×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • বিশ্বভারতী কাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি ব্লু-প্রিন্টের অংশ মাত্র

    সোমনাথ গুহ | 31-12-2020

    শিক্ষায় মগজ ধোলাইয়ের চেনা ছকেই চলছে ফ্যাসিস্ত সরকার

    রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতী এখন রাজনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলই চায় শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেদের অধিকার কায়েম করতে কারণ শিক্ষার মাধ্যমে তারা মানুষের চিন্তাজগতকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, যা তাদের ক্ষমতাকে দৃঢ় ও নিষ্কণ্টক করতে পারে। 2014 সালে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রক্রিয়া আরও প্রকট হয় কারণ এই দলের একটা নিজস্ব আদর্শ আছে, যেটার আদলে তারা ভারতের ইতিহাস রূপান্তরিত করতে চায়, দেশটাকে সেই ভাবেই গড়ে নিতে চায়। ওই বছরই আরএসএস ঘনিষ্ঠ ‘শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাস’ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও নবোদয় স্কুলগুলিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহার বাজপেয়ী এবং হিন্দু রাষ্ট্রের আদি প্রবক্তা মদনমোহন মালব্য-র জন্মদিন পালন করার নির্দেশ দেয়। সংঘ পরিবারের শিক্ষাবিদ দননাথ বাত্রা নিদান দেন যে, শিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে দিতে হবে, যাতে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভারতীয় পরম্পরা, দেশাত্মবোধ, আধ্যাত্মিকতার বীজ বপন করা যায়। বদিক গণিত পড়তে হবে সংস্কৃত, গীতা বিদ্যালয়ে অবশ্যপাঠ্য হতে হবে। পড়ুয়া বিভিন্ন যশস্বী প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়ার অনুপযুক্ত হলেও তা শাসকের পক্ষে নিরাপদসে ক্ষেত্রে অনুগত এই ধরনের ব্যক্তিদের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত করতে সুবিধা হয় ওয়াই সুদর্শন রাও ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিকাল রিসার্চ’-এর চেয়ারপার্সন হয়ে এলেন বিদগ্ধ ঐতিহাসিক রোমিলা থাপারের মতে যিনি মহাকাব্য আর ইতিহাসের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। আইআইটি দিল্লিতে ‘উন্নত ভারত যোজনা’ নামক আলোচনা সভায় রামদেব গরু, ষাঁড়ের জিন নিয়ে গবেষণা করার উপদেশ দিলেন সারা পৃথিবীর হাস্যাস্পদ হয়ে বিজ্ঞান কংগ্রেসে শাঁখ বাজানোর শারীরিক ও আধ্যাত্মিক গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা হল। কেউ আবার বলে বসলেন প্রাচীন ভারতেই গাড়ি আবিষ্কার হয়েছিল, প্লাস্টিক সার্জারি নাকি চালু ছিল সুব্রহ্মনিয়া স্বামী তাঁর স্বভাবসুলভ ঢংয়ে বাজিমাত করলেন বললেন, রোমিলা থাপার, বিপান চন্দ্রর মতো সমস্ত ‘নেহরুভিয়ান’ ঐতিহাসিকদের বই পুড়িয়ে দিতে। মহাভারত সিরিয়ালের যুধিষ্ঠির গজেন্দ্র চৌহান, বিজেপির সদস্য, তিনি হয়ে গেলেন ‘ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইন্ডিয়া’-র চেয়ারম্যান!  

     

    বাকি ভারতবর্ষের এই ঢেউ 2018 সালে বিশ্বভারতীতে এসে প্রবেশ করল। সারা দেশ যখন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই অত্যন্ত বিতর্কিত রাজনৈতিক বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে একটি সভায় নিয়ে এলেন। এই একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তিনি একটি বিশেষ দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। কারণ আইনটির বিরুদ্ধে বলার জন্য কোন বক্তা নেই, সাংসদ একতরফা সিএএ-র পক্ষে ওকালতি করে যাবেন। স্বভাবতই ছাত্ররা বিরোধিতা করেন, সাংসদ বলেন ‘লেফট ফ্যাসিজম’। আর কর্তৃপক্ষ যাঁরা একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে শিক্ষাঙ্গনে টেনে এনে শাসকের হিন্দুত্বর অ্যাজেন্ডা চালান করার চেষ্টা করেন, তাঁদের তাহলে কী বলা হবে? এরপর গেরুয়াকরণের প্রক্রিয়া পুরোমাত্রায় শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় মানুষ, যাঁদের মধ্যে আছেন বহু মান্যবর আশ্রমিক, তাঁদের সঙ্গে ছোটখাটো অশান্তি লেগেই থাকে। যত্রতত্র পাঁচিল তোলা হতে থাকে। পরিবেশ দূষণের অজুহাত তুলে, জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের আদেশ দেখিয়ে পৌষ মেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা হয়, কোভিডের অজুহাতে মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অথচ, আশেপাশের প্রচুর ক্ষুদ্র কারবারিদের সারা বছরের উপার্জন হয় এই মেলা থেকে। এই ঐতিহ্যপূর্ণ মেলাটি তো ছিল মূলত একটি গ্রামীণ পসরার মেলা, যেখানে প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে হস্তশিল্প, লোকশিল্প, লোকসংস্কৃতি, বাউল ইত্যাদি সেখানে যদি মোবাইল, ফ্রিজ, টিভির শোরুম বসে যায়, ডিজে বাজিয়ে লুঙ্গি ড্যান্স হয় তাহলে তো দূষণ বাড়বেই। ‘বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠন তিন দিনের একটি মেলা করে এই গ্রামীণ মানুষদের বিকিকিনির কিছু সুযোগ করে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে তাঁদের কোনরকম ভাবে সাহায্য করেছে বলে শোনা যায়নি। পরম্পরাগত ভাবে বড়দিনে যে প্রার্থনাসভা হয়, তাও এবার উপাচার্য তার অনুগত কিছু লোকজনকে নিয়েই পালন করেছেন, সেটাও কোভিডের কারণে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি এরপর শুরু হয় অমর্ত্য সেনের ওপর আক্রমণ। তিনি প্রথম থেকেই নরেন্দ্র মোদর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিরোধিতা করেছেন, বরাবর সংঘপন্থীদের ধর্মান্ধ রাজনীতির প্রবল সমালোচনা করেছেন। তাই তাঁর ওপর তাঁদের জাতক্রোধ। তাঁর পৈত্রিক বাড়ির জমির আইনি বৈধতা নিয়ে যখন প্রশ্ন তোলা হয়, তখন বর্তমান কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে যায়। উপাচার্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে অসম্মান করার কোন উদ্দেশ্য তাঁর নেই কিন্তু তিনিই প্রথম সংবাদমাধ্যমে এই কথা প্রকাশ করেছেন। প্রশ্নটা হচ্ছে, আপনি তাঁর নাম বেআইনি ভাবে জমি দখলকারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করছেন এবং সেটা যখন প্রকাশ্যে আলোচনা হচ্ছে তখন তাঁকে তো নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতেই হবে

     

    আরও পড়ুন: পাঁচিল তোলার দরকার নেই

     

    বিশ্বভারতীর এখনকার পরিস্থিতি জেএনইউকে স্মরণ করায়। সেখানেও জগদীশ কুমারকে ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা কার্যকর করার জন্যই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিলতা হল, জেএনইউ-এর চরিত্র পাল্টে দাও। তারপর থেকে সেখানে শুরু হয়েছিল উপাচার্যের চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা। ছাত্রদের সমস্ত দাবিদাওয়া তিনি হেলায় উপেক্ষা করেছেন, নির্বাচিত ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দিতেই অস্বীকার করেছেন। এবিভিপি এবং তাঁদের প্রভুদের অঙ্গুলিহেলনে বিশ্ববিদ্যালয় চালিয়েছেন। এঁদের ছত্রছায়ায় তিনি চুপিসারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করে ফেলেছিলেন। নিয়মবিধির তোয়াক্কা না করে বেশ কিছু শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি-র নিয়মকানুনও মানা হয়নি জেএনইউটিএ (শিক্ষকদের সংগঠন)-এর মতে গত 2016 থেকে 2019 এর মধ্যে অন্তত 14টি ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিটি পাল্টে দিয়ে সংঘীদের নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে 12 জনকে ওয়ার্ডেন করা হয়েছে, বাকি দুজন প্রোক্টর, চিফ প্রোক্টর। এই সময়ে বিভিন্ন স্কুলের আটজন ডিন এবং বিভিন্ন সেন্টারের 21 জন চেয়ারপার্সন নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম মানা হয়নি। এঁরা সবাই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল (EC) এবং এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (EC) সদস্য। এই দুটি কাউন্সিল অত্যন্ত ক্ষমতাশালী। ভর্তি, ক্লাসে উপস্থিতি, নিয়োগ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত এঁদের হাতেই ন্যাস্ত। এঁরা দায়িত্বে আসার পর দেখা গেছে- (1) ব্যয় কমানোর অজুহাতে এমফিল এবং পিএইচডি-তে আসন সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, (2) ছাত্র ও শিক্ষকদের উপস্থিতি আবশ্যিক করে দেওয়া হয়েছে, (3) অনলাইনে ভর্তির পরীক্ষা চালু হয়েছে। এই উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর 47 জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, যার মধ্যে 26 জনকে হস্টেলের ওয়ার্ডেন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক ফি-বৃদ্ধির অন্যতম কুশীলব হচ্ছে উপাচার্যের অনুগত এই ওয়ার্ডেনরা, যাঁরা ‘ইন্টার হল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (IHA)-এর সভায় এই বৃদ্ধি নিয়ে কোন প্রতিবাদই জানাননি। উপাচার্যের বশংবদ এই শিক্ষকরা আলাদা একটা সংগঠনও করেছেন, জেএনইউটিএফ, যাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় 110সংখ্যায় কম হলেও এঁরা কিন্তু বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীনএইজন্য নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য ছাত্রছাত্রীদের এখন প্রতিটি পদে বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জেএনইউ-এর প্রাক্তনীদের মতে গত কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে খোলামেলা পরিবেশ পরিকল্পিত ভাবে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যেমন, মেয়েদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা, ছেলেদের হস্টেলে মেয়েদের যাতায়াতে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। হস্টেলে বাইরের কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না ইত্যাদি

     

     

     

    কিন্তু জেএনইউ তো জঙ্গি ছাত্র আন্দোলনের গড়, সংঘীদের মতে টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-এর আস্তানা। কিন্তু বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনের একই তেজ ও দাপট কোনদিনই ছিল না। তাহলে এখানে দখলদারি কায়েম করার জন্য কেন এত লাফালাফি? সমস্যাটা হচ্ছে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এই মানুষটিকে নিয়ে সংঘদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। এ শুরু সেই স্বাধীনতা-পূর্ব সময় থেকে। বিশ্বকবি তথাকথিত দেশাত্মবোধ, জাতীয়তাবাদের ওপর মানবিকতাকে স্থান দেন; এটা নিয়ে তাঁদের গোঁসা। এই কারণে কোন এক নেতা NCERT-র পাঠ্যক্রম থেকে কবির সমস্ত লেখা সরিয়ে ফেলার আদেশ দেন আবার প্রবল সমালোচনার কারণে কিছু দিন বাদে সেই আদেশ প্রত্যাহার করেন। সুব্রহ্মনিয়া স্বামী জাতীয় সঙ্গীত পাল্টে দেওয়ার উপদেশ দেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্য কোন কল্কে পায় না, কারণ রবীন্দ্রনাথকে সংঘ পরিবারের অতীব প্রয়োজন। যেমন তাঁদের প্রয়োজন মহাত্মা গান্ধীকে যাঁর ওপরে লেখা বই ‘মেকিং অফ আ হিন্দু প্যাট্রিয়ট’ আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত 2021-এর প্রথম দিন উন্মোচন করবেন। বইয়ে গান্ধীর ‘ধর্মীয় দেশাত্মবোধ’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রী ভাগবত অবশ্য বহু আগেই জানিয়েছেন যে, মহাত্মা হচ্ছেন ‘গোঁড়া সনাতনী হিন্দু’ এবং সেই কারণে এটা স্বতঃসিদ্ধ যে, তিনিও হিন্দু রাষ্ট্রের ভাবনার সঙ্গে একমত

     

    আসলে শুরু থেকেই হিন্দুত্বর কাঠামোটা বড় দুর্বল, কঙ্কালসার তাই সেটাকে রক্ত-মাংস দিয়ে পুষ্ট করার জন্য রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী, নেতাজি, বিবেকানন্দ, ভগ সিং সহ যত হিন্দু মনীষী আছেন, তাঁদের চিন্তা দর্শন আত্মসাৎ করা আবশ্যক। বিশ্বকবিকে নিজেদের ছাঁচে গড়ে নিতে হবে, যাতে তাঁর উজ্জ্বল ছটায় সংঘদের হিন্দুত্ব আরও দীপ্তিময় হয়। তাই মোহন ভাগবত ‘স্বদেশি সমাজ’ থেকে উদ্ধৃত করে বলেন, কবি হিন্দু রাষ্ট্রের সমর্থক ছিলেন। তাঁর কাছে কবির বর্ণিত ‘হিন্দু সমাজ’ আর হিন্দু রাষ্ট্র এক। বস্তুত কবি রাষ্ট্র, নেশন এই সংজ্ঞাগুলিকে অপছন্দ করতেন, এটা হয়তো এই ধর্মান্ধ রাজনীতির প্রবক্তাদের জানা নেই। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য কবিকে উদ্ধৃত করেন। কবি যে শান্তিনিকেতনে আশ্রম স্থাপন করেছিলেন, এটা উল্লেখ করে ‘লোকাল ফর গ্লোবাল’ নামক শূন্যগর্ভ কথাটিকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেন

     

    বিশ্বভারতী, অমর্ত্য সেন আক্রান্ত, বিশ্বকবির জীবনদর্শন আত্মসাৎ করার প্রচেষ্টা, এই সব বন্ধ হক। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এই কুৎসি টানাটানি বাঙালি ভালভাবে নিচ্ছে না। এই ব্যাপারে রাজ্যের শাসক দলের ওপরেও দায়িত্ব বর্তায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গন নিজেদের দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়ে দেওয়া কোন কাজের কথা নয়, শিক্ষাক্ষেত্রের ভিতর দিয়ে মিছিল করাও নয়। বিশ্বভারতীর ‘বিকল্প’ কোন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার যদি কোন প্রচেষ্টা হয়, সেটাও একই ভাবে নিন্দনীয়। কবি ও তাঁর বিশ্বভারতী এবং সেটার সুদীর্ঘ ঐতিহ্যকে নির্বাচনের বোড়ে বানানো বন্ধ হোক

     


    সোমনাথ গুহ - এর অন্যান্য লেখা


    গুজরাতে ধর্ষণকারীদের মুক্তি দিয়ে বিজেপি-র স্বাধীনতার অমৃত পান

    সরকারের থেকে জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা কৃষকের অন্যায্য দাবি নয়, হকের পাওনা

    স্থানীয় আদিবাসীদের উপর প্রবল প্রভাবের কারণেই স্ট্যান স্বামীকে সরানো রাষ্ট্রের দরকার ছিল।

    যোগীর শাসনে উত্তরপ্রদেশে সরকার মসজিদ ভাঙছে,ত্রাসে সিঁটিয়ে সংখ্যালঘুরা ।

    শাহিনবাগের বর্ষপূর্তিতে স্মরণীয় সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের শক্তি

    UAPA প্রয়োগ করে রাষ্ট্র যে বিচারের নামে যা খুশি করতে পারে, তার উদাহরণ ভারভারা রাও

    বিশ্বভারতী কাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি ব্লু-প্রিন্টের অংশ মাত্র-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested