×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • আজকের বিশ্বভারতী

    4thPillar WeThePeople | 31-08-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অরণি চক্রবর্তী, সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এবং দুলালচন্দ্র ঘোষ।

    আজকের উপাচার্যের আমলে বিশ্বভারতী কি ক্রমশ বাংলা ও বাঙালির লজ্জায় পরিণত হচ্ছে? এই বিষয়ে গত 30 অগস্ট (সোমবার) www.4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অরণি চক্রবর্তী, সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এবং দুলালচন্দ্র ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

     

     

    1) আগেও ছাত্রছাত্রীরা নানা দাবি করত, বক্তব্য রাখত, উপাচার্যকে ঘেরাও করত। কিন্তু তাদের সঙ্গে কখনও এমন আচরণ করা হয়নি। যা দাবি রাখা হত, উপাচার্য তখন সব শুনতেন, কোনটা ন্যায্য কোনটা অন্যায্য দাবি বিচার করতেন, এবং ছাত্রদের কথা রাখার চেষ্টা করতেন। এখন তো সেসব কিছুই হয় না।


    2) বিশ্বভারতীতে এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলে সাসপেন্ড হতে হয়। উল্টে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ বা যে বিষয়ে অভিযোগ তা নিয়ে কোনও তদন্ত হয় না।


    3) মানসিক ভাবে যদি কেউ সুস্থিতি সম্পন্ন না হন, এবং তাঁকে যদি বারবার বলা হতে থাকে যে, তিনি যা করছেন ঠিক করছেন, তাহলে তার ফল বর্তমানে বিশ্বভারতী যেমন দেখছে তেমনই হবে। এর ফলে একটা নামী প্রতিষ্ঠান সংকটের সম্মুখীন হয়।


    4) বিশ্বভারতীতে খাতায় কলমে অনেক গণতন্ত্র আছে। কিন্তু বাস্তবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় না। আমি এক্ষেত্রে শুধু উপাচার্যের দোষ দেখি না, অনেক শিক্ষকও ক্ষুদ্র স্বার্থে অন্যায় দেখেও চুপ করে রয়েছেন।


    5) বহুত্বের মধ্যে একতাই হচ্ছে বিশ্বভারতীর লক্ষ্য। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তেমনই চেয়েছিলেন। কিন্তু উপাচার্য শিক্ষক ও পড়ুয়াদের মধ্যেও আমরা-ওরা বিভাজন করছেন।


    6) অনেক ভুল সিদ্ধান্তের পাশাপাশি উপাচার্য কিছু ভাল কাজ করেছেন। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের আর্থিক দুর্নীতি রোধে তিনি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু এখানেও প্রশ্ন ওঠে যে, এই কাজ করার জন্য তো কেন্দ্রীয় সংস্থা CAG আছে। একজন উপাচার্যের কাজ তো চোর ধরা নয়।


    7) পড়ুয়ারা কিছু ভুলভ্রান্তি করতেই পারে। শিক্ষকদের কর্তব্য হল সেই ভুলগুলো সংধোধন করে দেওয়া। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। তাদের সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া যেত।


    8) রবীন্দ্রনাথ দেশের তৎকালীন শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিশ্বভারতীর আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন। এর সহজ সমাধান হিসাবে বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু অন্যান্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বিশ্বভারতীতে উপাচার্যের হাতে অনেক বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাই সমস্যাটা শুধু ব্যক্তির নয়, সমগ্র ব্যবস্থার। বিশ্বভারতী প্রশাসনের আরও বিকেন্দ্রীভূত রূপ হওয়া প্রয়োজন।


    4thPillar WeThePeople - এর অন্যান্য লেখা


    ইউজিসির প্রস্তাবিত ইতিহাস পাঠক্রমে রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদের করাল গ্রাসে তথ্যনিষ্ঠ ভারতের ইতিহাস।

    আবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে ছোট রাজ্যের দাবি উঠছে। বাংলার মানুষ কী চায়?

    প্রায় দেড় বছর পর খুলতে চলেছে স্কুল। হাতে আর মাত্র দু'টো সপ্তাহ। স্কুলগুলো কতটা তৈরি?

    রাজনীতিতে বিরামহীন দলবদল যেন বহুজাতিক সংস্থায় সুযোগ বুঝে চাকরি বদলোনোর মতোই একটা ব্যাপার হয়ে উঠছে।

    ঘোষিত লক্ষ্য পরিকাঠামোর জন্য অর্থের সংস্থান। অতীতের অভিজ্ঞতা কী বলে?

    সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট করানো হবে কথা দিয়েও বারবার কেন তা রাখা যাচ্ছে না?

    আজকের বিশ্বভারতী-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested