টিভিতে দেখছি যে কিয়েভে ও ইউক্রেনের (War on Ukrain) অন্য শহরে সাধারণ মানুষ হাতে হাতে মলোটভ ককটেল (Molotov cocktail) বা পেট্রল বোমা তৈরি করে মজুত করছে, যাতে রুশ সেনারা তাদের শহরে ঢুকলে প্রতিরোধ করতে পারে। ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে মলোটভ ককটেল দিয়ে সামরিক গাড়ি, এমনকি ট্যাঙ্ক পর্যন্ত বিকল করা যায়। কিন্তু এখানে আমি অন্য কথা বলতে চাইছি। নাম থেকেই পরিষ্কার যে মলোটভ ককটেল একটা রুশ নাম। নামটা কিন্তু রুশরা দেয়নি, দিয়েছিল ফিনল্যান্ডের মানুষ। 1939 সালের সেপ্টেম্বরে হিটলারের সঙ্গে অনাক্রমণ চুক্তি করার পরেই সোভিয়েত বাহিনী কোনও কারণ ছাড়াই ফিনল্যান্ড আক্রমণ করে বসে। সোভিয়েত বিমানবাহিনী ফিনল্যান্ডে বোমাবর্ষণ শুরু করার পরে তখনকার সোভিয়েত বিদেশমন্ত্রী মলোটভ রেডিওতে ভাষণ দেন। কিছুটা ব্ল্যাক হিউমার বা নিষ্ঠুর রসিকতার পরিচয় দিয়ে মলোটভ বলেন সোভিয়েত বিমান থেকে মোটেই বোমা ফেলা হচ্ছে না, "humanitarian aid" বা মানবিক ত্রাণ ফেলা হচ্ছে ফিনল্যান্ডের মানুষের জন্য। এরপরেই ফিনল্যান্ডের মানুষ ওই সোভিয়েত বোমাবর্ষণকে "Molotov picnic basket" নাম দেয় ও বলে সোভিয়েত সেনারা ফিনল্যান্ডের মাটিতে পা রাখলে তাদের মলোটভ ককটেল (পেট্রল বোমা) দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। ইতিহাস বলে ওই যুদ্ধে সোভিয়েত বাহিনীকে দুবছরের বেশি সময় ফিনল্যান্ডের মানুষের কঠিন প্রতিরোধের সামনে পড়তে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শয়নে স্বপনে, রয়েছ রাষ্ট্রেরই নয়নে!
এভাবেই বিশ্বের সর্বত্র পেট্রল বোমা মলোটভ ককটেল নামে খ্যাত হয় ও বহু দেশের যুদ্ধে এবং গেরিলাযুদ্ধে মলোটভ ককটেলের ব্যবহার হতে থাকে। ভারতেও বার বার হয়েছে।
এখন রুশ নামে খ্যাত এই মলোটভ ককটেল রাশিয়ার বিরুদ্ধেই আবার ব্যবহার করার তোড়জোড় চলছে।
নতুন নাগরিকত্ব আইন, এন আর সি এবং এন পি আর এর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে আজ যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা এক কথায়
করোনা মহামারীর সুবাদে ভারতের শহর ও গ্রামের মানুষ নতুন আর একটা কথার সঙ্গে পরিচিত হল - লক ডাউন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এক কথায় প্রায় নজিরবিহীন। দেশজুড়ে এখন নাগরিকত্ব আইন বা সি এ এ, এন আর সি এবং
বাম কংগ্রেস আইএসএফ মোর্চার সমাবেশে মানুষের রাজনৈতিক দাবি শোনা গেল না।
করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই অসংগঠিত। নির্দিষ্ট পন্থার বদলে একাধিক পরস্পরবিযুক্ত বা পরস্পরবিরোধী
অর্ধ শতাব্দীরও আগে দেশের শত্রু বলে নিন্দিত হয়েও ক্ষুধার্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল বামেরা