গ্রিক পুরাণের মিথিকাল শ্বেত অশ্বের রূপ ধারণ করে এক ডিজিটাল গোয়েন্দা ভারতীয় গণতন্ত্রে ত্রাহি ত্রাহি রব সৃষ্টি করেছে। ‘পেগাসাস’ নামক নব্যপ্রযুক্তিতে বলীয়ান এই অত্যাধুনিক টিকটিকির কবলে দেশ বিদেশের রথী-মহারথীরা। এঁদের মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা আছেন, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার আছেন, সুপ্রিম কোর্টের এক সময়ের বিচারক, ব্যবসায়ী, বহু সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী, ভাইরাস বিশারদ আছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা এক মহিলা এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা আছেন, এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাও আছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, পাকিস্তানের ইমরান খান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসাস প্রমুখরাও আছেন। এটা যাঁরা টার্গেট হয়ে থাকতে পারেন, এবং যাঁদের নাম ইতিমধ্যে সবার মুখে মুখে তাঁদের একটি সম্ভাব্য তালিকা। বাস্তবে পেগাসাস দ্বারা কাদের ডিভাইস হ্যাক হয়েছে বা সংক্রামিত হয়েছে, সেটা সেই ডিভাইসটির ফরেনসিক পরীক্ষা না করে নিশ্চিত ভাবে জানা অসম্ভব। ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, এরকম 37টি ফোন আছে, যার মধ্যে সাতটি ভারতীয়, অন্য সূত্রে জানা যাচ্ছে অন্তত দশটি ভারতীয়। ইজরায়েলের এনএসও সংস্থার সৃষ্টি এই পেগাসাস। সংস্থাটির দাবি, তাঁরা শুধু বিভিন্ন দেশের সরকারকেই তথ্য বিক্রি করেন, কোনও বেসরকারি সংস্থাকে নয়। তাঁদের এই দাবির সত্যতাও সন্দেহজনক। এদের তথ্য ফাঁস হয়ে প্যারিসে অবস্থিত সংগঠন ‘ফরবিডেন স্টোরিজ’ এবং ‘অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল’-এর হস্তগত হয়। তাঁরা সেই তথ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, গার্ডিয়ান, ওয়্যার, ল্য মঁদ ইত্যাদি মিডিয়া সংস্থার কাছে অর্পণ করেন, যাঁদের মিলিত তদন্তের ফলে তৈরি হয় ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’। এখন জানা যাচ্ছে এই স্পাইওয়ার 2019-এর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী নেতানেত্রীদের গতিবিধি জানার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল, কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস সরকার উল্টে দেওয়ার জন্য কাজে লাগানো হয়েছিল, এমনকি সাম্প্রতিক পশ্চিমবাংলার নির্বাচনেও এর ব্যবহার হয়েছিল। ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার আগে ও পরে তাঁর স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠদের গতিবিধি বোঝার জন্যও এটি ব্যবহৃত হয়েছিল। ঘটনা হচ্ছে এখনও অবধি যা প্রকাশ্যে এসেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
পেগাসাসের এই গল্প কিন্তু আজকের নয়। রাহুল গান্ধী, অভিষেক ব্যানার্জী, প্রশান্ত কিশোরদের নাম উঠেছে বলে এখন সবার টনক নড়েছে। কিন্তু 2019-এর অক্টোবরেই বিভিন্ন সাংবাদিক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী অভিযোগ করেছিলেন যে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে যে, একটি বিশেষ স্পাইওয়্যার মে মাস থেকে তাঁদের ওপর নজরদারি করছে। এঁরা মূলত ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, এবং অনেকেই দলিত আদিবাসীদের জন্য কাজ করেন এমন আইনজীবী, সমাজকর্মী, যেমন ভীমা কোরেগাঁও মামলার আইনজীবী নিহাল