×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সে দেশের ভারতীয় মার্কিন সমাজ

    4thpillars ব্যুরো | 02-11-2020

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সে দেশের ভারতীয় মার্কিন সমাজ নিয়ে আলোচনায় সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্ত ও বিশিষ্টজনেরা

    অভূতপূর্ব উন্মাদনা তৈরি হয়েছে এবারের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোটে হারলেও ক্ষমতা ছাড়বেন কিনা সন্দেহ। জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে থাকলও নির্বাচনী পদ্ধতির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের জয় নিশ্চিত নয়। কী হতে চলেছে 'লিবার্টি'-র দেশে? এই নিয়েই www.4thpillars.com 1 নভেম্বর (রবিবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক প্রণয় শর্মা এবং ভারতীয়-মার্কিন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শুভ্র দত্ত, রত্না দে এবং তিতাস রায়।

     

     

    1) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার এক অভূতপূর্ব নির্বাচনের সাক্ষী হতে চলেছে। বিভিন্ন প্রদেশে দাঙ্গা এবং গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প জিতুন বা হারুন, এই ঘটনাক্রম সকলকে উদ্বিগ্ন করছে।

    2) জনপ্রিয়তার নিরিখে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র‍্যাট নেতা জো বাইডেন কয়েক কদম এগিয়ে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে মার্কিন মুলুকে ভোট হয়, তাতে পপুলার ভোটে জিতেও হোয়াইট হাইসের প্রবেশাধিকার নাও মিলতে পারে। কারণ একেকটি রাজ্যে যে দল জেতে তারাই সেই রাজ্যের সব আসন পেয়ে যায়, পপুলার ভোটের ফল যাই হোক না কেন। 2016সালে ঠিকএই ভাবেই ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন হিলারি ক্লিন্টন।

    3) যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনও ব্যক্তি অতি-সুলভে নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বহুজাতিক সংস্থাগুলি তাদের আউটলেটে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি বন্ধ রেখেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে আক্রমণ করার ঘটনা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    4) হালের পিঙ্ক ফ্লয়েড হত্যাই শুধু নয়, মার্কিন পুলিশের বিরুদ্ধে আগেও এমন বিচার বহির্ভূত হত্যার অভিযোগ এসেছে। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার পরবর্তী বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও পুলিশ বলপ্রয়োগ করেছে। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট বিক্ষোভকারীদের পুলিশ দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন।

    5) করোনা পরিস্থিতিতে বহু মার্কিন নাগরিক আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। এদের বেশিরভাগই ট্রাম্প বিরোধী ডেমোক্র্যাট। এই ভোট গণনা হবে পরে। সেই ভোট গণনায় দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। রিপাবলিকান ট্রাম্প নির্বাচনের দিন পাওয়া ভোটকেই চূড়ান্ত ধরে নিয়ে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

    6) 2016-র তুলনায় অনেক বেশি মানুষ এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রতিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ব্যালট বাক্স বসানো হয়েছে। সেখানে পুলিশি প্রহরাও রাখা হয়েছে। মাঝে অভিযোগ উঠেছিল, নিজের বিরুদ্ধে ভোটদান আটকাতে ট্রাম্প ডাক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।

    7) করোনা মহামারী এমন পরিস্থিতি তৈরি না করলে ট্রাম্পই হয়তো পুনরায় নির্বাচিত হতেন। কিন্তু করোনা মোকাবিলায় তাঁর নীতি এবং সদিচ্ছা নিয়ে গোটা দেশেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। ট্রাম্প আগাগোড়া বিষয়টাকে হালকা করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু করোনার অর্থনৈতিক অভিঘাতকে এড়িয়ে যাওয়া সহজ নয়।

    8) ট্রাম্প অর্থনৈতিক সংকটের দায় ডেমোক্র্যাট এবং প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন। তিনি দেখানোর চেষ্টা করছেন যে, বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটদের চাপে পড়েই তাঁকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রেখে করোনা পরিস্থিতির সামাল দিতে হচ্ছে।

    9) ট্রাম্প অভিবাসন প্রশ্নে আগাগোড়া কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথা বলেছেন। এখন ভাল অভিবাসী এবং খারাপ অভিবাসী বিভাজন করার চেষ্টা হচ্ছে। কিছু বছর আগে যারা নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তারাও এখন অভিবাসন বন্ধের দাবি জানাচ্ছেন! মূলত এরাই ট্রাম্পের গোপন ভোটব্যাঙ্ক। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন যথেষ্ট কড়া। সেখানে চাইলেই কেউ সহজে মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে পারে না।

    10) নিজের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকতেই হয়তো এই বহিরাগত, অভিবাসী হঠাও-এর ডাক দেওয়া হচ্ছে। অভিবাসীদের একটা বড় অংশ যেমন সে দেশের মেধাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে, তেমনই অভিবাসীদের আর একটা অংশের কায়িক শ্রমেই মার্কিন কৃষিক্ষেত্র সচল রয়েছে। তাছাড়া ইতিহাসগত ভাবে গোটা দেশটাতেই কমবেশি সবার অবদান আছে, আমেরিকা শুধুই ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গদের দেশ নয়।

    11) ডেমোক্র্যাট শিবিরের কমলা হ্যারিস ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ায় সব ভারতীয় মার্কিন যে তাঁকে ভোট দেবেন এমন নয়। গোটা আমেরিকা এখন পুলিশি অতিসক্রিয়তার বিপক্ষে কথা বলছে। কমলা সেখানে কঠোর পুলিশি ব্যবস্থার পক্ষে। তাও ট্রাম্পের তুলনায় বেশি ভরসাযোগ্য, এমন বিবেচনা করে অনেকেই ওনাকে ভোট দিতে পারেন।

    12) মার্কিন অর্থনীতির কাছে ভারত একটা বৃহৎ এবং সম্ভাবনাময় বাজার (Market)তাই, ট্রাম্প বা বাইডেন, হোয়াইট হাউসে যেই যান না কেন, ভারতের সঙ্গে তাঁরা সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন। তাছাড়া বিল ক্লিন্টন পরবর্তী সময়ে ভারতের প্রতি আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা বড় বদল এসেছে। গত এক দশকে আমেরিকা ভারত নৈকট্য বেড়েছে।


    13) ভোটের ফলাফল তাঁর বিরুদ্ধে গেলে ট্রাম্প তা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করতে পারেন এবং প্রেসিডেন্ট হিসাবে থেকে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তার ইঙ্গিত তিনি আগেও দিয়ে রেখেছেন। সেক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট এবং ট্রাম্প বিরোধী আমেরিকানরা তো বটেই, রিপাবলিকানরাও ট্রাম্পের বিপক্ষে চলে যেতে পারেন— যারা এতকাল মার্কিন সেনেটে ট্রাম্পকে সমর্থন জুগিয়ে এসেছেন। তেমন হলে ট্রাম্প পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।


    4thPillars ব্যুরো - এর অন্যান্য লেখা


    বিশ্বভারতীতে আসলে হচ্ছেটা কী? আলোচনায় সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর তি

    শুক্রবার আলোচনার পঞ্চম দিনে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক অভিরূপ সরকার।

    চেতনাকে যেন শান দিয়ে গেছে জীবনের বিনিময়ে

    কেউ বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করলেই কি তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে?

    করোনা সম্পর্কে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি সোশাল মিডিয়ায়। এও এক মহামারীই বটে।

    করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। তবু রাজনীতিক ও জনতার মধ্যে সচেতনতার বালাই নেই।

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও সে দেশের ভারতীয় মার্কিন সমাজ-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested