বিকেলবেলায় যখন মাঠে যাই, দোলনায় দোল খাই, ঘুড়ি ওড়াই স্কুলের ফুটবল খেলার মাঠটা বড্ড মনে পড়ে।
বোনুরাও আমার সঙ্গে আসে মাঝে মাঝে তখন আমরা সবাই মিলে কুমির ডাঙা, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলি।
এই কয়েক মাস হল মা বিকেলের দিকে মাঠে যেতে দিচ্ছে। যখন বাড়িতে থাকতাম মোবাইল বা কম্পিউটারে গেম খেলতাম।
সবসময় যে ভাল লাগত খেলতে তা নয়, মাঝে মাঝে রাগ হত খুব। ঈশান, উৎস, শৌভিকের কথা খুব মনে পড়ে, জান তো কোনও কোনও দিন তো খেলতে খেলতে টিফিন খাওয়ার কথাই ভুলে যেতাম আর ফেরার সময় স্কুলের সামনে কুট্টি দাদুর কাছ থেকে নিয়ম করে আচার বা হজমি খেতাম।
কে জানে স্কুল যবে খুলবে, তখনও কুট্টি দাদু থাকবে কিনা? একদিন দুপুরে মার উপর খুব রাগ করে একটি রিমোট গাড়ি ভেঙে দিয়েছিলাম। মা খুব বকেছিল, বাবা নাকি ওটা অনেক কষ্ট করে কলকাতা থেকে এনে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: কী মজা, স্কুল খুলছে
কিন্তু আমার যে রাগ হয়েছিল, কেন রেগে গেছিলাম কেউ জানতেও চায়নি, এমনকি ঠাম্মাও নয়। মিড-ডে মিল আনতে বাবা সেদিন স্কুলে গিয়েছিল, কিন্তু আমাকে কিছুতেই নিয়ে গেল না, স্যাররা নাকি আমাদের স্কুলে যেতে বারণ করেছেন। কিন্তু আমার যে একঝলক স্কুল দেখতে ইচ্ছে করছিল, মনে হচ্ছিল হয়ত শৌভিক, ঈশানরাও আসবে। ওরা কি এসেছিল?
জান তো আমি একটা সাউন্ড সিস্টেম, একটা মোটর নৌকা, বাঁশের নৌকাও বানিয়েছে। জ্যেঠু আমাকে তীর-ধনুক বানাতে, ডালে দোলনা বাঁধতে শিখিয়েছে। যেদিন স্কুল খুলবে এসব নিয়ে যাব ঈশান, উৎসদের দেখাতে। ঋজুদারাও স্কুলে যাচ্ছে। পরে গিয়ে শুনতেই হবে কী কী করল ওরা? কিন্তু আমাদের কবে খুলবে বলতো?
(লেখক ধনিয়াখালি মহামায়া বিদ্যায়তনের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র)
যেদিন স্কুল খুলবে এসব নিয়ে যাব ঈশান, উৎসদের দেখাতে। কিন্তু আমাদের স্কুল কবে খুলবে বলতো?