×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • অনলাইন নয়, ক্লাসঘরের শিক্ষাই প্রকৃত লাইন

    বিতান ঘোষ | 24-05-2022

    নিজস্ব ছবি

    কোভিড এবং কোভিড-উত্তর কালের শিক্ষাব্যবস্থা অনলাইন এবং অফলাইন সম্পূর্ণ আড়াআড়ি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকরাও এই নিয়ে তাঁদের মতামত জানাচ্ছেন। কোভিডকালে যা ছিল একান্তই জরুরি, তা এখনও চালিয়ে যাওয়া সমীচীন কিনা, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনলাইন শিক্ষার জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থাও বিভিন্ন বিষয়ের পাঠক্রম নিয়ে হাজির হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলির আধিপত্যে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে সাবেক ক্লাসরুমের পরিচিত ছবিগুলো।

    এই বিষয়েই 4thPillarWeThePeople সম্প্রতি একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী এবং সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের শিক্ষক পার্থপ্রতিম রায়। সুকান্তবাবু তাঁর বক্তব্যে অনলাইন শিক্ষাকে বৈদ্যুতিন শিক্ষাব্যবস্থার থেকে পৃথক করে জানিয়েছেন, "বৈদ্যুতিন শিক্ষাব্যবস্থা ক্লাসঘরেও সম্ভব এবং এই ব্যবস্থায় বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়।" কিন্তু তাঁর কথায়, "দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইন শিক্ষার ফলে ছাত্রসমাজের ভয়ঙ্কর এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।'

    পার্থপ্রতিম রায় এই প্রসঙ্গে একটি দার্শনিক প্রশ্নকে উত্থাপিত করেছেন। তাঁর কথায়, "যৌথ ভাবে শিক্ষাগ্রহণ শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক চরিত্র। কিন্তু অনলাইন শিক্ষা একা পড়ব, একা শিখব-র মডেলে আদতে পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতার জন্ম দিচ্ছে।'

     

    আরও পড়ুন:বাংলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ের প্রবণতা বাড়ছে , বলছে এনএফএইচএস রিপোর্ট
     


    অধ্যাপক চৌধুরীর কথায়, "আজ থেকে কিছু বছর আগেও যেসব দক্ষতামূলক পাঠক্রমের চাকরির বাজারে কোনও গুরুত্ব ছিল না, অনলাইন মাধ্যমে সেইগুলোর ওপরেই স্বল্পমেয়াদী কোর্স করানো হচ্ছে। অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি দাবি করছে, এই কোর্সগুলি একজন চাকরিপ্রার্থীকে বাকিদের তুলনায় এগিয়ে রাখবে।'

    অধ্যাপক চৌধুরী এবং পার্থপ্রতিম রায়ের মতে, কোভিডের প্রকোপ কমার পর ক্লাসঘরের পড়াশোনা ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে এলেও ইচ্ছাকৃত ভাবে অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রাসঙ্গিক করে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁদের কথায়, 'অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা ব্যয়বহুল এবং প্রযুক্তিনির্ভর। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের যেমন এত টাকা ব্যয় করে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখানো সম্ভব নয়, তেমনই অনলাইন ক্লাসে পাঠদান করানোর মতো বা পাঠগ্রহণ করানোর মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো বা প্রশিক্ষণ ছাত্র শিক্ষক উভয়েরই নেই।'

    অনলাইন ক্লাসে ছেলেমেয়েদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্মার্টফোন কিংবা ট্যাব কেনার টাকা দেওয়া হয়। এই দেশের অনেক অভিভাবকও মনে করেন, একটি স্মার্টফোনই লেখাপড়া শেখার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু আলোচনায় উপস্থিত প্রত্যেক বক্তাই এমন ধারণাকে গ্রহণ করেননি। সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্তের বক্তব্য, "অনলাইন শিক্ষা কিংবা প্রাইভেট কোচিং কোনও অবস্থাতেই একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ তৈরি করতে পারে না।' আলোচনার শেষে প্রত্যেক বক্তাই একমত যে, ক্লাসঘরের শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প কিছু হয় না, অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা তো নয়ই।

     


    বিতান ঘোষ - এর অন্যান্য লেখা


    পোশাক দেখে অপরাধী চিনে ফেলা ক্ষমতাসীনই, তার মতানুসারে চালাতে চায় সকলকে।

    আজকের দিল্লিকে দেখলে গালিব কী লিখতেন জানা নেই। কিন্তু সমকালীন ঘটনার অভিঘাত যদি কবিমানসকে বিষণ্ণ করে

    দায়িত্বশীল নাগরিককে 74 বছর বয়সী স্বাধীন রাষ্ট্রের উপহার একটা কেক আর চকোলেট

    সিন্ধু পাকিস্তানে, জাতীয় সঙ্গীতে শব্দ বদলের আর্জি নেতার

    দেশভাগের অন্যতম মন্ত্রণাদাতা তো দেশের বর্তমান শাসকদের পূর্বসূরিরাও, এ কথা কি ভোলা যায়?

    সোশাল মি়ডিয়া আর রাজনীতিতে রামের একচ্ছত্র আধিপত্য় হরণ করে এবার আবির্ভূত হলেন কৃষ্ণ!

    অনলাইন নয়, ক্লাসঘরের শিক্ষাই প্রকৃত লাইন-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested