এবারের ভোটে বাংলায় সবচেয়ে বড় সত্যিকারের ইস্যু বেকারত্ব। তা নিয়ে চর্চা কোথায় বড় নেতাদের মুখে? এই বিষয়ে www.4thpillars.com গত 16 মার্চ (মঙ্গলবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায়চৌধুরী। আলোচনায় বাম প্রার্থী, যুব মুখ পৃথা তা-র উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে, এই বিষয়ে তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য জানিয়েছেন।
1) রাজ্যে কর্মসংস্থানের বিষয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের বুঝতে হবে চাকরি বলতে আমরা কী বুঝছি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা অনুযায়ী চাকরি বলতে বোঝায় একটা লিখিত-পড়িত চুক্তিভিত্তিক ব্যাপার, যেখানে একজন চাকরি দাতা, একজন প্রাপক, যেখানে লিখিতভাবে থাকবে কী চাকরি, কত মাইনে, ইত্যাদি ইত্যাদি। ভারতে সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী 60 শতাংশ মানুষ এই আওতায় পড়েন না, যাঁদের কাছে লিখিতভাবে কোনও কিছু রয়েছে চাকরির প্রমাণ হিসেবে।
2) সংগঠিত ক্ষেত্রেও যদি অসংগঠিত ক্ষেত্রের চরিত্র পরিলক্ষিত হয়, তাহলে ছাঁটাই করাটা অস্বাভাবিক কিছু না।
3) পশ্চিমবঙ্গ অতীতেও ভারী শিল্পে বিশেষ সুনাম অর্জন করতে পারেনি। ঐতিহ্যগত ভাবে এই রাজ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পই প্রসারলাভ করে এসেছে।
4) 15 থেকে 29 বছর বয়সের মধ্যে যাঁরা শ্রমের বাজারে আসছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের সংখ্যাটা 2020 সালে বেড়ে 26-27 শতাংশ হয়েছে, যেখানে সামগ্রিকভাবে সংখ্যাটা 9 শতাংশ।
5) সরকারের তরফে যে শিল্প বা চাকরি নিয়ে যে কথা হচ্ছে না তা নয়। তবে যে পরিমাণে কথাটা আলোচনা হওয়া উচিত তা হচ্ছে না।
6) পশ্চিমবঙ্গে বেকার আছে কিন্তু সেটা ভারতের সামগ্রিক চিত্রের থেকে আলাদা নয়। বড় শিল্প ভারতে নেই গত পাঁচ-সাত বছর ধরে, যেটা হচ্ছে তা সাবকন্ট্রাক্ট হিসেবে হচ্ছে।
7) বহুবছর স্কুল, কলেজে বড় কোনও নিয়োগ হয়নি। এতে শিক্ষাঙ্গনগুলিতে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিচ্ছে। আবার স্কুল-কলেজে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়লেই যে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হবে, এমন নয়। সমস্যা হল, আমরা পরিসংখ্যানের ওপর যতটা জোর দিই, গুণগত মানের ওপর ততটা জোর দিই না।
8) প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোথাও না কোথাও দুর্নীতি রয়েছে৷ তার মানে এই নয় যে পুরো প্রক্রিয়াটাতেই দুর্নীতি হয়েছে। নিশ্চয়ই অনেক মেধাবী পরীক্ষার্থী নিজেদের যোগ্যতায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে। কিন্তু মামলা করে পুরো প্যানেল বা প্রক্রিয়াটাকে বাতিল করে দেওয়া সমর্থনযোগ্য নয়।
নীতীশ বিরোধিতাকে উচ্চগ্রামে নিয়ে গেলেও চিরাগ পাসওয়ান তাঁর মোদী-স্তুতি অব্যাহত রাখছেন।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা মন্ত্রশক্তি দিয়ে জেতা যাবে না।
পরিবেশ রক্ষা করতে হলে তার অঙ্গ মানুষকেও বাঁচতে হবে।
সত্তরের গণআন্দোলনের ফসল বিপুল চক্রবর্তীর কবিতা ও গান।
কলকাতার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের চোখে কেমন লকডাউন চিত্র, আজ দেখুন ষষ্ঠ পর্ব।
ক্যাওসের মধ্যে থেকে বুঝতে হবে, নগরজীবনের মধ্যে থেকে বুঝতে হবে।