5 বছরের পুরনো নারদ মামলা নিয়ে হঠাৎ সক্রিয় সিবিআই। গ্রেফতারিতে স্পষ্টতই পক্ষপাত, বাদ গেল বিজেপির নেতারা। দুর্নীতি নিয়ে এই রাজনীতির পিছনে আসল খেলাটা কী? এই বিষয়ে গত 17 মে www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, শুভাশিস মৈত্র এবং সুব্রত সেন উপস্থিত ছিলেন।
1) যদিও এটার কোনও প্রমাণ নেই যে কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বেই আজকের গ্রেপ্তারের ঘটনাটি ঘটেছে কিন্তু এ কথা সকলেরই জানা যে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সমস্ত সংস্থাই কাদের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। আজকের গোটা ঘটনাটার পিছনে একটা সুচিন্তিত পদক্ষেপ আছে।
2) গোটা বিষয়টায় একটা গোপন কার্যকলাপের ছাপ সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে।
3) গনতন্ত্রকে ভাল করে চালাতে গেলে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো এবং সংস্থাগুলোকে কিছু এথিক্স মেনে চলা উচিত। আজকের গোটা ঘটনাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে, এবং কোনও এথিক্স মানা হয়নি।
4) সারাদিন ধরে একটা অলীক কুনাট্য চলল বঙ্গ রাজনীতিতে। বিশেষত এই কোভিড পরিস্থিতির মাঝে।
5) ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত নেতামন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার জন্য বেছে বেছে এই সময়টাই বেছে নেওয়া হল কেন, যখন এইসব জনপ্রতিনিধিরা কোভিড মোকাবিলায় ব্যস্ত রয়েছেন।
6) বিজেপি একটা ভুল করে ফেলল। ভোরবেলা চোরের মতো নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করে আনল, কিন্তু বিকেলের পর ছেড়ে দিতে বাধ্য হল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এটা জেনেই কি শুধু তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার জন্য এটা করা হল? নাকি 75 জন বিধায়কের মধ্যে যাতে কেউ তৃণমূলে যেতে না পারে তার ব্যবস্থা রাখা হল।
7) রাজ্যপাল পদটা তুলে দেওয়ার দাবি পুরোপুরি সমর্থনযোগ্য নয়। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের কিছু ভূমিকা থাকে। তবে রাজ্যপাল নিয়োগের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।
8) বিধানসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি রাজ্যপাল দিচ্ছেন। তাহলে তৎকালীন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়দের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন চাইছে না কেন সিবিআই?
9) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যপাল ভাবছেন অন্যান্য রাজ্যের মতো এখানেও এসব করে বিরোধীদের ভয় পাইয়ে রাখা যাবে। কিন্তু প্রকৃত জননেত্রীর মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সহকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দৌড়ে গেলেন। এমনটা ঘটবে তা এই প্রতিহিংসার কুশীলবরা বুঝতে পারেননি।
এ বছর ভোটে ধর্মীয় বিভাজনের সঙ্গে সঙ্গেই ভাষাভিত্তিক এবং লিঙ্গভিত্তিক বিভাজনেরও সাক্ষী থাকছে বাংলা।
দেশের শাসকের বিরুদ্ধে সোচ্চার নাগরিক সমাজ। প্রতিবাদে সামিল কলকাতার শিল্পীরা।
এখনও শুধুই বায়বীয় স্বপ্ন দেখিয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী?
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনায় শিক্ষাবিদ পার্থ প্রতিম রায় এবং JBNSTS-এর অধিকর্ত্রী, অধ্যাপিকা মৈত্রী
মুসলিম পরিবারে হিন্দু মেয়ের বিয়ে নাকি লাভ জিহাদ - প্রেমের নামে ধর্ম প্রচার!