×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • খাঁচার তোতার কাণ্ড

    4thpillars ব্যুরো | 21-05-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী এবং আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এবং অরুণাংশু চক্রবর্তী।

    করোনা মোকাবিলা‌ই যখন সকলের প্রথম কাজ, তখনই রাজ্যে 5 বছরের পুরনো মামলায় অতি সক্রিয় সিবিআই। হাইকোর্টে ধৃতদের জামিন স্থগিত নিয়ে উঠছে বহু আইনি প্রশ্ন। খাঁচার তোতাপাখি সিবিআই কি মালিকের হুকুম মানতে গিয়ে আইন ভাঙছে? এই বিষয়ে গত 20 মে www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী এবং আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এবং অরুণাংশু চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

     

     

    1) নারদ কাণ্ডে যে অভিযুক্ত নেতামন্ত্রীদের গ্রেপ্তারি হল সেটা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। চার্জশিট ফাইল হওয়ার পর সম্পূর্ণ বিষয়টা কোর্ট আর বিচারাধীনদের মধ্যে থাকে। সেখানে সিবিআইয়ের কোনও ভূমিকা নেই।

     

    2) সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বেল অর্ডার পাওয়ার পর হাইকোর্ট তাতে আর নাক গলাতে পারে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উল্টো ছবি ধরা পড়ল।

     

    3) নারদ কাণ্ডে যদি সিবিআইকে সঠিক ভাবে তদন্ত করতে হয় তবে সর্বাগ্রে তাদের মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে জেরা করা উচিত। তারা যদি সেক্ষেত্রে সহযোগিতা না করেন তাহলে তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। আর অবস্থা যদি সত্যি সেদিকে এগোয় তাহলে বিজেপি নিজেদের স্বার্থে শুভেন্দুকে স্যাক্রিফাইস করতে পিছপা হবে না।

     

    4) মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার পর বিচারপ্রক্রিয়ায় তদন্তকারী সংস্থার কোনও ভূমিকা থাকবে না। অথচ এখানে সিবিআই আগাগোড়া বিচারপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে গেল।

     

    5) দেশের কোনও হাইকোর্ট মামলাকে অন্য হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করতে পারে না। রাজ্যের অন্য আদালতে স্থানান্তরিত করতে পারে। একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে মামলা স্থানান্তরিত করতে পারে। 

     

    6) কোভিড পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট বয়স্ক বন্দিদের মুক্তি দিতে বলছে। সেখানে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যেকেরই যথেষ্ট বয়স হয়েছে। তাঁরা কেউ পালিয়ে যাচ্ছেন না বা তদন্ত প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছেন না। অন্তত তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তাহলে কেন তাঁদের তড়িঘড়ি গিয়ে গ্রেপ্তার করা হল?

     

    7) মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসে থেকেছেন। সেটা তিনি করতেই পারেন। তিনি কি সিবিআইয়ের কাজে বাধা দিয়েছেন? তেমন কি কোনও তথ্যপ্রমাণ সিবিআই দিতে পেরেছে?

     

    8) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবেও সিবিআই-এর হাতে আটক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন। তার জন্য তাঁদের কেন মূল মামলায় যুক্ত করা হবে? যদি অভিযোগ আনতেই হয়, স্বতন্ত্র মামলা করা উচিত। 

     

    9) হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার এক কথায় অভিযুক্ত নেতামন্ত্রীদের জামিনে স্থগিতাদেশ দিলেন। অথচ অভিযুক্তরা তাঁদের বক্তব্য জানাতে গেলে বলা হল, আগে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হবে। এটা কি পক্ষপাত নয়?


    4thPillars ব্যুরো - এর অন্যান্য লেখা


    প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানের আবিষ্কার নিয়ে গর্ব করার বদলে কল্পিত পুষ্পক রথের গল্প ফাঁদে মূর্খ।

    বিজেপির আধিপত্যবাদী, বিভাজনকেন্দ্রিক এবং পুরুষতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে দ্বিধাহীন রায় দিল বাংলা।

    শুধু বিহারীদের বীরত্বের কথা মনে পড়ছে প্রধানমন্ত্রীর, বিহারে বিধানসভা ভোট আসছে বলে?

    প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে অপরাধ এবং অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। আইন মেনে অপরাধী শাস্তি পাক

    পঞ্চম পর্বে অভিনেত্রী স্নেহা চট্টোপাধ্যায়ের মুখে তাঁর ঘরবন্দি জীবনের কথা।

    খাঁচার তোতার কাণ্ড-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested