এমন এক সময়ে আমরা এসে পৌঁছেছি, যে সময় আমাদের হাতে-পায়ে বেড়ি পরিয়ে দিয়েছে। মারণ ভাইরাসের ভয়ে দরজা বন্ধ পৃথিবীর; যার জেরে আমাদের দেশে ভয়ঙ্করভাবে প্রকট হয়ে উঠছে নিরন্ন মানুষের মৃত্যুমিছিল। ইতিহাস আগেও এই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে, কিন্তু এমন বন্দিদশা মানুষ আগে দেখেনি। এই অসহায় সময়ের স্বাক্ষর ‘দেশ দেখছি অন্ধকারে’। সচিত্র বয়ানে শিল্পী হিরণ মিত্র।
গুমরে উঠছে ব্যথা, সন্তানের জন্ম, মায়ের চিৎকার শুনেছি। কিন্তু সন্তানের মৃত্যুর কান্না, আর্তনাদের মতো, অতিধ্বনিত হওয়া, বাতাসে, অন্ধকার ছায়াচ্ছন্ন, আমাকে দিশাহারা করে দেয়। এমন নিস্পৃহ সরকার, পায়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে শ্রমিকের দল, গৃহহীন, খাদ্য নেই, অভুক্ত বা দুর্বল শরীর। আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। চমকে উঠি।
অসহায় গৃহবন্দি আমরা। সরকারের কোনও হুঁশ নেই। এক ফ্যাসিস্ট, নির্মম, হৃদয়হীন সরকার। নিশ্চুপ। নীরব।
তবুও সেই নীরবতায়, আর্তনাদ বাতাস ভারী করে তুলেছে, অবিশ্রান্ত ক্রন্দন।
হিরণ মিত্র
আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। চেয়েছিলাম, একটা মুক্ত পাখির ছবি আঁকব
ক্রমশ ছায়া ঘনিয়ে আসছে।
তোমার কালো রঙ, আর মৃত্যুর মিছিল থামতেই চাইছে না।
এই অসহায় সময়ের স্বাক্ষর হিসেবে থাকছে ‘দেশ দেখছি অন্ধকারে’
পাশবিক চিৎকার। আকাশে বাতাসে। পৈশাচিক উল্লাস!