×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • বেচারাম প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে শিল্প-স্বপ্নের অবতার

    গৌতম রায় | 01-03-2021

    প্রতীকী ছবি।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত দু-তিন মাসে যেভাবে দিল্লি টু পশ্চিমবঙ্গের ডেইলি প্যাসেঞ্জারে পরিণত হয়েছেন, এমনটা রাজ্যবাসী আগে কোনও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে দেখেননি।মোদীর দলের অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনও পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয়েছে। বাজপেয়ীও এসেছেন ভোট প্রচারে, ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগেসরকারি মঞ্চকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও তিনি কম যাননি, তবু নরেন্দ্র মোদী এখনই সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছেন। সরকার আর দলকে মিলিয়ে মিশিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদীকে কিন্তু এক এবং অনন্য হিসেবে বিশেষ স্বীকৃতি দিতেই হয়।

     

     

    ভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকার সময়ে যেসব উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি মানুষ গণ আন্দোলনের ভিতর দিয়ে আদায় করেছে, সেইসব প্রকল্পগুলিকে উদ্বোধনের ভিতর দিয়ে নিজেদের বলে চালানোর ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে অপরের পরিপূরক। মমতা যেমন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পগুলিতে পুরনো উদ্বোধন ফলক খুলে ফেলে নিজের নাম খোদাই করা ফলক সেঁটে কৃতিত্বের ভাগীদার হন, ঠিক সেভাবেই বামপন্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের ভিতর দিয়ে প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে গৃহীত প্রকল্প, দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের উদ্বোধন করেসম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গোটা বিষয়টির কৃতিত্ব নিজে নিতে চেয়েছেন।

     

     

    বিজেপি এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখানে তাদের নির্বাচনী রণকৌশলে কিছুটা ভিন্নধারা দেখাবার চেষ্টা করছে। দাঙ্গা লাগিয়ে, মানুষকে আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত করে, সেই বিভাজনের ফসল ভোট রাজনীতিতে প্রয়োগ ঘটিয়ে ভোটে জেতা বিজেপির চিরন্তন কৌশল। ঠিক এই মুহূর্তে যে সেইপথে নিজেদের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে পরিচালিত করতে চায় না আরএসএস- এটা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটা রাজ্য সফর থেকে একদম পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী মোদী এই রাজ্যে যে ক’টা প্রাক-নির্বাচনী সফর করলেন, তার একটিতেও তাঁর চিরন্তন বিভাজনের অস্ত্রটিকে তিনি প্রয়োগ করেননিবিভাজনের অস্ত্রটিকে আস্তিনের ভিতর লুকিয়ে রেখে উন্নয়নেরপসরা তুলে ধরতেই মোদী সবিশেষ ব্যস্ত থেকেছেন। আর ব্যস্ত থেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার আমলের দুর্নীতি নিয়ে।

     

     

    গত দশ বছরে এই রাজ্যযে কর্মসংস্থানের দিক থেকে একদম তলানিতে এসে ঠেকেছে, সেটা দেশের প্রধানমন্ত্রীর না জানার কথা নয়। ছাঁটাই এখন লকডাউন-উত্তর সময়কালে কার্যত দ্বিতীয় মহামারীর রূপ নিয়েছেএই সংকটকে ভোট রাজনীতিতে নিজের দল বিজেপির পক্ষে ব্যবহার করা ছাড়া এই বিপদ মোকাবিলায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংকটকালে মোদীর ভূমিকা কী? পশ্চিমবঙ্গের শিল্পসংকট আর সেই সংকট থেকে উঠে আসা তীব্র বেকারত্ব, মেধার বহির্নির্গমন- এইসব সমস্যার জন্যে কি মোদী নিজেও দায়ী নন? সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে বিতাড়িত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেসব কৃতকর্ম, সেগুলির পিছনে কি মোদীর দল বিজেপির মদত ছিল না? তৃণমূল নেত্রী হিসেবে মমতার ধর্মতলার অনশনে তো অন্যতম শীর্ষ বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং নিজে উপস্থিত ছিলেন। সেদিনই তো পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পচিত্র কী হতে চলেছে, তা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তাহলে আজ মোদীর এই রাজ্যের শিল্পহীনতানিয়ে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন কেন? 

     

     

    দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের নামে শপথ নেওয়া প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জমির ওপর আরএসএসঅনুগত, হনুমানগড়ি আখড়া পরিচালিত রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছেন।এই ঘটনা গান্ধী, নেহরু, আজাদের ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদী ভারতে রূপান্তরিত করবার একটি পর্যায় হিসেবেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে প্রতিভাত হয়েছেদেশের সংখ্যালঘু মুসলমান সমাজের ওপর আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার সংখ্যাগুরুর আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী- দ্বিতীয় দফার মোদী সরকারের কার্যকলাপের ভিতর দিয়ে তা ক্রমশ আন্তর্জাতিক স্তরে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। সেই দিক থেকে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা গুজরাত গণহত্যার সময়কালে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে মোদীর যেমন নেতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছিল, ঠিক তেমনই

     

     

    তারপরও ঘটেছে 2020 ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির মুসলিম পীড়ন ও হত্যা। দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের সঙ্গে শাসক বিজেপি এবং তাদের পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার কী ধরনের সামাজিক,অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক বৈষম্যমূলক আচার-আচরণ ধারাবাহিকভাবে করে চলেছে, তা হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলো যতই চেপে রাখার চেষ্টা করুক, আজকের ডিজিটাল যুগে বহির্বিশ্বের কাছে সব খবরই পৌঁছচ্ছে। গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র নানাভাবে হেনস্থা করছে মুসলমানদের।অহেতুক মুসলমানদের উপর পুলিশি জুলুম করা হচ্ছে বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যে। 2014 সালের লোকসভা ভোটের আগে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ লাগোয়া মুজফফরনগরে আরএসএস-বিজেপি জাঠ এবং মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা লাগায়সেই দাঙ্গার ফলে যে ধর্মীয় এবং সামাজিক মেরুকরণ তৈরি হয়েছিল, তা সেই ভোটে বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়তে সাহায্য করে। তবে সেই দাঙ্গা দমনে সঠিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে না পারার জন্য উত্তরপ্রদেশে সেই সময়ে ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদবের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি সরকার এবং কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার ঘরে-বাইরে প্রবলভাবে সমালোচিত হয়।

     

    আরও পড়ুন: বড় ভাই সব দেখছে!

     

     

    তাই, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আসন্ন ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সংখ্যাগুরু আধিপত্যবাদ কায়েমের দায়ে আন্তর্জাতিক দুনিয়াতে প্রবল সমালোচিত নরেন্দ্র মোদী নিজের মুখে ধর্মীয় বিভাজন, সামাজিক বিভাজনে প্ররোচনা তৈরি করতে পারে, তেমন কোনও কথা এই রাজ্যের কোনও সভা-সমাবেশ থেকে বলেননি। মোদীর দল ভোটে জিততে এই রাজ্যেও তাদের শেষ অস্ত্র দাঙ্গার পথে হাঁটবে কিনা, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে দাঙ্গার প্রাথমিক পর্যায় হল একদম তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে সংক্রমিত করাসেই কাজটি পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু আরএসএস তাদের হাজার রকমের শাখা সংগঠন, সংঘের ছত্রছায়ায় থাকা নানারকমের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পুরোমাত্রায় করে রেখেছেতাই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের কোনও দায় যাতে কোনও অবস্থাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরে এসে না পড়ে, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর আরএসএস এবং স্বয়ং মোদীর। সেই নজরদারির ফলস্বরূপই মোদী এই রাজ্যে ভোট ঘোষণার আগে পর্যন্ত যতবার এসেছেন, ততবারই সরাসরি কোনও সাম্প্রদায়িক কথা বলেননি। প্রত্যক্ষভাবে বিভাজনে উসকানি দেননি। ব্র্যান্ড গুজরাটের স্বপ্নিল ফানুসই এখানে ওড়াতে চেয়েছেন। বেকার ছাত্র-যুবদের কাছে কর্মসংস্থানের ফানুস উড়িয়েছেন। যেমনটা একদিন উড়িয়েছিলেন মমতা।

     

     

    গত 22 ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী হুগলির সাহাগঞ্জে একটি দলীয় সভা করেছেন। সেই সভাতেও তিনি পশ্চিমবঙ্গের শিল্পঘিরে নিজের হতাশার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তাঁরা সরকার গড়লে, সেই হতাশা কাটিয়ে কীভাবে ‘সোনার বাংলা’ গড়বেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। সাহাগঞ্জের অদূরেই ডানলপযেখানে ঐতিহ্যবাহী টায়ার কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে গত দু’বছর ধরে বিজেপির সাংসদ রয়েছেনসাহাগঞ্জে দাঁড়িয়ে শিল্পের প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা ছোটালেও প্রধানমন্ত্রী মোদী কিন্তু বন্ধ ডানলপের কারখানা নিয়ে একটি শব্দওউচ্চারণ করেননি। স্থানীয় সাংসদও গত দুই বছরে ডানলপ খোলা নিয়ে সংসদে একটি শব্দও উচ্চারণ করেছেন, এমন কোনও খবর সংবাদমাধ্যমের নজরে আসেনি।

