করোনার প্রকোপে লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই ভুগছে দেশের সাধারণ মানুষ। অর্থনীতির গতি ক্রমশ নিম্নগামী। পরপর দুটি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ঋণাত্মক। অবশেষে কি একেবারে টেক্সটবুক মন্দা শুরু হল ভারতীয় অর্থনীতিতে? এই নিয়েই গত 13 নভেম্বর (শুক্রবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্ত ও অজিতাভ রায়চৌধুরী
1) সাধারণ মানুষের হাতে নগদের জোগান দিলে হয়তো সাময়িক ভাবে স্থবির অর্থনীতির চাকাটা সচল হতে পারে। কিন্তু এটা দীর্ঘমেয়াদি কোনও সমাধানসূত্র হতে পারে না। বহু মানুষের হাতে কাজ নেই, বেতনে কোপ পড়ছে। এটার প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।
2) অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের হাতে সরাসরি টাকা দেওয়া একটা উপায় হতে পারে। পশ্চিমী দেশগুলোয় যেমন ছোট শিল্পগুলোয় সরকার 6 মাসের বেতন দিয়েছে। সেখানকার সরকার চেয়েছে এই ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগগুলিতে উৎপাদন না হলেও টাকার জোগান যেন থাকে। আমাদের দেশের সরকার কিন্তু তেমনটা করেনি। আমাদের দেশের জাতীয় আয়ের মাত্র 1 থেকে 1.2 শতাংশ সাধারণ মানুষের হাতে দেওয়া হয়েছে, তাও সেটা চাল-ডালের মাধ্যমে।
3) অনিশ্চয়তা যদি মানুষের মনে থাকে তাহলে, মানুষের হাতে টাকা দিলেও সে খরচ করবে না। আর খরচ না করলে অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী হবে না।
4) গরিব মানুষের হাতে এখন টাকা দিলে সে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনবে ঠিকই। তবে, তাতে নতুন জিনিস উৎপাদন হবে না। গুদামে পড়ে থাকা জিনিসই বিক্রি হবে। নতুন কিছু উৎপাদন হবে কিনা তা নির্ভর করছে উৎপাদকের উপর। উৎপাদন ভবিষ্যতের সম্ভাবনার দিকটি খতিয়ে দেখেই নতুন করে উৎপাদনে যাবেন।
5) ছোট মাঝারি শিল্প কিন্তু আজ সরাসরি চাকরি তৈরি করতে পারে না। সামাজিক পরিষেবা— শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় চাকরির সুযোগ তৈরি হতে পারে। এর ফলে যেমন পরিকাঠামো উন্নয়ন হবে, তেমনি অর্থনীতির চাকাই ঘুরবে।
6) সমস্ত জিনিসের মূল্য যদি এভাবেই বাড়তে থাকে, তাহলে একজন মানুষ যতটা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারত, তা আর কিনতে পারবে না। আর তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠবে ক্রমশ। বাজার চাঙ্গা হওয়ার ইঙ্গিত না পেলে, মানুষ তার সঞ্চয় করে রাখা টাকার অধিকাংশই খরচ করতে চাইবে না।
7) আলু পেঁয়াজের দাম কেন বাড়ছে সবাই বুঝতে পারছে। সরকারের দৌলতে মানুষ চাল, ডাল পাচ্ছে কিন্তু তাতে কি চাহিদা মেটে? সব কিছুরই যে দাম বাড়ছে, তার জন্য কি চাহিদা জোগানের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে, সেটা শুধু দায়ী? গণবণ্টন ব্যবস্থায় সরকারি নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। না হলে ক্রমবর্দ্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে ফাটকাবাজরাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে।
মানুষ কখন প্রার্থনা করবে, তা রাষ্ট্র ঠিক করে দেবে না।
এই হিন্দি আগ্রাসন একমাত্র নিজের ভাষার প্রতি কতটা দরদ, ভালবাসা আছে, তা দিয়েই আটকানো সম্ভব।
আজ তৃতীয় পর্বে গায়িকা সারণির বাড়ির অন্দরে চোখ রাখব আমরা।
দেশের কাণ্ডারীর কথায় পাওয়া গেল আশার আলো।
সব মিলিয়ে বর্ষবরণের চেয়ে বর্ষবিদায়ের আনন্দ বোধহয় এবার একটু বেশি।
ব্যক্তি ট্রাম্প এখানে আলোচ্য বিষয় নন। ট্রাম্প একটা বিকৃত মতবাদের প্রচার এবং প্রসার করছেন মাত্র।