শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতী অবাঞ্ছিত কারণে ইদানিং বারবার সংবাদমাধ্যমের চর্চায়। উপাচার্যের সঙ্গে আশ্রমের প্রাক্তনীদের সাম্প্রতিক বৈঠকে কর্পোরেট কর্তার সঙ্গে বেতনভোগী কর্মীর সম্পর্কের ছায়া। বিশ্বভারতীতে আসলে হচ্ছেটা কী? এই নিয়েই www.4thpillars.com গত 18 অক্টোবর (রবিবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। এই আলোচনায় সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর তিন প্রাক্তনী, কুন্তল রুদ্র, সুদৃপ্ত ঠাকুর এবং শমীক ঘোষ।
1) উপাচার্যর সঙ্গে প্রাক্তনীদের বৈঠকে প্রাক্তনীদের তরফে 19 দফা দাবি রাখা হয়েছিল। সেখানে প্রাক্তনীরা উপাচার্যকে বিশ্বভারতীর ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে, উপাচার্য জানান তিনি শুধু বর্তমানের প্রেক্ষিতেই কাজ করতে চান!
2) বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যমন্ডিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা দীর্ঘকাল যুক্ত ছিলেন, সেই সকল প্রাক্তনীদের সঙ্গে কথা বলতে উপাচার্য রাজি ছিলেন না। শেষে খানিক বাধ্য হয়েই 5 জন প্রাক্তনীর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন। সেখানেও প্রাক্তনীদের বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে শোনা হয়নি।
3) উপাচার্যের প্রায় প্রতিটি বক্তব্যে যেন নির্দেশের প্রতিধ্বনি। বুধবারের উপাসনায় যোগ দেওয়ার জন্যও তিনি সবার ওপর ফতোয়া জারি করছেন। উপাচার্য বিশ্বভারতী পরিচালনায় কোনও বিরোধী কন্ঠস্বর রাখতে চাইছেন না। প্রাক্তনীদের সঙ্গে উপাচার্যের যোগসূত্র না থাকায়, আখেরে বিশ্বভারতীরই ক্ষতি হচ্ছে।
4) রবীন্দ্রনাথের উপাসনাগৃহ উপাচার্যের কথায় এখন 'মন্দির'। এখন এই মন্দির বলতে উপাচার্য কী বুঝছেন, তা তিনিই ভাল বলতে পারবেন। এখন তো উপাচার্যের নামফলকেও হিন্দি 'কুলপতি' শব্দটি লেখা থাকে, যা বিশ্বভারতীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। প্রায়শই উপাসনাগৃহের অন্দরে লঘু রসিকতা করতেও দেখা যায় উপাচার্যকে।
5) শান্তিদেব ঘোষের মতো কৃতী আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীদের বাড়িগুলিও বিশ্বভারতীর দখলে আনতে চাইছেন উপাচার্য। প্রাক্তনীদের এ ব্যাপারে সাহায্য করতে বলছেন। অনেক মানুষ কার্যত বাধ্য হয়েই শান্তিনিকেতন ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তাদের চলাচলের রাস্তায় কর্তৃপক্ষ পাঁচিল তুলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি কীভাবে বিশ্বভারতী দখল করতে পারে?
6) উপাচার্যের দাবি, বিশ্বভারতীর পারসোনাল মেমোরিয়াল হসপিটালে এতদিন ধরে নিখরচায় যেসব প্রাক্তনীর চিকিৎসা হয়েছে, তাদের সেই খরচগুলো মিটিয়ে দিতে হবে। প্রাক্তনীদের মধ্যে পেনশনভোগীরা তাঁদের চিকিৎসা ভাতা ছেড়ে দিতে প্রস্তুত। অন্যদের প্রশ্ন, অসুস্থ হলে যাবেন কোথায়, অন্য হাসপাতাল কোথায়?
7) বিশ্বভারতীর বর্তমান সকল শিক্ষক, কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী পরিচালনায় গণতান্ত্রিকতাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। আর আজ যারাই উপাচার্যের কর্মপদ্ধতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন, তাদের সাসপেন্ড করে দেওয়া হচ্ছে, অবসরকালীন সুবিধা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। মন্দির সংস্কারের জন্য কারও অনুমতি না নিয়েই তাদের বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত অনৈতিক এবং বেআইনি একটি কাজ। প্রবীণ আশ্রমিক কিংবা অধ্যাপকরাও এক্ষেত্রে রেহাই পাচ্ছেন না।
8) যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য বছরে 7 কোটি 20 লক্ষ টাকা আর ল্যাবরেটরি খরচ বাবদ 25 লক্ষ টাকা খরচ করা হয়, সেখানে কর্তৃপক্ষের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই একটা ধন্দ থেকে যায়। বিশ্বভারতীর মানোন্নয়নে উপাচার্য কতটা উদ্যোগী প্রশ্ন রয়ে যায় সেটা নিয়েও।
ইংরেজি নতুন বছর সম্ভাবনার, প্রতিকূলতারও বটে।
জনমানসে প্রশ্ন, কৌতূহল; সত্যিই কি no one destroyed Babri Masjid?
কোথা সে সিনেমা হল / কোথা সে শপিং মল / চিরিদিকে ঘোলা জল / করিতেছে খলবল
এ বছর ভোটে ধর্মীয় বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গেই ভাষাভিত্তিক এবং লিঙ্গভিত্তিক বিভাজনেরও সাক্ষী থাকছে বাংলা।
সরকারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা স্বীকার না করে প্রধানমন্ত্রী বল ঠেলে দিলেন রাজ্যগুলির কোর্টে।
বাংলার নির্বাচনে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিজেপির কি মাথাটাই গেল?