যাদের কাজ ভোটারদের অভয় দেওয়া সেই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চারজন ভোটার খুন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ওই খুনের ঘটনার উল্লেখ করে ভয় দেখাচ্ছেন ভোটারদের। গণতন্ত্রের এই বীভৎস বিকৃতির পরিণাম ভেবে দেখেছেন কেউ? এই বিষয়ে গত 12 এপ্রিল (সোমবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র এবং পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা।
1) পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, এটি কি আদৌ একটি স্বাধীন এবং স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান? কেন্দ্রের শাসকদলের নেতা সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে হুমকি দিচ্ছেন, তারপরেও কমিশন নীরব। সাধারণ ভোটারদের অভয় দিতে কমিশনের উদ্যোগ কোথায়?
2) ভারতে এখনও পর্যন্ত যতগুলি পুলিশ বা সেনার হাতে সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে, ততগুলিতেই পুলিশের তরফে ‘আত্মরক্ষা’-র কথা বলা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোনও শাস্তি হয়নি।
3) বিজেপি নেতারা একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন। মৃত্যু নিয়েও ধর্মীয় বিভাজন হচ্ছে। সংবিধানের অবমাননা হচ্ছে। অন্যদিকে মমতাও আধাসেনাকে ঘেরাও করার কথা বলে ঠিক করেননি। কিন্তু তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাস্তি দেওয়া হলে বিজেপির নেতামন্ত্রীরা ছাড় পাবেন কেন?
4) রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভোট-রাজনীতির জন্য অনৈতিক কাজ করলেও, খারাপ ব্যাপার এটাই যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেই খারাপ কাজগুলো রুখতে ব্যর্থ। তাই আরও বেশি করে এইসব নেতারা উৎসাহ পাচ্ছেন।
5) নির্বাচন কমিশনের যেভাবে কাজ করা উচিত সেভাবে তারা কাজ করছে না। ফলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জীবনে অন্য ক্ষেত্রে, অন্য পরিচয়ে সফল, প্রতিষ্ঠিত হলেই কি রাজনীতিতে আসা যায়?
5 বছরের পুরনো নারদ মামলা নিয়ে হঠাৎ সক্রিয় সিবিআই। দুর্নীতি নিয়ে এই রাজনীতির পিছনে আসল খেলাটা কী?
কোভিডের টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে। কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ পিছিয়ে দেওয়া কি সত্যিই বিজ্ঞানসম্মত?
বিজেপির আধিপত্যবাদী, বিভাজনকেন্দ্রিক এবং পুরুষতান্ত্রিক রাজনীতির বিরুদ্ধে দ্বিধাহীন রায় দিল বাংলা।
শুক্রবার আলোচনার পঞ্চম দিনে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক অভিরূপ সরকার।
এই 'জাতীয় স্বার্থ' বিষয়টা ঠিক কী? কোথায় বলা আছে? কে ঠিক করল? তা কি শুধুই শাসকের বন্দনা?