কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানে হিন্দি ব্যবহারের ফরমান। সমস্ত কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই দিল্লি থেকে কর্তাদের চাপানো নানা নিদান। বহুত্ববাদী মুক্ত উদার শিক্ষার দিন কি শেষ? এই বিষয়ে www.4thpillars.com গত 26 মার্চ (শুক্রবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী এবং পদার্থবিজ্ঞানী পলাশবরণ পাল। Will Majoritarianism in education bring the end of pluralistic liberal education in India?
1) একটা ভাষার ওপর অন্য কোনও ভাষার প্রভাব স্বাভাবিকভাবে পড়তেই পারে। কিন্তু বাংলা ভাষাতে কৃত্রিমভাবে হিন্দি ভাষার প্রভাব পড়ছে।
2) কেউ আঞ্চলিক ভাষা না জানলে, না বুঝলে, তাকে সেই জায়গায় চাকরি দেওয়া বন্ধ করতে হবে ভারতে। এটা গোটা বিশ্বে মেনে চলা হয়। তাহলে এখানে নয় কেন?
3) সারা দুনিয়াতে উচ্চশিক্ষা কিংবা গবেষণাধর্মী কাজ ইংরেজি ভাষাতেই হয়। সুতরাং তাকে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়, আর হিন্দি কখনওই তার বিকল্প হতে পারে না।
4) এই হিন্দি আগ্রাসন একমাত্র নিজের ভাষার প্রতি কতটা দরদ, ভালবাসা আছে, তা দিয়েই আটকানো সম্ভব। এবার এটাই দেখার বিষয় যে, আমাদের মধ্যে সেটা কতটা আছে।
5) গবেষণাতে যদি ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে করা হয় এবং প্রবন্ধ প্রকাশ করতে বলা হয়, তবে সেই কাজ বিশ্বের অর্ধেক মানুষের কাছেও পৌঁছবে না। কেননা, ইউরোপ বা আমেরিকার কেউ হিন্দি বুঝবেন না।
6) যত এরকম দৃষ্টান্ত আসবে যে, হিন্দি ভাষাতেই উচ্চশিক্ষা করতে হবে ততই চিন্তা বাড়বে। উত্তরোত্তর সারা দেশে এই ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে যে, শিক্ষক মানেই তাদের কাজ শুধুই শিক্ষাদান। তাঁরা আর অন্য কোনও বিষয়ে মাথা ঘামাবে না। তাঁদের কোনও মতামত থাকবে না। অন্যান্য সব বিষয় তাঁদের অগ্রাহ্য করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে সেটা তো সম্ভব না।
নগদ ত্রাণের কালচার এখনও রপ্ত হয়নি আমাদের!
আমরা যেন এই মহামারীর সময়ে ঘটা গুজরাতের ভেন্টিলেটর কেলেঙ্কারির কথা না ভুলে যাই।
মানবাধিকারও কি দলীয় রাজনীতির কুক্ষিগত আজ?
সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক শিষ্টাচার ভাঙায় রাজ্যপালই পশ্চিমবঙ্গে এখন এক নম্বর।
দুর্গাপুজোর মতোই আবারও আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন দীপাবলিতে দূষণ ঠেকাতে?
আজ দ্বিতীয় পর্বে গায়ক শুভজিতের দুবাইয়ের বাড়ির অন্দরে চোখ রাখব আমরা।