প্রায় দু'বছর ধরে শিক্ষা বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে শিশুরা। আগামী দিনে স্কুল খুললে কেমন হবে লেখাপড়া? দু'বছরের ভয়ংকর শূন্যতা পূরণ করার জন্য আদৌ কিছু ভাবছে সরকার? এই নিয়েই 4thpillarwethepeople.com গত 17 সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল।সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে এই আলোচনায় শিক্ষাবিদ সুকান্ত চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ অচিন চক্রবর্তী এবং স্কুল শিক্ষক অলকানন্দা ঘোষ ও বর্ণালী সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
1) বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষার ছবিটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এমন অনেক বাচ্চারা আছে যারা হয়তো পথে থাকত, স্থানীয় কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে যেত, বর্তমান সময়ে তাদের কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। তারা যে অন্য কোথাও গিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে এমনটা নয়। ফলে বাস্তবে চিত্রটা ভয়াবহ।
2) শিক্ষা বিষয়ক আলোচনায় শিক্ষক নিয়োগ, দুর্নীতি নিয়ে যতটা আলোচনা হয়, ততটা কিন্তু শিক্ষা, পঠনপাঠন, ছাত্রদের বিকাশ ইত্যাদি নিয়ে হয় না। ফলে এটা কিন্তু ভাববার বিষয় একটি।
3) স্কুল খুললে প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে বাচ্চাদের ক্লাসরুমে ফেরানো এবং তাদের আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। এই দেড় বছরে যে গ্যাপটা তৈরি হয়েছে, সেটা যত দ্রুত সম্ভব নানা উপায়ে পূরণ করতে হবে।
4) প্রাথমিক স্তরে এত বছর স্কুল বন্ধ থাকায় বহু পড়ুয়া অক্ষরজ্ঞান ভুলতে বসেছে। গ্রামের দিকে সমস্যাটা আরও প্রকট।
5) অনলাইন ক্লাস যে বিকল্প নয় এবং অনলাইন ক্লাস থেকে সিংহভাগ পড়ুয়া যে বঞ্চিত, সেই কথা তো বারবার বিভিন্ন আলোচনার পরিসরে উঠে আসছে।
6) পড়ুয়াদের পুরনো পাঠগুলি দ্রুত অনুশীলন করানোর জন্য শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাব্রতীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এই কাজে সফল হওয়া সম্ভব।
7) আমাদের রাজ্যে নরমালাইজেশন বা শিক্ষক বদলি নীতি খুব জটিল ও বিতর্কিত। একটি গ্রামে কতজন স্কুলপড়ুয়া আছে, তাদের মধ্যে কতজন নিয়মিত স্কুলে আসে, তা জানতে আমাদের পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিতে হয়। কিন্তু স্থানীয় কোনও শিক্ষক এটা চোখ বুজে বলে দিতে পারেন।
সেই কালিদাসের যুগ থেকেই বর্ষা কবিদের প্রেরণা। নিতান্ত অকবি বাঙালিও বর্ষায় যেন কিঞ্চিৎ বিহ্বল হয়।
ন্যায়বিচারের স্বাভাবিক নীতি মর্যাদা পেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে।
ট্রেন চলছে চলুক, আনুষ্ঠানিকভাবে দায় নেব না, এটাই কি রাজ্য সরকারের গা বাঁচানো অবস্থান?
প্রকৃত বিরোধী দল বিজেপি যখন কিছুটা হতোদ্যম, তখন রাজ্যপালকেই কি রাজনৈতিক বিরোধিতার দায়িত্ব নিতে হল?
সরকারের সমালোচনা করলে, এমনকী গরুর অযত্ন করলেও নাকি রাষ্ট্রদ্রোহ!
সংসদীয় গণতন্ত্রের কফিনে সর্বত্র সবাই পেরেক পুঁতছেন।