সৌভিক কুমার বালা
তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময়ে কবির লেখালিখির শুরু। ‘আলোর ফুলকি’ (শিশুদের মাসি পত্রিকা)-তে প্রথম ছড়া প্রকাশ পায় তাঁর। কিছুকাল প্রথম সারির দু’টি বাংলা মাসিক পত্রিকাতেও লেখালিখি করেছেন। কবি পেশায় একজন ব্লগার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং-এর সঙ্গেও যুক্ত।
কবিতা
১. বেল ফুলের কুঁড়ি
বৃষ্টি সেদিন; বুলবুল ঝড়
শহর আমার রয়েছে চুপ
ফুলের সাথে ভীষণ সুখে
ঠিক করেছি ভিজব খুব।
রাতের ঘুমে আর পরীরা
দিচ্ছে না কেউ দেখাই তেমন,
মনে মনেই পুড়েছিল মন
মেঘ বৃষ্টির সহমরণ।
তারপরে সে সকাল এলো
সকাল তো নয় অমা কালো,
কাজল চোখে তাকে যেমন
দেখতে আমার লাগে ভাল।
সময় আগে বেরিয়ে পথে
সাঁতরে গেলাম অপেক্ষা জল
সেও দাঁড়িয়ে পথে চেয়ে যে
‘তুই কখন পৌঁছবি বল?’
পৌঁছে গেলাম দিলাম দেখা
‘আর কি তোর লাগছে একা?’
এদিক ওদিক মুখ ঘুরিয়ে
দুচোখ যেদিক রাস্তা ফাঁকা।
বলাকাদের জটলা ছিল
শালিক ফিঙে টুনটুনি দল।
শিষও দিল সুরও এলো
উষ্ণ চা আর ছাদের জল।
এমন করেই সে পথ বেয়ে
নদীর মতো ছুটে আসা
পাঁচটা মানুষ ধরেছে ঘিরে
সে যে এক সুখের বাসা।
ফিরতি কথা ভিজছি জলে
ছাতা হাতে আকাশ খালি
ছিল না শরৎ ঘোর সে ভাদর
ভাষা ছিল বাংলা পালি।।
২. চিঠি
বহুদিন পর তোমরা ফিরছ।
ভরদুপুরে শেষ চিঠি নিয়ে পিওন যখন এলো, ‘সেনগুপ্ত বাবু...!’
মেজকাকি ভেজা সন্ধে দোলনচাঁপার মতো সাজিয়ে বলেও ছিল- ‘উনি
তো আর...!’
দাদুর চিঠি ফেরৎ গেল গন্তব্যে,
সকালে কাজে বেরোনো লোক দিনের শেষে ঘরে ফেরে,
ফিরতি চিঠি ফিরেছিল কিনা জানি না।
আজ দুই দশক পর বাড়ি ফিরছ তোমরা।
ফোন বললে, ‘হ্যালো, আছিস কেমন?’
বললাম আমরা ভাল আছি।
তোমরা ইমিগ্রেশন ছেড়ে বাড়ির পথে
দুই দশকের সব বন্ধ খাম যাচ্ছে খুলে।
কাগজের উপর কালির দাগ
সব পথ তৈরি করে নিচ্ছে করে যে যার মতো,
কেউ তোমার কেউ দাদুর পক্ষ নিচ্ছে এখন।
আমি নিছক কল্পনায় কলিং বেলের আওয়াজ শুনেই নিচে দৌড়ে গেলাম।
সদর দরজায় সপরিবারে থাকবে দাঁড়িয়ে ছোটকাকা কাকিমা আর অন্তু,
খুলতেই দেখি পিওন কাকু। বললেন,
‘চিঠি আছে... BLRO!’
৩. ফুলের গাছ
ধরেই নিলাম ভীষণ মজা তোমার
অথবা আজ ভীষণ কষ্টে আছো।
ভেবেই যখন স্বপ্ন দেখো তুমি
দেখা জিনিস গুছিয়ে কেন বাঁচো?
ধরেই নিলাম ঘেন্না করো আমায়
অথবা তুমি ভীষণ ভালবাসো,
ম্লান মুখে ক্লিষ্ট দিনের শেষে
কেমন করে নকল হাসি হাসো।
ধরেই নিলাম অসময়ের ফল
অথবা সে সময় হলেই ফলে,
এবং কত ভাবনা দিয়ে বলো
আদান প্রদান বিনিময়ও চলে।
ধরেই নিলাম মিছে এসব
অথবা সত্যি এমন হয়
আকাশ যেমন ছড়িয়ে আছে মাথায়,
যেমন করে শীতের বাতাস বয়।
ধরে ধরেই এগিয়ে গেলাম
অথবা সেই পিছিয়ে এলাম কত
পড়েও গেল রয়েও গেল যে যারা,
পরিধি ঘিরে সাজিয়ে রাখা কাঁটাতারের ক্ষত।
শেষটা দেখ শুরুর টানের মতোই
সারিয়ে যাবে, বুজিয়ে যাবে ভাটা
চাঁদ তো এমন টানেই চিরকাল,
তাই বলে থামিয়ে দেবে হাঁটা?
কেন লিখি
শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে এখন এক অবেলার সঙ্গী। জীবিকা ও প্রাণের সত্ত্বা প্রতিপালনে নিত্য চারণবৃত্তি। আঙ্গিক আর অঙ্গীকারের মাঝে সামাজিকতা, তার ভিতরে-বাইরে গল্পকথা একই, দেখাটাও এক, উপলব্ধিই তফাৎ করে মানুষ-মানুষে। সে সব নিয়েই তার রূপকল্প, কল্পলোক নিয়েই আমার লেখা, কল্পনার জগৎ, বাস্তব মিলিয়ে মিশিয়ে।
এটা খাপ নয়, প্রকৃত অর্থেই
এখনও শুধুই বায়বীয় স্বপ্ন দেখিয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী?
যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক সৌজন্যকে প্রতিনিয়ত পদদলিত করছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল।
ভারতীয় গণতন্ত্রেও চলছে নিউ নর্মাল ব্যবস্থা।
চতুর্থ পর্বে গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী
শুক্রবার আলোচনার পঞ্চম দিনে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ, অধ্যাপক অভিরূপ সরকার।