2019 সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল নাগরিকত্ব। আর অসম এবং বাংলা হল দেশের সেই দুই রাজ্য যেখানে এর অভিঘাত সবথেকে বেশি। দুই রাজ্যে এবার বিধানসভা ভোটে বিজেপির মুখে কোথায় নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ? এই বিষয়ে গত 7এপ্রিল (বুধবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রজত রায় এবং সমাজকর্মী অনির্বাণ তলাপাত্র।
1. নাগরিক পঞ্জী এবং নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভোটের মুখে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে নতুন কিছুই শোনা যাচ্ছে না। বিজেপি তাদের ইস্তেহারে নয়া নাগরিকত্ব আইনের কথা বললেও, বিরোধী দলগুলি এই ব্যাপারে নিশ্চুপ।
2. স্থানীয় স্তরের প্রচারে বিজেপি বারবার প্রচার করছে যে, অনুপ্রবেশকারীদের জন্য কী কী সমস্যা হচ্ছে। তার সঙ্গে এও বলছে এনআরসি হলে মতুয়ারা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবে।
3. নয়া নাগরিকত্ব আইন বা CAA-র মাধ্যমে আসলে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করা হচ্ছে। নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়া নয়, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
4. নয়া নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে মতুয়াদের মন জয় করার চেষ্টা করতে সফল হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারায়, মতুয়া ভোটও এবার নিরঙ্কুশ ভাবে বিজেপির ঘরে যাচ্ছে না। যদিও অধিকাংশ মতুয়া এখনও বিজেপিকেই চাইছেন।
5. রাজনৈতিক দলগুলি এখন ভোটসর্বস্ব রাজনীতি করছে। ভোটের জন্য তারা NRC এবং CAA ইস্যুতে স্ববিরোধী অবস্থান নিচ্ছে। সাধারণ মানুষ, বিশেষত দুই 24 পরগণা এবং নদীয়ার মানুষ যখন এই দু'টো ইস্যু নিয়ে ভাবিত, তখন বাম তৃণমূলের মতো দলগুলি নীরব।
6. রাজ্য সরকার এনআরসি বন্ধ করতে পারে না, কিন্তু বাধা দিতেই পারে। কারণ এনআরসি করতে গেলে রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের সাহায্য প্রয়োজন, তো সেখানে রাজ্য সরকার স্টে অর্ডার দিলে কেন্দ্রীয় সরকার বিপাকে পড়ে যাবে।
বাংলার ত্রস্ত নীলিমায় আবার দাঁড়াতে হবে কে ভেবেছিল?
ভাইরাস এসেছে চিন থেকে। ভারতীয় টোটকাও বেরিয়ে গেছে।
গণতন্ত্রের এই বীভৎস বিকৃতির পরিণাম আদৌ কি ভেবে দেখেছেন কেউ?
দুই রাজ্যে এবার বিধানসভা ভোটে বিজেপির মুখে কোথায় নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ?
ধর্ষণের অপরাধ কি বিয়েতে মকুব হয়ে যায়?
খাঁচার তোতাপাখি সিবিআই কি মালিকের হুকুম মানতে গিয়ে আইন ভাঙছে?