     

     

    যে হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী আসন্ন বিধানসভা ভোটের মুখে মানুষের সামনে শিল্প সম্ভাবনার রঙিন ফানুস ওড়ালেন, বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের আশা দেখালেন, সেই হুগলির সিঙ্গুরেই এক দশক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এই রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরির আশার গঙ্গাযাত্রা ঘটিয়েছিলেন, এই মোদী এবং তাঁর দল ছিল সেই শ্মশানযাত্রার সঙ্গী। টাটার ন্যানো কারখানাকে পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুর থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে মোদীর গুজরাতের সানন্দে নিয়ে যাওয়ার পিছনে মোদী এবং মমতা উভয়েরই ভূমিকা ছিল

     

     

    সেই হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়ে শিল্প সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মোদীতিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন প্রায় সাত বছর হতে চললএই সাত বছরে পশ্চিমবঙ্গ তো কোন ছাড়, গোটা দেশের লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পসংস্থাগুলি মোদী নিজের এবং অবশ্যই তাঁর দলের তাঁবেদার আদানি, আম্বানি ইত্যাদিদের কাছে বেচে দিতে শুরু করেছেন শিল্পের কোনও নতুন সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গে তো নয়ই, গোটা দেশেই দেখতে পাওয়া যায়নি। বস্তুত, মধ্যস্বত্বভোগী ফড়েদের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের রাজনৈতিক পথচলা শুরু করা আরএসএসের বিভিন্ন সময়ের বিবর্তিত রাজনৈতিক সংগঠনগুলি- হিন্দু মহাসভা, ভারতীয় জনসংঘ, ভারতীয় জনতা পার্টি- এরা প্রত্যেকেই চিরকাল বৃহৎ শিল্পের থেকে ব্যবসাটাকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। ‘ব্যবসায়ীদের দল’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিজেপি, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের দৌলতে এখন বৃহৎ বুর্জোয়াদের খুব কাছের লোক হয়ে উঠলেও, যেসব বৃহৎ বুর্জোয়াদের তারা কাছের মানুষ হয়েছে, তাদের মূল চরিত্রগত বৈশিষ্টে শিল্পের থেকে ব্যবসাটাই সবথেকে বেশি গুরুত্ব পায়। তাই নতুন শিল্পের দিকে তারা তাদের শ্রেণীবন্ধু বিজেপিকে কখনওই পরিচালিত হতে দেয় না। তারা চায় বৃহৎ শিল্পের পরিবর্তে বিদেশি বহুজাতিকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ভারতের অর্থনীতিকে বানিজ্য নির্ভর করে তুলতে। এই বানিজ্য নির্ভর অর্থনীতি কিন্তু নয়া উদার অর্থনীতিরও একটা বিশেষ উল্লেখযোগ্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট

     

     

    নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে এসে বন্ধ কলকারখানা খোলা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করছেন না। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পসংস্থা বেচা নিয়েও মুখে কুলুপ এঁটে থাকছেন। এই বিক্রিবাটার স্বপক্ষেও পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে কিছু বলছেন না। কারণ, তিনি বা তাঁর সতীর্থরা খুব ভালভাবেই জানেন যে, নেহরু মডেলের শিল্পের সমাধি রচনা করে, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প বেচে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া ধারাবাহিক ভাবে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার চালাচ্ছে এবং প্রত্যক্ষভাবে সেই প্রবণতাকে যে সংসদের ভিতরে বাইরে মমতার দল মদত দিচ্ছে, তা এই রাজ্যের মানুষ, এমনকি তৃণমূল বা বিজেপির সমর্থকেরাও কোনও অবস্থাতেই সমর্থন করতে পারছে না। তাই অত্যন্ত সচেতনভাবেই আরএসএসের লোক মোদী নিজেদের ‘ব্যবসায়ীদের দল’ সত্তাটিকেই বজায় রেখে চলেছেন এখানে তাঁর প্রতিশ্রুতির বন্যার ভিতর দিয়ে।


    গৌতম রায় - এর অন্যান্য লেখা


    প্রতিবাদ রুখতে ধর্মপরিচয়ে নাগরিকদের ভাগ করছে রাষ্ট্র।

    ভোটমুখী রাজ্যে শিল্প গড়ার ডাক দিলেও দেশে বড় শিল্প আনতে পারেননি মোদী।

    বেচারাম প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে শিল্প-স্বপ্নের অবতার-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested