করোনা পরিস্থিতি যখন সবচেয়ে ভয়াবহ তখনই হাত গুটিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এতদিন ভ্যাকসিন বণ্টনের উপর সম্পূর্ণ খবরদারির পর এবার অর্ধেক ছাড়া হল রাজ্যের হাতে, দুমাস আগেই পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য যে দাবি করেছিল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার পরেই কেন্দ্রের বোধোদয়? এই বিষয়ে গত 21 এপ্রিল (বুধবার) www.4thpillars.com একটিআলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী এবং চিকিৎসক কুণাল সেনগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
1) ভোটের সঙ্গে ভাইরাসের কোনও যোগাযোগ নেই, যোগাযোগ হল সভা সমাবেশের সঙ্গে। ভোট যদি দু-তিন দফায় করা হত, তাহলে সংক্রমণ এত ছড়াত না। ভয় কম থাকত। দীর্ঘ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখে মনে হয়েছে, তারা যেন মৃত্যুমিছিলের জন্যই অপেক্ষা করছে।
2) সরকার এই পরিস্থিতিতে সবার কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কোনও দায়িত্ব নিচ্ছেন না, এটা খুব হতাশার।
3) করোনা সংক্রমণ এখন ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। এখন তো আর ভেবে লাভ নেই। যখন ভাবার দরকার ছিল, তখন আমরা কেউ ভাবিনি। এখন আরও খারাপ পরিণতির আশঙ্কাতেই আমাদের দিন কাটাতে হবে।
4) এই দেশে অক্সিজেনের উৎপাদন নেহাত কম নয়। কিন্তু তার বন্টন প্রক্রিয়া খুবই খারাপ। আসলে দেশের সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে কীভাবে মোকাবিলা করবে, তার কোনও আগাম পরিকল্পনাই করে রাখেনি। বিশেষজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে, রাহুল গান্ধীও সাবধান করেছিলেন। সরকার কারও কথাই শোনেনি।
5) যেখানে ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং 45 ঊর্ধ্বরাই এখনও টিকা পাচ্ছেন না, টিকার লম্বা লাইন থেকে টিকা না নিয়েই অনেককে ফিরে যেতে হচ্ছে, সেখানে কার পরামর্শে 18 বছর বয়স থেকে টিকা দেওয়ার কথা বলা হল? 1 মে থেকে তো জায়গায় জায়গায় টিকা নেওয়ার জন্য খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যাবে।
6) দেশের এই সরকার দর্শনগত ভাবে বিশ্বাস করে, জনকল্যাণে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। তাই করোনা মোকাবিলার যাবতীয় দায় তারা বেসরকারি সংস্থা এবং রাজ্য সরকারগুলির কাছে ঠেলে দিচ্ছে। খোলা বাজারে টিকার ছাড়পত্র দেওয়ায় যথেচ্ছ কালোবাজারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যাচ্ছে।
7) কোনও শিক্ষিত, পণ্ডিত মানুষের পরামর্শ এই সরকার নেয় না। সরকারের বিভিন্ন নীতিতে খালি আত্মপ্রচার আর অপবিজ্ঞানকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রবণতা। সরকারের পরামর্শদাতা হতে হলে আগে মাথা আর শিরদাঁড়াটা বিক্রি করে আসতে হবে।
এক্সিট পোল বলছে বাংলায় এগিয়ে তৃণমূল। বাস্তবে ফল কী হবে?
তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময়ে কবির লেখালিখির শুরু। ‘আলোর ফুলকি’-তে প্রথম ছড়া প্রকাশ পায়।
সর্ষের মধ্যে ভূত নয়, কম্পিউটারের ভুয়ো ফাইলে ‘আর্বান নকশাল’ খুঁজছে সরকার।
আজ প্রথম পর্বে গায়ক অরিত্র দাশগুপ্ত-র বাড়ির অন্দরে চোখ রাখব আমরা।
ভাইরাস এসেছে চিন থেকে। ভারতীয় টোটকাও বেরিয়ে গেছে।
সাধারণ মানুষ আর কি কমিশন কিংবা আধাসেনার ওপর ভরসা করে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে?