টেলিফোনে আড়ি পেতে শোনা শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার কথা কোনও আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ফলাও করে প্রচার করছে বিরোধীরা। রাষ্ট্রের নজরদারির ঘৃণ্য নজির এবার ভোট পর্বের প্রচারে। এই বিষয়ে গত 18এপ্রিল (রবিবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
1) টেলিফোনে আড়ি পাতা মানে রাষ্ট্রের কারও ব্যক্তিগত পরিসরে ঢুকে পড়া, আর এই অনুপ্রবেশ কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক কার্যক্রমের একটা অংশ। ব্যক্তিগত পরিসর কিন্তু মানুষের মৌলিক অধিকার, আর রাষ্ট্রের কর্তব্য তাকে রক্ষা করা। এখানে উল্টো ছবি দেখা গেল।
2) বর্তমান সময়ে রাষ্ট্র তার ক্ষমতাকে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার যে কোনও কণ্ঠস্বর রোধ করার জন্য ব্যবহার করছে।
3) মুখ্যমন্ত্রীর ফোন কল ট্যাপ করা মানে তো আমাদের দেশের যে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, তার মূলে কুঠারাঘাত করা।
4) মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন তা যেমন তদন্ত হওয়া উচিত, একইভাবে তেমনই কেন্দ্রীয় সরকার যদি এটা প্রকাশ্যে না আনতে পারে যে, কে বা কারা এই ফোন ট্যাপিংয়ের কাজটি করেছে তা হবে আরও গুরুতর অপরাধ।
5) স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাগুলো স্বাধীনতা নষ্ট করে তাদের প্রভাবিত করতে চাইছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। এটাও কিন্তু একটা স্বৈরতন্ত্রের লক্ষণ।
6) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে না। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের বহু বিতর্কিত আইনে অবাধ ছাড়পত্র দিচ্ছে শীর্ষ আদালত। সাংবিধানিক পদাধিকারীরা দেখছেন, সরকারের কথা অনুযায়ী চললে অবসরের পরেও ভাল পদ, ভাতা পাওয়া যাচ্ছে। তাই, সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা না দেখালেও চলবে।
7) বহু মামলায় শীর্ষ আদালত যুক্তি দেয় যে, সংসদে পাস হওয়া আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব নয়। অথচ, তিন বিতর্কিত কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকার পক্ষ যখন কৃষকদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিল, তখনই বোঝা গিয়েছিল সরকার এবং শীর্ষ আদালতের মধ্যে কোনও সমঝোতা হয়েছে।
8) প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রধান। একজন মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে। উনি কি জানেন না এটা একটা অনৈতিক কাজ? ওনার ক্ষমতার আস্ফালন এতটাই যে, উনি এমন অনৈতিক একটা কাজকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছেন। প্রতিবাদ করে বলছেন না যে, কীভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে আড়ি পাতা হল? দেশের সংবিধানের প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই প্রধানমন্ত্রীর।
9) সারা দেশে এখন যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে নির্বাচনী জয় পরাজয় আর মুখ্য কোনও বিষয় নয়। এখন গণতন্ত্র রক্ষার থেকেও জরুরি হল দেশের সংবিধানকে রক্ষা করা। প্রয়োজনে রাস্তার গণআন্দোলনেই নতুন দিশা মিলতে পারে। এখনও সব সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাইনি।
আজ তৃতীয় পর্বে গায়িকা সারণির বাড়ির অন্দরে চোখ রাখব আমরা।
এ সরকার কার জন্য? গরিবের নয়?
তাঁরা বলছেন, প্রতিপক্ষ মানেই শত্রু নয়। একজন জনপ্রতিনিধির কাছে মানুষ এটাই তো শুনতে চায়।
এবারের ভোটে বাংলায় সবচেয়ে বড় সত্যিকারের ইস্যু বেকারত্ব। তা নিয়ে চর্চা কোথায় বড় নেতাদের মুখে?
আইনজীবীরা মুখ খুললে বিচারপতিদের সমস্যা হতে পারে কি?
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফা ভোটের দিনই বাংলাদেশে মন্দিরে মন্দিরে পূজারত মোদী।