স্বাধীনতা প্রাপ্তির 73 বছর পূর্তির লগ্নে চোখে ভেসে উঠছে ঠিক একশো দিন আগেকার একটি চিত্র। গত 8 মে যা ঘটেছিল তার প্রতিফলন যাদু-বাস্তবতার আয়নাতেও পাওয়া দুষ্কর। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ অঞ্চলে এক দল শ্রমিক বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরতে কাছাকাছি কোনও বড় স্টেশনে যাওয়ার জন্য রেল লাইন ধরে যাত্রা করেন। তাঁরা সেই রেললাইন ধরেই হাঁটেন যা করোনা-পূর্ব সময়ে তাঁদের নিরুপদ্রবে ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছে, আবার কাজের জায়গায় নিয়েও এসেছে। পথের ক্লান্তিতে তাঁরা ভোররাতে লাইনের উপরেই শুয়ে পড়েন, কারণ তাঁরা নিশ্চিত কোনও ট্রেন যাতায়াত করবে না, তাঁরা জানেন দেশ জুড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ। অঘোর নিদ্রায় তাঁরা যখন ঘর, পরিবারের স্বপ্নে বিভোর, তখন নিঃশব্দে একটি মালগাড়ি তাঁদের পিষে দিয়ে চলে যায়। পড়ে থাকে ছড়ানো ছিটানো কিছু শুকনো রুটি, বিশ্বের দরবারে যা ভারতের মানুষের ক্ষুধার বীভৎস চিত্র। এই চিত্রকল্প স্বয়ং গার্সিয়া মার্কেজও কল্পনা করতে পারবেন না; যে ট্রেন বন্ধ বলে তাঁরা ঘরে ফিরতে পারছিলেন না, সেই ট্রেনই তাঁদের ইহলোকের নরকযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিল।
COVID 19-এর কারণে আমাদের দেশ বিশ্বের সবচেয়ে কড়া লকডাউন প্রত্যক্ষ করেছে। মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে জারি করা এই তালাবন্দি দেশের কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন জীবিকার উপর নিদারুণ আঘাত হেনেছে। রাতারাতি তাঁরা কর্মচ্যুত এবং গৃহহীন হয়ে পড়েন। ঘরে ফিরতে চেয়ে পথের ধারে অনাহারে মারা যাওয়ার কাহিনি একের পর এক সামনে আসতে থাকে।
না ঘরকা না ঘাটকা
ঔরঙ্গাবাদের ঘটনাটি ঘটে লকডাউন ঘোষণার দেড় মাসের মাথায়। এই দেড় মাসে সরকার ঠিক করে উঠতে পারেনি এঁদের মতো লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে কীভাবে ঘরে ফেরানো হবে। এঁরা যে রাজ্যে আছেন তারা এঁদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে রাজি নয়, এঁদের নিজেদের রাজ্য সংক্রমণ ছড়াবে এই ভয়ে এঁদের ঢুকতে দিতে রাজি নয়। এঁরা যে শুধুমাত্র উপেক্ষিত তাই নয়, আমাদের যে শাসনব্যবস্থা তাতেও এঁদের কোনও অস্তিত্বই নেই। এঁরা ছায়ার মতো, যাঁরা এতই বেয়াদপ যে না চাইলেও দেশের মূলস্রোতে ঢুকে পড়ে। আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থা এই রকমই যেখানে করোনার মতো এঁদেরও একটা ভাইরাস মনে করা হয় যা অযাচিত ভাবে সচ্ছল মানুষদের জীবনে অন্তর্ঘাত করে সমাজকে বিপর্যস্ত করে। দেশকে করোনা-মুক্ত করতে গিয়ে এঁরাও যদি নিকেশ হয়ে যায় তাতে কি কারও কিছু যায় আসে?
সাংবাদিক পি সাইনাথ বলেছেন, 26 মার্চ অবধি শহুরে ভারত এই শ্রমিকদের কোনও গুরুত্বই দিত না, আজ দিচ্ছে কারণ তারা এঁদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, কোনও ইংরাজি সংবাদপত্রে যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের নামের উল্লেখ করা হয়েছে কি? এঁরা নামহীন, অবয়বহীন কতগুলো শব মাত্র, 16 জন দিনমজুরের লাশ। যদি এটা কোনও বিমান দুর্ঘটনা হতো তো হেল্পলাইন খুলে যেত, 300 জনের মৃত্যু হলেও তাঁদের প্রত্যেকের নাম উল্লেখ করা হতো। কিন্তু 16 জন দীনদরিদ্র মানুষের নামের কী গুরুত্ব আছে, তার মধ্যে আবার 8 জন গোন্ড আদিবাসী। রাতারাতি সব বন্ধ করে দিয়ে এঁদের চরম সঙ্কটে ফেলে দেওয়া হল। সরকার, পুলিশ প্রশাসন, মধ্যবিত্ত মালিক সবাই এঁদের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিল। এঁরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে এলেন। বিদেশ থেকে যাঁরা ফিরেছেন তাঁদের জন্য আমরা তারকাখচিত হোটেলে নিভৃতবাসে থাকার ব্যবস্থা করেছি। গৃহহীন এই শ্রমিকদের জন্য আমরা কি স্কুল কলেজ, কমিউনিটি হল, অনুষ্ঠান হল এগুলো খুলে দিতে পারতাম না, যাতে এঁরা অন্তত আশ্রয়টুকু পায়?
অতীতের বিশ্বাস, ভরসা আর নেই
জুন মাসে আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হল। সেই শ্রমিকরা যাঁরা খিদে পেটে নিয়ে হাজার হাজার মাইল পায়ে হেঁটে বিধ্বস্ত, অনেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় নিজের ঘরে গিয়ে পৌঁছেছিলেন তাঁদের আবার ডাকাডাকি শুরু হল। অনেক কারখানা খুলে গেছে, নির্মাণ শিল্পে কাজকর্ম শুরু হয়ে গেছে, শহরে মেট্রো, রাস্তাঘাট ইত্যাদি পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজের জন্য কর্মীর প্রয়োজন। কিন্তু এই প্রথম শ্রমের বাজারে চাহিদা আছে কিন্তু জোগান কম। এটা সামাল দেওয়ার জন্য কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে কিন্তু তাঁরা অধিক মজুরি দাবি করছে। উপরন্তু দক্ষ শ্রমিকের অভাবের কারণে স্থানীয়দের আলাদা করে ট্রেনিং দিতে হচ্ছে যার ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মালিকদের মাথায় হাত! শ্রমিকদের ঘর থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তাঁরা এখন নানা প্রলোভন দেখাচ্ছেন: অগ্রিম টাকা, বকেয়া পাওনা, যাতায়াতের খরচা, নিভৃতবাসের 14 দিনের মজুরি, এমনকী কিছু মালিক স্বাস্থ্যবীমা করে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু ভবি ভোলবার নয়। লকডাউনের পর এঁদের স্বরূপ তো শ্রমিকরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। প্রায় 80 শতাংশ মালিক মার্চের মজুরি দিতে অস্বীকার করেছেন। বারবার ফোন করা সত্ত্বেও তাঁরা কোনও উত্তর দেননি। তাই বিভিন্ন হিসাব অনুযায়ী আজ অবধি মাত্র 15 থেকে 20 শতাংশ শ্রমিক আবার নিজের কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেছেন। ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকদের নিতে এসে এয়ার কন্ডিশন্ড্ বাসও পুরুলিয়া থেকে ফাঁকা ফিরে গিয়েছে। শ্রমিকরা আর বিশ্বাস করতে, ভরসা রাখতে পারছেন না ভিন রাজ্যের নিয়োগকর্তার উপর।
তার কারণ, কর্মক্ষেত্রে বহিরাগত শ্রমিকদের অহরহ যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় সেটার কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। ভিন্ন ভাষাভাষী হওয়ার কারণে অন্য রাজ্যে গেলে এঁরা বহিরাগত হিসাবে চিহ্নিত হয়ে যান। এখান থেকেই সমস্ত সমস্যার সূত্রপাত। এঁদের নাম নথিভুক্ত করার কোনও ব্যবস্থা নেই। এক সময় প্রতিটি রাজ্যে বহিরাগত শ্রমিকদের নাম রেজিস্ট্রি করার কথা হয়েছিল কিন্তু সেই প্রস্তাব এখনও বিশ বাঁও জলে। এর ফলে এঁরা কোনও ট্রেড ইউনিয়ন, সমবায় বা শ্রমিক সেবা সংস্থার সদস্য নন। এঁরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কোনও সুযোগ সুবিধা পান না। তাই এঁদের যত্রতত্র হেনস্থার শিকার হতে হয়। ভিনরাজ্যে টিঁকে থাকার জন্য এঁরা পুরোপুরি মালিকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। লকডাউনের কারণে মানুষ এঁদের এই অসহায় অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে পেরেছেন। মূল যে সমস্যাগুলির কারণে এই সময় তাঁরা কর্মক্ষেত্র ছেড়ে নিজের গ্রামের দিকে রওনা হয়েছিলেন সেগুলি হল খাদ্য, আশ্রয়, অর্থাভাব। একজন নাগরিক যাতে দেশের যে কোনও জায়গায় রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্য পেতে পারে সেটার জন্য ‘এক দেশ, এক কার্ড’ চালু করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে; কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকল্পটি চালু হবে 2021-এর মার্চ মাসে, কিন্তু সেটি বাস্তবায়িত হবে আগস্ট মাস থেকে। অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাময়িক ভাবে শ্রমিকদের খাদ্যাভাব মেটানোর জন্য যতদিন ওই প্রকল্প চালু না হচ্ছে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের আধার কার্ডের মাধ্যমে রেশন দেওয়া চালু হোক। কিন্তু সরকার এই প্রস্তাবে কর্ণপাত করেনি। বহিরাগত শ্রমিকদের আশ্রয়ের অভাব মেটানোর জন্য বড় শহরগুলিতে সস্তার আবাসন প্রকল্প তৈরি করার কথা হচ্ছে, কিন্তু সেটা কবে বাস্তবায়িত হবে কিংবা আদৌ হবে কি না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, শহরে যে সব সরকারি আবাসন আছে সেগুলি স্বল্প মূল্যে পরিযায়ী শ্রমিক এবং শহুরে গরিব মানুষদের ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। কিন্তু গত চার মাসে এই "অ্যাফর্ডেবল রেন্টাল হাউসিং কমপ্লেক্স’ প্রকল্পের কোনও অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।
লকডাউনের সময়ে এই শ্রমিকরা প্রবল অর্থকষ্টের সম্মুখীন হয়েছেন। এই কারণে অনেকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে এঁদের ব্যাঙ্কের খাতায় অন্তত তিন মাস কিছু টাকা সরকার জমা করুক। মহানুভব সরকার করুণা করে প্রত্যেকের খাতায় দুই মাস হাজার টাকা করে জমা করতে সম্মত হয়েছিলেন। এটা যে অতি নগণ্য সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আশ্চর্যজনক হচ্ছে, মহামান্য আদালতও অভিমত প্রকাশ করেন যে এঁদের তো খাবার দেওয়া হচ্ছে, পয়সার আর কী প্রয়োজন! খাবার বলতে আট কোটি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য (এই ঘোষণার ফলে এই ধরণের শ্রমিকদের আনুপাতিক একটা সংখ্যা সরকারের তরফ থেকে জানা যায়) দুই মাসের জন্য পাঁচ কেজি চাল বা গম এবং এক কেজি চানা! উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার, প্রধান যে সমস্যাগুলোর জন্য এঁরা কর্মক্ষেত্র ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সেগুলির কোনও সমাধান হয়নি কিংবা চটজলদি সমাধান হওয়ার কোনও সম্ভাবনাও নেই। তাই কোন ভরসায় তাঁরা ফিরে যাবেন?
