একলা মা হেঁটে চলেছে, কোলে শিশু, ডান হাতে শক্ত করে ধরে রয়েছে যেটির হাত, তার বয়স বড়জোর বছর আষ্টেক। এরই সাথে রয়েছে গোটাকতক ঝোলাঝুলি। পেরিয়ে যেতে হবে অনেকটা পথ। দৃঢ়মুখে এগিয়ে চলেছে। সে মুখে ক্লান্তি ধরা দেয় না সহজে। দেশ ও বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ছবিটা প্রায় সকলেরই চেনা। একলা মা, যার স্বামী বিদেশে কর্মসূত্রে, কিংবা পরলোকগত, অথবা সে মা স্বামী, স্বজন পরিত্যক্তা, সন্তানধারণের কষ্ট সহ্য করেও তার দায় ফুরোয়নি। সন্তানকে লালন করা, তাকে এই পৃথিবীতে প্রতি মুহূর্তে টিকে থাকার যুদ্ধের মন্ত্র শিখিয়ে যাওয়া, এও তো বড় দায়।
এই একলা মায়ের গল্প আজকের ভারতে নতুন নয়। মহাভারতের যুগের এক একলা মায়ের গল্প, বিদুলার গল্প এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায়। এই গল্প সেই সেকালের, যখন ভারতবর্ষে চার বর্ণের মানুষই ছিল। ধর্মশাস্ত্রের নিয়ম মেনে ক্ষত্রিয় রাজ্যশাসন করত। বলা হয়, ‘ধর্মো রক্ষতি রক্ষিতঃ’- ধর্মকে সযত্নে রক্ষা করা হলে সেও রক্ষা করে। আর ক্ষত্রিয়ের স্বধর্ম হল প্রজাপালন আর যুদ্ধবিগ্রহ। সেই ধর্মরক্ষার ধারা বহন করে চলেন ক্ষত্রিয় পুরুষেরা। আর ক্ষত্রিয় রমণীরা? কোথাও যেন তাঁদের চিত্তেও ফল্গুধারার মতো বয়ে চলে দৃঢ়তা। সেই রমণীরা, মায়েরা জন্ম দেন সন্তানের, বড় করে তোলেন, জীবনে চলার ধর্ম শিখিয়ে দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেন কিছুটা। তার পরের পথটা তো যার যার একার। তবে বেড়ে ওঠার পিছনে, স্বাবলম্বী হয়ে স্বধর্মে নিজের পথে এগিয়ে চলার পিছনে, ক্ষত্রিয় মায়েদের ভূমিকা অনেকখানি। বিশেষ করে সেই মা- যার স্বামী যুদ্ধক্ষেত্রে আছেন, অথবা মৃত- নিজের সমস্তটুকু দিয়ে সন্তানের স্বপ্ন ভবিষ্যত এঁকে দিয়ে যান। ইতিহাস এমন অনেক অনেক একলা মায়ের কথা বলে। এমন অনেক মায়ের সন্তান যথার্থ মানুষ হয়ে উঠেছেন, পিতার অবর্তমানে মা অভিভাবক হয়ে হাত ধরেছেন সন্তানের। যেমন ছিলেন বিদুলা। স্বামীর পরলোকগমনের পর পুত্রের যথার্থ অভিভাবক হয়ে ওঠাই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। বিদুলার প্রসঙ্গে বলতে হলে যেতে হবে সেই মহাভারতের যুগে।
কপট পাশাখেলায় পাণ্ডবভাইদের হারিয়ে সর্বস্বান্ত করে বনবাসে যেতে বাধ্য করেছেন দুর্যোধন। হস্তগত করেছেন সমস্ত রাজ্য। এদিকে ধীরে ধীরে পাণ্ডবদের বনবাস ও অজ্ঞাতবাস শেষ হয়েছে। ফিরে এসেছেন তাঁরা। দাবি করেছেন নিজেদের ভাগ। কিন্তু দুর্যোধন যুদ্ধ ছাড়া সূচাগ্র ভূমি দিতে নারাজ। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্র যেন প্রস্তুতই হয়ে আছে। তবু তারই মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠরা চেষ্টা করছেন, যদি এই যুদ্ধ আটকানো যায় কোনওভাবে। কারণ যুদ্ধ মানেই তো রক্তপাত। আর যুদ্ধ যখন ভাইয়ে ভাইয়ে, তখন প্রিয়জন বিচ্ছেদও অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু দুর্যোধন তা মানলে তো! ধৃতরাষ্ট্র চেষ্টা করেন, গান্ধারী এগিয়ে আসেন, যুধিষ্ঠির সন্ধি চান। মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন কৃষ্ণ। তাঁকে বেঁধে রাখার পরিকল্পনা করেন দুর্যোধন। কৃষ্ণ সেই পরিকল্পনা বানচাল করে ফিরে আসেন। সবার আগে তাঁর কাজ হল কুন্তীর সাথে দেখা করে, এই ঘটনা বিশদে বলা। তারপর যাবেন পঞ্চপাণ্ডবের সাথে সাক্ষাত্কারে। পাণ্ডু গত হয়েছেন। মাদ্রীও সহমৃতা হয়েছেন। তারপর থেকে পাঁচ ভাইয়ের অভিভাবক হয়ে রয়েছেন কুন্তী। এতরকম বিপর্যয় ঘটে গেছে জীবনে। তিনি ঠাণ্ডা মাথায় সামলে এসেছেন পরিবারকে, চালিত করবার চেষ্টা করেছেন সত্পথে। এবার তাঁর দায়িত্ব পুত্রদেরকে নিজ ধর্মে চালিত করা। পাণ্ডু যদি বেঁচে থাকতেন, তবে হয়ত এসব নিয়ে তাঁকে না ভাবলেও চলত। কিন্তু আজ যে বড় দুঃসময়। পিতার ভূমিকাও পালন করতে হবে তাঁকেই। বিদুরের বাড়িতে এসে কৃষ্ণ তাঁকে সমস্ত ঘটনা জানালেন। কৃষ্ণ অধীর আগ্রহে কুন্তীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, পাণ্ডবভাইদের সাথে দেখা করতে গিয়ে তাঁর কী বলা উচিত। কুন্তী জানেন, বড় ছেলে যুধিষ্ঠির একটু নরম মনের। তিনি যুদ্ধ এড়িয়ে যেতে চাইবেন। অর্জুন হলে তাঁকে এত চিন্তা করতে হত না। এদিকে যুদ্ধই একমাত্র এই পরিস্থিতির সমাধান। সুতরাং, জ্যেষ্ঠপুত্র যুধিষ্ঠিরকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করাতে পারলেই কার্যসিদ্ধি হবে। তিনি কৃষ্ণকে বললেন, তোমার কাজ হবে যুধিষ্ঠিরকে রাজধর্ম বিষয়ে ভালভাবে বুঝিয়ে বলা। পৈতৃক রাজ্যের অংশ আদায় করার জন্য যেন অবশ্যই যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়। তবেই সে পিতৃপুরুষের ধর্ম, আর সাথে সাথে নিজের ধর্মকে রক্ষা করতে পারবে, ‘যুধ্যস্ব রাজধর্মেণ মা নিমজ্জীঃ পিতামহান্’ (উদ্যোগপর্ব, ১২৩ অধ্যায়, ৩৪নং শ্লোক), স্মরণ করিয়ে দেবে তাকে বারবার, সে যেন রাজার ধর্ম জেনে যুদ্ধ করে, পিতৃপিতামহকুলের যথাযথ মর্যাদা যেন রক্ষা করে। কুন্তী কৃষ্ণকে বলে চলেন, কৃষ্ণ, তুমি বরং বিদুলা আর তাঁর পুত্র সঞ্জয়ের কাহিনী শোনাতে পারো যুধিষ্ঠিরকে। কুন্তী ভাবেন, পিতার অবর্তমানে মায়ের কথায় যদি ভরসা না করতে পারেন যুধিষ্ঠির! তাই বুঝি মনে করেন, বিদুলার কথা। অমন দৃঢ় চরিত্র ছিল বলেই না সন্তানকে জীবনের প্রকৃত ধর্মের মন্ত্রদান করতে পেরেছিলেন! কে এই বিদুলা? কৃষ্ণের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলে চলেন কুন্তী...
প্রাচীনকালে বিদুলা নামে এক যশস্বিনী বিদুষী ক্ষত্রিয়কুলজাতা রমণী ছিলেন। তাঁর পুত্র রাজা সঞ্জয় শত্রু সিন্ধুরাজের কাছে পরাজিত হয়ে অত্যন্ত বিষণ্ণচিত্ত হন। পুত্রের বিষণ্ণতা মাকেও স্পর্শ করে। বিদুলার পতি পরলোকে গমন করেছিলেন। সুতরাং, তাঁর অবর্তমানে পুত্রের অভিভাবক ছিলেন তিনিই। যথার্থ ক্ষত্রিয় রমণী ছিলেন তিনি। ফলে নিজের মনের গহন কোণে লুকিয়ে থাকা বিষণ্ণতাকে প্রশ্রয় দিলেন না। দুর্বলচিত্ত, অবসন্ন, পরাজিত নিজপুত্রকে উত্সাহিত করতে বদ্ধপরিকর হলেন। বিদুলা কুটিলস্বভাবা ছিলেন। তিনি জানতেন, তাঁর পুত্র বীর, কিন্তু যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে হতোদ্যম হয়ে পড়েছে। তিনি এও জানতেন, যদি তিনি পুত্রকে উত্সাহিত না করেন, যুদ্ধে প্রবৃত্ত না করেন, তবে হয়ত এভাবে রাজ্য থেকে নির্বাসিত ও নিঃস্ব হয়ে, জীবিকার অভাবে পরিশেষে মৃত্যু বরণ করতে হবে। তাই তিনি পুত্রের সুপ্ত পুরুষকারকে জাগিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর হলেন। না, একে বোধকরি কুটিল আখ্যায় আখ্যায়িত করা ভুল হবে। রাজ্য মানে তো শুধু রাজা নন, রয়েছে অমাত্য পারিষদসহ প্রজাকুল। তারাও তো রাজার মুখাপেক্ষী হয়ে বসে রয়েছে। রাজমাতা সেটা উপলব্ধি করেন। বোঝেন, যে এখানে সাময়িক বিষণ্ণতার কোনও স্থান নেই। বৃহত্তর স্বার্থে যদি তিনি পুত্রকে উজ্জীবিত না করেন, তবে সমূহ ক্ষতি। তিনি বলে ওঠেন-
“কৃত্বা মানুষ্যকং কর্ম্ম সূত্বাজিং যাবদুত্তমম্।
ধর্ম্মস্যানৃণ্যমাপ্নোতি ন চাত্মানং বিগর্হতে।।“ (উদ্যোগপর্ব, ১২৪ অধ্যায়, ১৬নং শ্লোক)
বুদ্ধিমান ক্ষত্রিয় মনুষ্যোচিত কার্য ও কঠোর যুদ্ধ সম্পাদন করে ধর্মের ঋণ শোধ করেন। এমন ক্ষত্রিয় কখনও নিন্দিত হন না। অতএব, হে পুত্র! তুমি তোমার পরাক্রম প্রকাশ করো, পুরুষকার অবলম্বন করো, কাপুরুষের মতো আচরণ কোরোনা। হতোদ্যম সঞ্জয় এরই মধ্যে ক্ষীণকণ্ঠে বলে ওঠেন, মা, যুদ্ধে যদি শত্রুর হাতে আমার মৃত্যু হয়, তবে আমাকে ছাড়া এই রাজ্য, সম্পদ আপনাকে কে আনন্দ দেবে? কেন আপনি আমায় শত্রুর হাতে মৃত্যুবরণ করবার জন্য এতবার প্রেরিত করছেন? পুত্রের কাতর স্বর লৌহচেতা মাকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারল না। তিনি বলে উঠলেন, সমস্ত