদলেহী পুলিশ, প্রশাসন,এনআইএ ও বিচার ব্যবস্থার একটি অংশ নিষ্ঠুর ভাবে তাঁর মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছে। মুক্তির পূজারী স্ট্যান স্বামী নিজে 5 জুলাই চিরতরে মুক্তি পেয়ে গেছেন। কিন্তু যে উদাহরণ এবং উত্তরাধিকার তিনি রেখে গেলেন, তাকে অত সহজে শিকলে বেঁধে রাখা যাবে কিনা সন্দেহ!
আমরা অবহিত আছি যে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় প্রথম ধরপাকড় শুরু হয় 2018 সালের জুন মাসে, ঘটনার প্রায় ছয় মাস পরে। এরপর দফায় দফায় অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় দু’বছর বাদে 2020 সালের জুলাই মাসে এনআইএ পাঁচ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযোগ করা হয় যে, মাওবাদীদের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ আছে। তাঁকে মাওবাদীদের কিছু চিঠির কথা বলা হয়, যাতে নাকি তাঁর নামের উল্লেখ আছে। ফাদার জিজ্ঞাসা করেন চিঠি কার লেখা, কাকে লেখা, প্রেরকের নাম কী, চিঠির তারিখ কী, তিনি কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি। একটি চিঠি তিনি স্বীকার করেন তাঁর নিজের রচিত। এটি ছিল তাঁর এবং সুধা ভরদ্বাজের একটি যৌথ আবেদনপত্র, যাতে তাঁরা ‘নক্সাল’ ছাপ্পা মেরে বহু আদিবাসীদের যে বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে, তাঁদের মুক্তির জন্য ‘পারসিকিউটেড প্রিজনার্স সলিডারিটি কমিটি’ গঠন করা ঘোষণা করেছেন এবং দেশের সমস্ত মানবাধিকার কর্মীদের তাতে যোগদান করার আহ্বান জানিয়েছেন। অক্টোবর মাসে এনআইএ 84 বছরের এই বৃদ্ধ মানুটিকে, যিনি পার্কিনসন্স নামক স্নায়ুরোগে আক্রান্ত, কোনও তরল পদার্থ পান করার জন্য যাঁকে স্ট্র বা সিপার ব্যবহার করতে হয়, তাঁকে মুম্বাইয়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে কারাবন্দি করে দেয়। গ্রেপ্তারের সময় এনআইএ- একালের গেস্টাপো- সুকৌশলে তাঁর চশমা এবং স্ট্র সরিয়ে ফেলে। জেলে যাওয়ার পর চশমা ছাড়া তিনি কার্যত অন্ধ হয়ে পড়েন এবং শুধুমাত্র এই স্ট্র ফিরে পাওয়ার জন্য তাঁকে বারবার আদালতে আবেদন করতে হয়। বিচারকরা তাঁর আবেদন শুনেছেন, পনেরো দিন বাদে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন, তাঁরা মনে হয় এতে বেশ মজা পেয়েছেন। এই করে দু’মাস বাদে তাঁকে স্ট্র ফেরত দেওয়া হয়েছে। বিচারকদের এই নির্মম আচরণ স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বিরল। আগে জেল হেফাজতে কোনও অত্যাচার রাখঢাক করার চেষ্টা হত, এখন এই ক্রুরতা প্রকাশ্য, যেন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, সরকারের বিরুদ্ধে গেলে তোমারও একই দশা হতে পারে। মে মাসে ফাদার কোভিডে আক্রান্ত হন এবং সংক্রমণমুক্ত হলেও কোভিড-পরবর্তী শারীরিক জটিলতা চলতে থাকে। ফাদার আদালতে বলেন নানা অসুখ সত্ত্বেও তিনি যখন মুক্ত ছিলেন, তখন নিজে হাঁটাচলা করতে পারতেন, নিজে খেতে পারতেন, অল্পসল্প লেখালেখিও করতেন। কিন্তু জেলে আসার পর থেকে তিনি বুঝতে পারছেন যে, তাঁর শরীরের কলকব্জাগুলো ধীরে ধীরে বিকল হয়ে যাচ্ছে, তিনি জীবনীশক্তি হারিয়ে ফেলছেন। তিনি বারবার জামিনের আবেদন করেন এবং তাঁর নিজের জায়গায় ফিরে যাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন। এনআইএ তাঁর জামিনের সমস্ত আবেদন নাকচ করে। আদালত তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে চায়। তিনি বলেন জেলের কুঠুরির মধ্যে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে থাকা তিনি আরও শ্রেয় মনে করেন। অবশেষে প্রায় জোর করে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু।
বিজেপি সরকার কেন একজন 84 বছরের অসুস্থ মানুষকে এত বিপজ্জনক মনে করে?
ফাদার 1975 থেকে প্রায় ষোলো বছর ব্যাঙ্গালোরের ‘ইন্ডিয়ান সোশ্যাল ইন্সটিটিউট’ এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং এগারো বছর এই প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর ছিলেন। জেসুইটদের জামশেদপুর শাখার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে তাঁর ঝাড়খণ্ডে নিয়মিত আসা যাওয়া ছিল। তিনি হো জনজাতির সঙ্গে বাস করেছেন, এবং তাঁদের ভাষাও রপ্ত করেছেন। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি চাইবাসা চলে আসেন এবং ‘জোহার’ (সাঁওতালি ভাষায় অভিবাদন) নামক একটি মানবাধিকার সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন। ঝাড়খণ্ড নতুন রাজ্য ঘোষিত হওয়ার পর তিনি রাঁচিতে চলে আসেন। তখন অর্থনীতির উদারীকরণ শুরু হয়েছে এবং আদিবাসীদের জল, জঙ্গল, জমির ওপর আক্রমণ তীব্র হচ্ছে। এই সময় থেকে নেতারহাটে ফিল্ড ফায়ারিং প্রজেক্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। এই প্রকল্প 245টি গ্রামের প্রায় দু’লক্ষ মানুষকে উৎখাত করতে পারে। ফাদার স্ট্যান ছাড়াও এই আন্দোলনে আজও অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মী জাঁ দ্রেজ জড়িত রয়েছেন। ফাদার কোয়েল-কারো বাঁধ প্রকল্পের সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে আন্দোলনকেও সমর্থন করেন।
তিনি উপলব্ধি করেন যে আদিবাসীদের হিতার্থে নানা আইন হয়, কিন্তু কোনওটাই কার্যকর হয় না। সংবিধানের পঞ্চম তপশিলে আদিবাসীদের রক্ষাকবচ হিসাবে শুধুমাত্র তাঁদের নিয়ে ‘ট্রাইবস এডভাইসরি কাউন্সিল’ গঠনের নিয়ম আছে। এটি শাসক দলের একটি নখদন্তহীন, তাঁবেদার সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ‘পঞ্চায়েত এক্সটেনশন শিডিউলড এরিয়াস অ্যাক্ট’, 1996 (পেশা) বিভিন্ন গ্রামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রামসভার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেছে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যে কোনও প্রকল্পের কাজ এঁদেরকে না জানিয়েই করা হয়। কিংবা এঁরা কোনও প্রকল্পের বিরোধিতা করলে পুলিশ প্রশাসন দিয়ে জুলুম করে এঁদের মতামত অগ্রাহ্য করা হয়। 2006 সালের ‘জাতীয় অরণ্য আইন’ আদিবাসীদের পরম্পরাগত জমির ওপর তাঁদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্তু লক্ষাধিক মানুষ এখনও জমির পাট্টা পাননি। 2013 সালে রাজ্যের বিজেপি সরকার জমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধন করার চেষ্টা করে। তারা এই আইনে সামাজিক প্রভাব যাচাই (social impact assessment) করার যে ধারা ছিল সেটা বাতিল করে প্রচুর জমি কর্পোরেট সংস্থাদের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। ফাদার এই পঞ্চম তপশিল, পেশা এবং অরণ্য আইন কার্যকরী করার জন্য লাগাতার প্রচার করেছেন। লক্ষণীয় তিনি সংবিধানসম্মত সরকারের আইন প্রয়োগ করার জন্যই আন্দোলন করেছেন, কোনও বেআইনি কার্যকলাপ করেননি।
আরও পড়ুন: নীলকন্ঠ পাখিদের ‘অবিচুয়ারি’
এই সব আন্দোলনে প্রচুর মানুষকে ‘মাওবাদী’ তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের সংখ্যা প্রায় 3000 এবং প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ভুয়ো অভিযোগ। এঁরা হতদরিদ্র মানুষ এবং কয়েক বছর ধরে বিনা বিচারে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বন্দি। একই অবস্থা ছত্তিসগড়ে, যেখানে প্রায় 6000 আদিবাসী মানুষ মাওবাদী অভিযোগে দীর্ঘ দিন ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। সুধা ভরদ্বাজ সেই সময় ছিলেন পিইউসিএলের সম্পাদক এবং এখন তিনি নিজেই ভীমা কোরেগাঁও মামলায় মিথ্যা অভিযোগে গত দু’বছর ধরে বন্দি। ফাদার এবং সুধা ভরদ্বাজ মিলে তখন এঁদের মুক্তির দাবিতে পিপিএসসি গড়ে তোলেন। ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM)-র সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিনা বিচারে আটক বন্দিদের নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত হয়। দেড় বছর হয়ে গেল এখনও সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়নি।
2016 সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দু’টি অধ্যাদেশ আনে, যার দ্বারা আদিবাসীদের জমি যে কোনও সরকারি ও বেসরকারি প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা যায়। আমরা দেখেছি এর আগেও আইন সংশোধন করে তাঁদের জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এর ফলে প্রবল বিক্ষোভ দেখা দেয় এবং সেই সময়েই পাত্থড়গড়ি আন্দোলন শুরু হয়। এটি একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন, যা ব্রিটিশ আমলেও দেখা গেছে। মানুষজন পাথরে বিভিন্ন আইনের ধারা লিখে তা গ্রামের প্রবেশ পথে প্রদর্শন করেন। তাঁরা সরকারি ব্যবস্থা অগ্রাহ্য করে নিজেদের স্বায়ত্তশাসন কায়েম করার কথা বলেন। ফাদার স্ট্যান তাঁদের এই আন্দোলনকে পুরোপুরি সমর্থন করেন। এই কারণে 2018 সালে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। আন্দোলনের সমর্থনে তাঁর একটি বক্তব্যের জন্য তাঁকে সিডিশন আইনে অভিযুক্ত করা হয়। 2019-এর অক্টোবর মাসে পুলিশ তাঁর বাড়ি তল্লাশি করে সামান্য যা আসবাবপত্র ছিল তা বাজেয়াপ্ত করে। ডিসেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাত্থড়গড়ি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সমস্ত পুলিশ কেস তুলে নেওয়া হয়। ঝাড়খণ্ডে তাঁর নিবিড় ও ধারাবাহিক জনকল্যাণমূলক কাজকর্মের জন্য তাঁকে কোনওভাবে অভিযুক্ত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ হয়। কিন্তু এটা তাদের কাছে পরিষ্কার হয় যে রাজ্যের মানুষ, বিশেষ করে আদিবাসীদের ওপর ফাদারের প্রভাব এতই গভীর যে তাঁকে সরাতে না পারলে রাজ্যে তথাকথিত ‘উন্নয়নমূলক’ কাজ করা অসম্ভব। মরিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও এনআইএ তাঁকে ভীমা কোরেগাঁও-এর সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করে। সেটার কী বিয়োগান্তক পরিণতি হয়েছে তা আমরা জানি।
আরও পড়ুন: স্ট্যান স্বামী: বিচারের প্রতীক্ষায় মৃত্যু
দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা দরকার। আমরা জানি এবং এটা আজ পরিষ্কার যে কেন্দ্রের শাসনক্ষমতায় এখন একটি ফ্যাসিবাদী সরকার রয়েছে। কিন্তু এই এনআইএ, 1967 সালে ইউএপিএ তো কংগ্রেস সরকারের আমলে তৈরি। আজকে যে দলগুলি ফাদার স্ট্যানের হত্যার প্রতিবাদ করছে, তারা এই আইনগুলি প্রণয়নের সময় কোনও প্রতিবাদ তো করেইনি, উল্টে সায় দিয়েছে। বাম ডান যে সরকার ক্ষমতায় থেকেছে, তাঁরা যথেচ্ছ ইউএপিএ প্রয়োগ করেছে। 2009 সালে স্বপন দাশগুপ্ত, একটি ছোট পত্রিকার সম্পাদক, এই ধারায় অভিযুক্ত হন এবং পরে কারাগারে তাঁর মৃত্যু হয়। ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড আন্দোলনকারীদের ওপর এই তৃণমূল সরকার ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করেছে এবং তারা পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তা খারিজ করার কোনও সদিচ্ছা তো এখনও অবধি দেখা যাচ্ছে না। এটা পরিষ্কার ফ্যাসিবাদের ভ্রুণ কমবেশি এই সব দলেই আছে এবং কোনও ভিন্নমত বা শক্তিশালী আন্দোলনের সম্মুখে পড়লেই এদের মুখোশটা খসে পড়ে এবং নখ দাঁত বেরিয়ে আসে।
ভীমা কোঁরেগাও মামলায় ষোলো জনের মধ্যে ফাদার স্ট্যান চলে গেলেন। কয়েক মাস আগে কবি ভারভারা রাওকে বহু টালবাহানার পর মুমূর্ষু অবস্থায় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি রইল আর চোদ্দো জন। ‘কবির কলা মঞ্চ’-র তিনজন সাংস্কৃতিক কর্মী, যাঁরা জাতপাত, সাম্প্রদায়িকতা, নারী বিদ্বেষের বিরুদ্ধে গান, নাটক করেন- তাঁদের টোপ দেওয়া হচ্ছে যে, বিজেপি করলেই তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে। এঁরা বলেছেন আমরা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে মেনে চলি, ব্রিটিশের পদলেহনকারী সাভারকারকে নয়। এঁদের মধ্যে অন্তত পাঁচ জন- সোমা সেন, সুধা ভরদ্বাজ, আনন্দ তেলতুম্বে, গৌতম নওলাখা এবং হ্যানি বাবু- বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এছাড়া জেলের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। দু’বছর হয়ে গেল, এঁদের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ তৈরি করা হয়নি, বিচার তো শুরুই হয়নি। এঁদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া প্রয়োজন, না হলে ফাদার স্ট্যানের মৃত্যুর মতো অসহায় ভাবে আমাদের আরও মৃত্যুর সাক্ষী থাকতে হবে।
আইনের শাসনের চেয়ে বেশি আইন বহির্ভূত ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে।
জনজীবনকে ধ্বংস করে উন্নয়নের মোড়কে দেউচা পাঁচামিকে পুঁজিপতিদের মুক্তাঞ্চল করতে চাইছে তৃণমূল সরকার।
যোগীর শাসনে উত্তরপ্রদেশে সরকার মসজিদ ভাঙছে,ত্রাসে সিঁটিয়ে সংখ্যালঘুরা ।
উত্তরপ্রদেশ সরকার অর্ডিনান্স জারি করছে, আদালতের একেক সময়ে একেক কথা
তামিলনাড়ু থেকে বাংলা: দান খয়রাতির রাজনীতির শেষ কোথায়?
ভোটমুখী বাংলায় কৃষক আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর কৃষক নেতারা।