সিং রাঠোড়, মানবাধিকার কর্মী বেলা ভাটিয়া, সুধা ভরদ্বাজ, দলিত গবেষক আনন্দ তেলতুম্বে, জগদলপুরের লিগ্যাল এইড সদস্যা শালিনি গেরা প্রমুখ। তখন কিন্তু বিরোধীরা এটা নিয়ে কোনও শোরগোল করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি, কোনও তদন্তেরও দাবিও করেনি। অভিযোগ 2019 সালে 121 জন ভারতীয়র ফোন হ্যাক করা হয় (এঁদের মধ্যে অনেকেই এখন ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত) এবং লক্ষণীয় ওই সময়ে এনএসও ক্যালিফোর্নিয়ার কোর্টে কবুল করেছিল যে তাদের সরকারি গ্রাহকরাই এই আক্রমণগুলির জন্য দায়ী। হোয়াটসঅ্যাপ আদালতে দাবি করে এই ইজরায়েলি কোম্পানি আমেরিকার সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্বজুড়ে 1400 ব্যক্তির ফোন হ্যাক করেছিল, যার মধ্যে 121 জন ভারতীয়। 28 নভেম্বর তৎকালীন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সংসদে জানান যে বেআইনি কোনও নজরদারির (‘no unauthorized interception’) ঘটনা ঘটেনি। অক্টোবর মাসে সৌরভ দাস নামে এক আরটিআই কর্মী পেগাসাস সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। তাঁর প্রশ্নগুলি ছিল, সরকার কি পেগাসাস ক্রয় করছে, এরকম কোনও প্রস্তাব কি আছে, কিংবা এটা নিয়ে সরকার কি কোনও ভাবনাচিন্তা করছে? উত্তর দেওয়া হয়েছিল, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য সেন্ট্রাল পাবলিক ইনফর্মেশন অফিসারের কাছে নেই। সৌরভ কিন্তু বলছেন, ‘আরটিআই-এর জবাবে পেগাসাসের ব্যবহার প্রসঙ্গে হ্যাঁ-ও বলা হয়নি আবার না-ও বলা হয়নি’। তাহলে পেগাসাস লাইসেন্স কে কিনেছে এবং কে সেটাকে প্রয়োগ করেছে? লক্ষণীয়, ভূতপূর্ব স্বরাষ্ট্রসচিব জিকে পিল্লাই নভেম্বরের এক তারিখে কুইন্ট পোর্টালকে বলেছিলেন যে, তিনি কিছু দিন ধরেই জানতেন যে এনএসও ভারতে সক্রিয়।
এনএসও-র বয়ান অনুযায়ী একমাত্র ভারত সরকারের কাছেই এই চরপ্রযুক্তি রয়েছে এবং সেটি তাঁরা কী লক্ষ্যে ব্যবহার করছে সেটা সম্পর্কে তাঁরা আদৌ অবহিত নন। এটা পরিষ্কার যে এর লক্ষ্য দু’টি: প্রথমত, বিরোধী দলগুলির গতিবিধি বোঝা, দুই দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের মধ্যে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে ভয় দেখিয়ে রুদ্ধ করা। রাহুল গান্ধী বা অভিষেক ব্যানার্জির দলবল কিছু দিন এটা নিয়ে বাজার গরম করবে, গণতন্ত্র বিপন্ন বলে বাজার মাত করবে এবং তারপর তাঁরা যেখানে ক্ষমতায় আছেন, সেখানে নির্দ্বিধায় একই প্রযুক্তি অন্যদের ওপর ব্যবহার করবেন। সরকার খুব ভালভাবেই জানে এঁরা কোনও দিনই কর্পোরেট পুঁজির ক্ষতিকারক কিছু করে উঠতে পারবেন না। সরকারের মূল চিন্তা নাছোড়বান্দা সাংবাদিকদের নিয়ে (প্রায় 40 জনের নাম আছে শোনা যাচ্ছে) এবং তথাকথিত আরবান নকশালদের নিয়ে যাঁদের ডান বাম উভয় শিবিরই সেই মনমোহন সিংয়ের আমল থেকে দেশের নিরাপত্তার পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে নিদান দিয়েছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে আছেন সুশান্ত সিং, যাঁর রাফায়েল বিমান ক্রয়ে লেনদেন সংক্রান্ত তদন্ত এখনও বিষয়টিকে জীবন্ত রেখেছে; আছেন ইকনমিক অ্যান্ড পলিটিকাল উইকলি (EPW) –র প্রাক্তন সম্পাদক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, ভয়ডরহীন সরকারবিরোধী পোর্টাল ওয়্যারের সিদ্ধার্থ ভরদ্বারাজন এবং এমকে ভেনু। এছাড়া আছেন রোহিণী সিং, যিনি নিজেই টুইট করেছেন যে অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ এবং পীযুষ গোয়েলের গোলমেলে আর্থিক লেনদেনের ওপর খবর করার জন্য তাঁকে নিশানা করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে তাঁর দু’টি টুইট প্রণিধানযোগ্য। একটিতে তিনি লিখছেন: ‘এক মহিলা অত্যন্ত ক্ষমতাশালী সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের দ্বারা যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। জানা যাচ্ছে তারপরেই তাঁর এবং ঘনিষ্ঠদের ফোন হ্যাক করা হয়। সেই বিচারক সরকারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেন এবং অবসর গ্রহণের পর তাঁকে পুরস্কৃতও করা হয়। আপনি একটা লজ্জা...।' আর একটি টুইটে তিনি ‘গোদি মিডিয়া’-কে ব্যঙ্গ করছেন; ‘আপনাদের এই সরকারকে তোষামোদে লাভের লাভ কিছু হবে না, উল্টে দেখা যাবে আপনাদের ফোনও হ্যাক হচ্ছে। তার চেয়ে নিজের কর্তব্য করুন, যাতে মানুষ অন্তত আপনাদের সম্মান করে, এই সরকার যে সেটাও করে না এটা তো পরিষ্কার বোঝাই যাচ্ছে।'
আরও পড়ুন: যোগীর কোপে কবিই বাদ
উপরোক্ত সাংবাদিকরা ভারতীয় মিডিয়ার পরিচিত নাম। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের একটি ছোট্ট শহরের অনামী, স্বাধীন সাংবাদিক যিনি কোনও বৃহৎ মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত নন, সেই রুপেশ কুমার সিং-এর তিন তিনটে ফোন নম্বর কী করে পেগাসাস প্রজেক্টের তালিকায় স্থান পেল? 2017 সালে রাজ্য পুলিশ এক নিরীহ আদিবাসীকে হত্যা করে। রুপেশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই হত্যার প্রতিবাদে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন, যেটি বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় ছাপা হয়। বিভিন্ন বিরোধী দল, শ্রমিক ও আদিবাসী সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করে এবং সরকারকে তদন্ত করতে বাধ্য করে। রুপেশ বলছেন, তার পর থেকে তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রীর ফোনে আড়ি পাতা শুরু হয়, এমনকি তাঁর শ্যালিকার ফোনও ট্যাপ করা হয়। তাঁর স্ত্রীর গাড়িতে জিপিএস এবং ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করা হয়, যেটা রুপেশ গ্রেপ্তার হওয়ার পরই জানতে পারেন। তাঁর ওপর ইউএপিএ প্রয়োগ করা হয় এবং ছয় মাস বাদে কোনও অভিযোগ না আনতে পারার ফলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। রুপেশ অদম্য। তিনি বলছেন ভুয়ো সংঘর্ষের বিরুদ্ধে লেখালেখি তিনি চালিয়ে যাবেন। পেগাসাস তালিকায় তাঁর নাম থাকা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এটা মোদী সরকারের থেকে একটা পুরস্কারের মতো। রুপেশের মতো আদিবাসীদের হিতার্থে নিবেদিত মানুষদের সরকার ভয় পায়; ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত প্রত্যেকেই প্রায় এই ধরনের বুনিয়াদি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রশ্নটা হচ্ছে ফোনে আড়ি পাতা, কম্পিউটারের ওপর নজরদারি করা, তথ্য ডিক্রিপ্ট (সাংকেতিক ভাষাকে পাঠযোগ্য করা) এসব করার জন্য তো অনেক দিন থেকেই আইন আছে। মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র তাঁর ‘ডিজিটাল যুগে গণ নজরদারি, রাষ্ট্র ও মানবাধিকার’ বইয়ে লিখছেন, “বস্তুত, ভারত সরকার 2015 সাল নাগাদ সুপ্রিম কোর্টে বিখ্যাত পুত্তুস্বামী মামলায় বক্তব্য রেখেছিল যে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকে ভারত কখনওই স্বীকৃতি দেয়নি; অর্থাৎ তাই দেওয়া উচিত নয়; অবাধে নজরদারি চালানোর জন্য রাষ্ট্রের অবাধ ক্ষমতা থাকা উচিত”। যোগাযোগ, কথোপকথনে নজরদারি করা, আগে থেকে অনুমান করার জন্য একগুচ্ছ আইন আছে। শুধুমাত্র ফোনে আড়ি পাতার জন্য সিআরপিসির সেকশন 92 আছে, ঊনবিংশ শতাব্দীর টেলিগ্রাফ আইনের 419A ধারা আছে; নজরদারির জন্য আইটি আইনের সেকশন 69 এবং 69Bআছে। কখন যে কোনটা কোথায় প্রয়োগ করা যায়, এটা নিয়ে জটিলতা আছে, কিন্তু আইন আছে। কিন্তু হ্যাকিং করার আইন নেই, সেটা বেআইনি। বস্তুত ভারত সরকার এনক্রিপ্টিং শিথিল করার জন্য বারবার আইটি কোম্পানিগুলোর কাছে তদ্বির করছে। তাঁরা ভীত, তাঁদের অজান্তে বহু বার্তা চালাচালি হচ্ছে যার মাথামুন্ডু তাঁরা কিছু বুঝতে পারছেন না। অতএব প্রয়োজন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। 2013 সালে গণনজরদারি সম্পর্কে বিশ্বের মানুষ অবহিত হন, যখন এডওয়ার্ড স্নোডেন আমেরিকার কুখ্যাত এনএসএ-র বিশ্বজুড়ে নজরদারির অন্ধকার জগত উন্মোচিত করে দেন। প্রযুক্তির উল্লম্ফনের ফলে ভৌগোলিক দূরত্ব তখন আর কোনও বাধাই নয়। পেগাসাসের মতো আরও অনেক এই ধরনের স্পাইওয়্যার বাজারে আসে। এটা হচ্ছে নেটদুনিয়ার গভীর তমসাবৃত একটা জগত! পেগাসাস কারও ফোনে ঢুকে গেলে সেটার হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ, এসএমএস, অ্যাড্রেস বুক, ফোনের ইতিহাস, ইমেল, বিভিন্ন অ্যাপ ও নেট ঘাঁটাঘাঁটি সব কিছু এই ডিজিটাল গোয়েন্দার দখলে চলে আসবে। সেটা ঘাপটি মেরে ফোনে বসে থাকবে, মালিক এটার উপস্থিতি সম্পর্কে জানতেও পারবে না। সেই কারণে সে এটার বিরুদ্ধে আদালতেও যেতে পারবে না। স্নোডেন বলছেন আগেকার গোয়েন্দাগিরির থেকে এটা একটা গুণগত পরিবর্তন। আগে ফেসবুকের মতো সংস্থা গ্রাহকের তথ্য বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহার করত এবং সেই কারণে তাঁর রুচি পছন্দের ওপর নজর রাখত। কিন্তু এখন শুধুমাত্র ব্যক্তির তথ্যই চুরি হচ্ছে না, এই স্পাইওয়্যার পুরো ফোনটারই দখল নিয়ে নিচ্ছে এবং সেটা ফোনের মালিকের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে।
নিষ্কৃতির উপায় কী? আপাতত এই প্রযুক্তি দামি, একটি ফোনে ইন্সটল করতে প্রায় এক কোটি! কিন্তু যখন সেটা সুলভ হয়ে যাবে, তখন তো যত্রতত্র এটার ব্যবহার হবে? স্নোডেন বলছেন, এই ধরনের প্রযুক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, এটাকে পণ্য হিসাবে বাজারে বিক্রি হতে দেওয়া যাবে না, তাহলে আজকে পঞ্চাশ হাজার ফোন টার্গেট হচ্ছে, কালকে পঞ্চাশ মিলিয়ান হবে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের এটা আটকাতে হবে, নিষ্ক্রিয়তা কোনও উপায়ই নয়। মাঝামাঝি কোনও জায়গা নেই, যেখানে এই প্রযুক্তি নীতিনিষ্ঠ ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। এটাকে বিলুপ্ত করতে হবে।‘
জনজীবনকে ধ্বংস করে উন্নয়নের মোড়কে দেউচা পাঁচামিকে পুঁজিপতিদের মুক্তাঞ্চল করতে চাইছে তৃণমূল সরকার।
নিজের ভাষায় ফিল্মের গল্প বলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরার শিরোপা পাওয়া পায়েল কাপাডিয়া।
এই সব অঞ্চলে উন্মুক্ত কয়লা খননের কারণে পরিবেশের সমূহ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
কোনও কিছুই আর গোপন নয় আমাদের জীবনের।
দেশের নানা প্রান্তে সংখ্যালঘু পীড়ন দেখে যাঁরা চুপ থাকেন, তাঁরা করবেন বিজেপি-সংঘের বিরোধিতা?
শাহিনবাগের বর্ষপূর্তিতে স্মরণীয় সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদের শক্তি