উফ! মেলা বেলা হয়ে গেল। কী কুক্ষণে ওদিন মেলায় গেচলাম। ভক্ত দেখে ভক্তি পেলো না! ধুর পোড়ামুখো। সেদিন আবার ও পাড়ার পঞ্চু ছোঁড়াটা রেললাইনে গলা দিতে গেল! শুনলাম ডাক্তারি পাশ করতে পারেনি। ওমা! পরে হেঁদোর ব্যাটা আমায় বলে, আমি নাকি কানের মাথা খেয়েচি। বলে ছোঁড়া নাকি ভক্তারিতে ফেল করেছে, ডাক্তারিতে নয়।
কোলকাতা চষে ফেলেছি, এমন ডিগ্রির তো নামই শুনিনি! ভক্তারি নাকি ভক্তদের সেবকের ডিগ্রি। হেঁদোর ব্যাটাকে বললাম, এটা ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস। ভক্তের অরি। ভক্তারি। অরি মানে শত্রু। হেঁদোর পো বললো, এসব নিয়ম নাকি বিদ্যেসাগরী। এরা সেই সমাস, সমাজ কোনওটাই মানে না! যাচ্চলে নতুন বোধোদয়টা লিখচে কে! আপনারা জানলে কানে কানে বলবেন তো!
আমার কলের গানটা ঠিকঠাক কাজ করছে না। এত উড়ে বেড়াই। জিরিয়ে যে এট্টু গান শুনব... উফ! কী সব গান। তোমার তুলনা তুমি প্রাণ... এই গানটা পিয়ারী বাঈ দিব্য গাইত। চোখে টানা সুরমা। রায়চৌধুরী সাহেব তো পিয়ারীর প্রেমে অমন টুকটুকে বউ, অত জমি সব ছেড়ে দিয়ে হাত ধরে ওরঙ্গল চলে গেল! টুকটুকেপানা বউটার কী কান্না। এমন প্রেম আর হয় নাকো! চণ্ডীদাস তখন থাকলে অবশ্যি পদ লিখতেন-
এমন পিরিতি কভু নাহি দেখি শুনি...
এখন বেলা। সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের বড় বাড়ির মাথায় বসে ডানা ঝাপটাচ্ছি। পাশ দিয়ে এক কপোত-কপোতী উড়ে গেল। একরঙা পোশাক। গায়ে আতরের সুবাস। শুনলাম ওদের মনে ঘা লেগেচে। মনের সার্জারি করাতে যাচ্ছে। ভেঙেছে কপোতীর মনটা। তবে প্রেমিক কপোত নিজেরটাও সেই দেখাদেখি ভেঙে ফেলেচে। দেখে আমার রায়চৌধুরী সাহেব আর পিয়ারীর কথা মনে পড়ে গেল।
হায় রে, পুরুষগুলো কী বোকা! কপোতীদের টানে এদিক-ওদিক করে, শেষে পারিপার্শ্বিক বাজে হয় আর ভক্তারি পরীক্ষায় ফেল করে! পপাত চ অ্যান্ড মমার চ!
বিহারীবাবু বেঁচে থাকলে একখানা ‘প্রেম অহিত মঙ্গল’ আর ‘ফাঁদের আসন’ লিখতে বলতাম। বলি, আপনাদের মধ্যে কেউ পারবেন? তাহলে হুতোম-মেলে পাঠান দেখি...
হুতোম
C/o- কালীবাবু
হুতোমফিরেএল@নকশামেল.কম
অনেকদিন পর আশমান থেকে নেমে নকশা কষতে বেরিয়ে হুতোম দেখে বাইরে ভোট তামাশা বোজায় জমেছে!
নারীর সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা রাষ্ট্রেরই নানা প্রতিষ্ঠান
হুতোম ফিরে এল, এখন সে এ বঙ্গের ভোট নিয়ে নানা তরজা নকশা লিখছে।