এবেলা লুচি ওবেলা পোলাওয়ের মতো সকালে কোপা আমেরিকা বিকেলে ইউরো কাপের ফাইনাল! বাঙালি সারাদিন টিভির সামনে ফুটবলে মত্ত। মাঠে বাঙালি ফুটবলার কোথায়? ভারতীয় ফুটবলের বাঙালি কেন আজ প্রায় হারিয়ে গিয়েছে? এই বিষয়ে গত 12 জুলাই (সোমবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় ক্রীড়া সাংবাদিক রূপক সাহা এবং ফুটবলার কৃষ্ণেন্দু রায় উপস্থিত ছিলেন।
1) ফুটবলের প্রশাসনিক পদে যবে থেকে পরিবর্তন হয়েছে, তবে থেকে বাংলার ফুটবলের খারাপ দিন শুরু হয়েছে।
2) এখন যদি আইএফএ-র কর্মকর্তারা বাংলার প্রাক্তন ফুটবলারদের জেলায় জেলায় পাঠিয়ে ট্যালেন্ট হান্ট-এর মাধ্যমে নতুন প্লেয়ারদের তুলে এনে এখানে ক্যাম্প করে, এবং কোচ দিয়ে তাদের খেলা শেখানো হয় তাহলে বাংলা ফুটবলের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরতে পারে।
3) ময়দানের ক্লাবগুলোয় নতুন প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার তুলে আনার জন্য বিভিন্ন ক্লাবকর্তারা উদ্যোগ নিতেন। তাঁদের সঙ্গে ফুটবলারদের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। এখন সেই ক্লাবকর্তারাই বা কোথায় আর ময়দানে বাঙালি ফুটবলাররাই আর কোথায়?
4) সকলের চোখের সামনে বাংলার ফুটবলটা তিলে তিলে নষ্ট হয়ে গেল। স্থানীয় লিগগুলো বন্ধ হওয়ায় শহরতলি, জেলাগুলো থেকে নতুন খেলোয়াড় উঠে আসেনি।
5) বর্ষায় কলকাতার মাঠগুলোর অবস্থাও শোচনীয় অবস্থায় থাকে। ফুটবলের মতো বডি কনট্যাক্ট গেমে যে কোনও খেলোয়াড় এইসব মাঠে ভয়ঙ্কর চোট-আঘাত পেতে পারে। আর সারা দেশে একমাত্র বাংলাতেই বোধহয় একটা মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল, হকি সব খেলা হয়।
6) নয়ের দশক থেকে বাঙালির পরিবারগুলো যত ছোট হয়ে গেল, তত বাবা মায়েরা ছেলেমেয়েদের ফুটবল থেকে সরিয়ে নিলেন। তাঁদের লক্ষ্য স্থায়ী চাকরি। সেখানে ফুটবল খেলতে গিয়ে চোট আঘাত লেগে কেরিয়ার নষ্ট হওয়ার ভয় আছে। ক্রিকেটে সৌরভের সাফল্য অনেক ছেলেপুলেকে ক্রিকেটে উৎসাহিত করল। ক্রিকেটে গ্ল্যামার আছে, ফুটবলের তুলনায় চোট আঘাত লাগার সম্ভাবনাও কম।
7) বাংলার ফুটবলের উন্নয়নে বাঙালি কোচ চাই। শুধু বিদেশি কোচের পিছনে ছুটলে ফুটবলের উন্নতি হবে না। আবার প্রতিভাবান ফুটবলারদের প্রয়োজনে বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠানোও প্রয়োজন। অনেক বাঙালি ফুটবলার খেলাধূলো করে একটা চাকরি পেয়ে গেলে ঘরমুখো হয়ে পড়ে।
8) এখনও বাংলার নানা প্রান্তে বহু প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার আছে। তাদের তুলে আনতে হবে। কর্পোরেট লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলোকে নিজেদের মুনাফার পাশাপাশি পেশাদারিত্বের পরিচয়ও দিতে হবে।
ভোটের ফল বেরোনোর প্রায় দেড় মাস পরেও বাংলার ফলাফলের ধাক্কা সামলাতে নাজেহাল বিজেপি।
কোভিড টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে।
বাঙালি সারাদিন টিভির সামনে কোপা আর ইউরোর ফুটবলে মত্ত। কিন্তু ভারতীয় ফুটবলে বাঙালি ফুটবলার কোথায়?
সমবায় গুলির নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে, মন্ত্রী হিসেবে এবার কেরামতি দেখাবেন অমিত শাহ?
প্রায় চার বছর পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুকুল রায়। এরপর কী?
মিথ্যা প্রচার, কুসংস্কারের সাঁড়াশি চাপে আজ বিপর্যস্ত বিজ্ঞানসম্মত ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি।