আমার জন্ম ও বাসস্থান বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ। বিদ্যালয়শিক্ষা বহরমপুরেই। স্নাতক( সংস্কৃত অনার্স) : সংস্কৃত কলেজ, কলকাতা। স্নাতকোত্তর(সংস্কৃত), এমফিল( মূর্তিতত্ত্ব) : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি(মূর্তিতত্ত্ব) রত। বৃত্তি অধ্যাপনা, কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজে 2014 থেকে।
একাদশ শ্রেণী থেকে কবিতা লেখা শুরু। সবার কবিতা পড়তাম, তারপর ঐ বয়সি সবাই যেমন লেখেন, আমিও লেখা শুরু করি। সেই ভাবে দেখতে গেলে, ‘সিরিয়সলি’ কখনও ভাবিনি এটা নিয়ে। 2017 সালে নন্দিনী নামে একটি পত্রিকার সান্নিধ্যে আসি। সেখানে প্রথম আমার কবিতা ছাপা হয়, তারপর থেকে ত্রৈমাসিক পত্রিকাটিতে নিয়মিত লিখি। চারটি সামূহিক কাব্যসঙ্কলনে আমার বেশকিছু কবিতা ছাপা হয়েছে। বহরমপুর থেকে বেড়ন' অর্কেষ্ট্রা নামক একটি লিটল ম্যাগাজিনেও আমার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি কবিতাসংক্রান্ত গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত, সেখানে কবিতা লিখি।
এখানে রইল আমার দু’টি কবিতা।
(1)
কবিতা : পুবের জানালা
আমার বন্দি-গৃহযাপনের সাথী
একখণ্ড পুবের জানালা,
খোলা যে পথে রোজ গল্প শোনাতে আসে
একফালি রোদ ও অনেকটা বাতাস।
সে জানালার ধারে আমার নিজের ছোট্ট জগৎ
স্বশাসন যেখানে নিয়ত,
এ'জানালার সাথেই নিশিযাপন
রাতের আকাশকে সাক্ষী রেখে।
এখন চেনা-অচেনা পাখীরাও আসে
নাগরিক কোলাহলে বিপন্ন যারা,
তারা এখন ভোর হলেই ডেকে দিয়ে যায় আমায়
জানালার পাশে আমার জগতে।
তারপর জানালা দিয়ে ভেসে আসে
এক আকাশ আশা!
আশা বেঁচে থাকার আশা ভালোবাসার
আশা মুক্তির আশা সুস্থিত দিনের।
বন্দিত্ব একদিন শেষ হবে নিশ্চয়ই
বহু কাঙ্খিত এ'আশা,
তবু, একাকীত্বের যৌথ অংশীদার
সে জানালা চিরন্তন সখা।
(2)
কবিতা : পলাশ ও আমি
পলাশ'তো ফুলে ফুলে রক্তাক্তই ছিল
ক্ষত তার সহজাত, তবুও উদ্ভাসিত সে;
আমার ক্ষত প্রলেপহীন গাঢ় হয়ে আছে
অন্তর্লীন রক্তক্ষরণই বহমান।
পলাশের ছোঁয়ায় যে মাদকতা
সে মাদকতায় আজ পূর্ণ চারিপাশ,
এ'মনের মুক্ত পথ যত'
রক্তের ধারায় ধারায় স্নান।
যে ব্যথায় পলাশ হয়েছে লাল
সে ব্যথায় আমি হয়েছি যে অস্থির,
ও'ব্যথার ভিন্ন ভিন্ন ছবি
ছবিতেই সবটা প্রতীয়মান।