প্রাণীকুল কল্পবৃক্ষের মতো যে পুরুষকে আশ্রয় করে থাকে, তাঁরই জীবন সার্থক। তাই মনকে লোহার মত দৃঢ় করো। বহুশাস্ত্রজ্ঞ যথার্থ ক্ষত্রিয় রমণী তিনি। কখনও মাতৃস্নেহে, কখনও বন্ধুজনোচিত উপদেশে, কখনও অমাত্যসুলভ ভঙ্গিমায় তাঁকে বোঝাতে লাগলেন। কখনও আদেশ, কখনও অনুনয়, কখনও বা অভিমানের সুরে বলে চললেন তিনি। সিন্ধুরাজের শত্রুদের সম্পর্কে অবহিত করালেন পুত্রকে। চেনালেন বন্ধুরাজকুলকে। বলে উঠলেন, সঞ্জয়কে সার্থকনামা হতেই হবে। বললেন- ‘উদ্যমো হ্যেব পৌরুষম্’ (উদ্যোগপর্ব, ১২৫ অধ্যায়, ৩৯নং শ্লোক)।
মায়ের বারংবার এমন বাক্যে আহত হলেন সঞ্জয়। বলে উঠলেন, মা, আপনি আমার প্রতি অত্যন্ত নির্দয়। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, আপনার যথার্থ বীরের মতো বুদ্ধি। কিন্তু আপনি কোপনস্বভাবা। ভগবান বোধকরি, ইস্পাত দিয়ে তৈরি করেছেন আপনার হৃদয়। আপনি কি আমার মা নন? নচেৎ, এমনভাবে কেন যুদ্ধে নিযুক্ত করছেন? ছেলের এই কথা কোথাও কি মায়ের দৃঢ়তাকে টলিয়ে দিল না? মায়ের মনের সেই গহন কোণের খবর মহাভারতকার দেননি। ধনসহায়হীন দুর্বলচিত্ত পুত্রকে বজ্রকঠোর সুরে বলে ওঠেন, যেদিন তুমি সিন্ধুদেশের সব সেনাদের পরাস্ত করে রাজ্যজয় করে নিয়ে আসবে, সেদিন তোমায় অনেক আদরে ভরিয়ে দেব। ভয় বা অবসাদ একের থেকে অপরে সংক্রামিত হয়, এ যেন বিদুলা মর্মে মর্মে অনুভব করেছিলেন। রাজার এই অবসাদ দেখে মন্ত্রী বা সেনারা ভীত ও অবসন্ন হয়ে পড়তে পারেন। অন্যদিকে রাজা যদি ভয়কে জয় করে পুরুষকার অবলম্বন করেন, পরিচিত হন সেইসব বন্ধুদের সাথে, যারা বিপদের দিনেও তাঁকে ত্যাগ করেননি, তবে দুষ্কর সেই রাজ্যজয়ও সুকর হয়ে উঠবে। এরপর স্নেহশীলা মা রাজ্যের যে কোষভাণ্ডার এতদিন পর্যন্ত রাজার অজ্ঞাতে নিজের কাছে সঞ্চিত রেখেছিলেন, সেই শেষ পুঁজিটুকুও তুলে দিলেন ছেলের হাতে। বিদুলার মতো মায়েরা হারতে জানেন না। প্রকৃত বিদুষী, বহুশাস্ত্রজ্ঞা ছিলেন তিনি। ক্ষণিকের আত্মসুখ, পুত্রকে কাছে পাওয়ার আনন্দকে বিসর্জন দিয়ে নতুন করে যেন রাজধর্মে দীক্ষা দিলেন ছেলেকে। বুঝিয়ে দিলেন, এই বিপদে স্বধর্মই তাঁকে নতুন দিশা দেখাতে পারে, রক্ষা করতে পারে।
সব ভাল যার শেষ ভাল। হীনবল, সহায়সম্পদহীন দুর্বল রাজাও মায়ের উপদেশে উত্সাহিত হলেন। মায়ের তিরস্কার তাঁর যাবতীয় অবসাদ, ভয় দূর করল। প্রকৃত বীরের মতো যুদ্ধে আগুয়ান হলেন। সেই যে বীরের ধর্ম! এমন মায়েরা সম্মুখসমরে না গিয়েও প্রকৃত বীররমণীর কর্তব্যে অবিচল থেকে নক্ষত্রের মতো রয়ে যান দৃষ্টান্ত হয়ে। তাঁদের গল্পকথা যুগে যুগে শত্রুর হাতে নিপীড়িত নিরুত্সাহী অবসাদগ্রস্ত রাজাদের উত্সাহের কারণ হয়ে রয়ে যায়।
তারপর কেটে গেছে কত হাজার হাজার বছর। মহাভারতের গল্প আজও সমানভাবে জনপ্রিয়। মহাকাব্যের মূল চরিত্র তথা গৌণ চরিত্রগুলিও সমানভাবেই প্রাসঙ্গিক। বিদুলার গল্প বোধকরি আজও আদর্শ হতে পারে মায়েদের কাছে। মায়েরা সন্তানের মঙ্গলার্থে, বৃহত্তর স্বার্থে সন্তানকে উদ্যমী হওয়ার মন্ত্রে, স্বধর্মপালনের মন্ত্রে দীক্ষিত করতে পারেন বিদুলার মতোই। আত্মবলে বলীয়ান করে তুলতে পারেন। দৃঢ়মনে সাময়িক সন্তানসঙ্গসুখ বিসর্জন দিয়ে মা-ই পারেন সন্তানকে অনুপ্রাণিত করতে। সন্তানের মধ্যে উত্সাহের বীজ বুনে দিয়ে বিপুল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে, শক্তিসঞ্চার করতে। একলা মায়ের পথ চলাটা আজ, এই শতাব্দীতেও বুঝি বড় কঠিন। সমাজের ঠুনকো ভ্রুকুটি, পদে পদে বিপত্তি বাধা হয়ে দাঁড়ায় অনেকক্ষেত্রে। তবুও, বিদুলার মতোই বজ্রকঠিন মন নিয়ে, হার না মানা জেদ নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। সন্তানের স্বার্থে নিজের আবেগ দমন করে, তার হাতখানি ধরতে হয়, সংসারসাগরে পথ চিনিয়ে দেবার জন্য, দশের স্বার্থে গড়ে তুলতে হয় নতুন দিনের পথিককে।
সহায়ক গ্রন্থ
মহাভারতম্: হরিদাসসিদ্ধান্তবাগীশকৃতবঙ্গানুবাদ ও ভারতকৌমুদীটীকা এবং নীলকণ্ঠকৃত ভারতভাবদীপটীকাসহ
..........
লেখক বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজের সংস্কৃতের অধ্যাপক
একলা মায়ের গল্প আজকের ভারতে নতুন নয়। মহাভারতের বিদুলার গল্প এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায়।
ঊর্বশী, স্বর্গের অপ্সরাশ্রেষ্ঠা...
কে তবে হরণ করে নিল নারীর স্বাতন্ত্র্য, পুরুষের মতো একই ভাবে বাঁচার অধিকার?
প্রাণপ্রিয় বোনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বঞ্চনায় বেছে নিলেন ধ্বংসের পথ, আত্মাহুতির পথ। যে পথে শান্তি নেই, লক