শাঁখের করাতে কাটছে শ্রমিকের নিয়তি
কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। গ্রামেই বা এত লোকের কাজ কোথায়? মাছচাষ, ফুলচাষ, তাঁতশিল্প, হস্তশিল্প এবং প্রায় সমস্ত ধরনের কুটীর শিল্প তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ারে ধ্বংস হয়ে গেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি মুমূর্ষু অবস্থায়। চাষবাস ছাড়া কাজ প্রায় নেই এবং তাতেও আয় সীমিত। একশো দিনের কাজ আছে কিন্তু তাতে বহু সমস্যা। প্রথম হল, কাজ পাওয়াই মুশকিল। দ্বিতীয়, মজুরি মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং বিভিন্ন দক্ষিণী রাজ্যের তুলনায় প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। তৃতীয়, পয়সা কবে ব্যাঙ্কের খাতায় ঢুকবে সেটার কোনও ঠিক নেই; এর জন্য ব্যাঙ্ক, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের কাছে বারবার দরবার করতে হয়। চতুর্থ, পরিযায়ীদের মধ্যে অনেকেই দক্ষ শ্রমিক। এঁদের পক্ষে মাটি কাটা, রাস্তা খোঁড়া, চাষবাস করা সম্ভব নয়; এঁরা কোনওদিনই এই সব কাজ করেননি। কেন্দ্রীয় সরকার জেলা এবং গ্রাম স্তরে কাজ তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা বারবার উল্লেখ করেছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ ফিরে আসা শ্রমিকদের স্কিল ম্যাপিংয়ের প্রকল্প ঘোষণা করেছে। কিন্তু সবই কথার কথাই রয়ে গেছে, বাস্তবে কিছু হয়নি।
তাহলে এত মানুষ যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁরা কী করবেন? বিনা কাজে কতদিন তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন? কতদিন জমানো পয়সায় সংসার চালাবেন? শহরে কাজ করার জন্য এবং তুলনামূলক ভাবে সম্পন্ন হওয়ার কারণে গ্রামে তাঁদের আলাদা সম্মান ছিল, সেটাও ধীরে ধীরে তলানিতে এসে ঠেকছে। কিন্তু যে কর্মক্ষেত্রে তাঁদের এত লাঞ্ছনা, অপমান সহ্য করতে হয়েছে, যেখানে লাইন দিয়ে ভিক্ষা করে ক্ষুধা নিবারণ করতে হয়েছে, যত্রতত্র পুলিশের হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছে, বাস, ট্রাক, গাড়ির মালিকরা যেখানে তাঁদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে তাঁদের পয়সাকড়ি আত্মসাৎ করেছে, সেই বধ্যভূমিতে তাঁরা আবার ফিরে যাবেন? এর উপর শহরগুলিতে করোনার প্রকোপ এখনও ঊর্ধ্বমুখী, মাঝেমধ্যেই লকডাউন হচ্ছে; ফিরে গেলে তাঁরা যে আবার একই দুঃসহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়? এ তো শাঁখের করাত! এই মানুষরা নিরুপায়। যত যন্ত্রণা, নিপীড়ন হোক না কেন, সময় সবকিছুর উপর প্রলেপ দিয়ে দেয়। ক্ষুধার থেকে বড় যন্ত্রণা তো আর কিছু নেই। সময় লাগবে কিন্তু হয়তো উৎসবের মরসুমের পর, যখন আশা করা যায় করোনার প্রকোপও কমে আসবে, এঁরা পুনরায় ঘর ছেড়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে বাধ্য হবেন।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে শীর্ষ আদালতের এই 'সক্রিয়তা' কি নিছক কেন্দ্রীয় সরকারের মুখরক্ষার খাতিরেই?
গুজরাতে ধর্ষণকারীদের মুক্তি দিয়ে বিজেপি-র স্বাধীনতার অমৃত পান
সরকারের থেকে জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা কৃষকের অন্যায্য দাবি নয়, হকের পাওনা
দ্রৌপদীরা নগ্ন হয়ে প্রতিবাদী হলে পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভয় পায়, নিজেদের কৃতকর্ম ঢাকা দিতে চায়।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংস্থাগুলি সোশাল মিডিয়ায় যে ভুয়ো ভিডিও প্রচার করে থাকে, সেগুলোকেই তারা প্রামাণ্য
মাধুর্যের আড়ালে লুকনো কদর্যতা 60 বছরেও বদলায়নি।