সে বহুকাল আগের কথা, যখন শুধুমাত্র ব্রিটেনে (Britain) বড়দিন (Christmas) উদযাপন করা হত। তবে এখনকার মতো করে নয়, কোনও রকমে গির্জায় (Church) মোমবাতি দিয়ে। তারপর কেটে গিয়েছে বহু শতাব্দী। রাজা-রানির পাট চুকিয়ে সমাজ ব্যবস্থায় গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, আরও কত কি এল। হিটলারের পতন হল, জার্মানি একত্রিত হল আর আমেরিকা (USA) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে দেশে দেশে সান্তা ক্লজ (Santa Claus) হয়ে আনন্দ ও শান্তির বার্তা নিয়ে গেল, অবশ্যই অর্থের বিনিময়ে।
বিশ্বজুড়ে বড়দিনে আলাদা এক ধরনের উন্মাদনা দেখা যায়। রাস্তাঘাটে, বিশেষ করে শপিং মলে এক এক জন করে সান্তা ক্লজ দেখা যায়। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে এই সান্তা ক্লজকে নিয়ে বেশ মজার মজার গল্পও শোনা যায়। সাদা চুল-দাড়ির সান্তা ক্লজ নামে এক বুড়ো লোক লাল জামা পড়ে স্লেজ গাড়ি ভর্তি উপহার নিয়ে আসে বাচ্চাদের জন্য। বাচ্চারা উপহার পাওয়ার আশায় বারান্দায় মোজা ঝুলিয়ে রাখে। বড়দিনে ভোর হওয়ার আগে সান্তা এসে ওই মোজাতে উপহার দিয়ে যায়।
এই সান্তা ক্লজ আগে সেন্ট নিকোলাস নামে পরিচিত ছিলেন। তুরস্কের বাসিন্দা নিকোলাস ছিলেন খ্রিস্টান। মানুষের সাহায্য করা এবং বাচ্চাদের প্রতি তাঁর ভালবাসার কারণে তিনি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সেই সময় তুরস্ক ছিল রোমান সাম্রাজ্যের দখলে। রোমান সম্রাট খ্রিস্টধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের হয় কারাগারে বন্দি করে রাখতেন অথবা মৃত্যুদণ্ড দিতেন। একই কারণে সেন্ট নিকোলাসকেও কারাগারে যেতে হয়েছিল। চেক প্রজাতন্ত্র, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ডে সেন্ট নিকোলাসকে স্মরণ করে 6 ডিসেম্বর উৎসব পালিত হয়।
আরও পড়ুন: বাপুজি: ভারত-পথে লাঠি হাতে কেক-ওয়াক!
তুরস্ক থেকে নেদারল্যান্ডস যিনি সেন্ট নিকোলাস নামে পরিচিত ছিলেন ঠান্ডা যুদ্ধের শেষে আমেরিকার হাত ধরে গোটা বিশ্বে তিনি কী ভাবে সান্তা ক্লজ হয়ে গেলেন এই নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। উনিশ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বেশ কিছু কবিতায় সান্তা ক্লজের উল্লেখ পাওয়া যায় কমিকসে ও সিনেমায়। ধীরে ধীরে বাজার ছেয়ে ফেলে এই লাল টুপি পরা সাদা চুল-দাড়ির লোকটি। সাদামাটা বড়দিনের নিয়ম বদলে শুরু হয় নতুন কিছু রীতিনীতি। তারপর থেকে আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে বড়দিনের নৈশভোজ ছাড়া ইউরোপীয়দের আর বছর কাটে না। সঙ্গে আবশ্যিক বেশ কিছু উপহার যা সান্তা নিয়ে আসে, নর্থপোল থেকে নয়, বাজার থেকে।
এই বাজারের বড়দিন আজ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের বাড়িতে আসে কেক, ক্রিসমাস ট্রি। আর ‘মেরি ক্রিসমাস’ বলার সঙ্গে সঙ্গেই ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে কাছের মানুষদের দামি দামি উপহার দেওয়াটা কার্যত রেওয়াজে পরিণত হয়েছে।
চাকচিক্যের মোড়কে ধর্মকে জড়িয়ে গোটা বিশ্ব থেকে মুনাফা আদায়।
খাদ্যের অতিরিক্ত সংরক্ষণ এবং তার ব্যবহারের কারণে মানুষের পাশাপাশি পৃথিবীও অসুস্থ।
হিজাব বা অন্য পোশাক নয়,মৌলবাদী শাসকদের আসল টার্গেট নারীর শিক্ষার অধিকার ও স্বাধীনতা।
নিম্ন মানের কৃষি বীজ এবং তার অনিয়ন্ত্রিত বাজার দেশে প্রাকৃতিক চাষের পথে অন্যতম প্রধান অন্তরায়।
সস্তা এলইডি আলোর রমরমায় বিপন্ন শহরের পাখিরা।
দেশে আসলে চলছে ধনকুবেরদের শাসন প্লুটোক্র্যাসি, মোদী-শাহরা নাটকের চরিত্র মাত্র