×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • বাংলায় ভোট, পর্ব 26- ভোটের লড়াই কমিশনে আর আদালতে

    4thpillars ব্যুরো | 24-04-2021

    দীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র, গৌতম লাহিড়ী এবং আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তী।

    এবার বাংলার ভোটে নজরের কেন্দ্রবিন্দুতে জনগণের বদলে নির্বাচন কমিশন এবং শেষ পর্বে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট।  নাগরিক কি গৌণ হয়ে গেল? এই বিষয়ে গত 23 এপ্রিল (শুক্রবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র, গৌতম লাহিড়ী এবং আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

     

     

    1) বর্তমানে সামগ্রিক ভাবে দায়িত্বহীনতার ছবি প্রকাশ্যে আসছে। সবাই জানত কখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে, এবং সেটা যে আরও মারাত্মক হবে সেটাও জানা ছিল। তবুও কেউ সচেতন হল না। প্রধানমন্ত্রী কোনও সাবধানতা ছাড়াই মিটিং মিছিল চালিয়ে গেলেন। নির্বাচন কমিশনও কোনও পদক্ষেপ নিল না।

     

    2) আমরা কিন্তু এখনও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের মধ্যে আছি তারপরেও কেন প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা এভাবে মিটিং মিছিল করতে পারল জানি না।

     

    3) হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করেছে বলে যতটা শোরগোল হল, কার্যক্ষেত্রে ততটা কিছু হয়নি। হাইকোর্ট বলেই খালাস। সেগুলোর রূপায়ন কতটা হল দেখবে কারা?

     

    4) হাইকোর্টগুলোর গুরুত্বই তো ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলল, উত্তরপ্রদেশের কিছু শহরে লকডাউন করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল।

     

    5) এই পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল, তা তারা পালন করছে না। এই প্রতিষ্ঠানগুলো একটি রাজনৈতিক দলের অনুগত হয়ে কাজ করছে। সাধারণ মানুষ আর এগুলোর ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছে না।

     

    6) করোনা সংক্রমণ রুখতে নির্বাচন কমিশনের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ছিল। অনেক আগেই নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল। হাইকোর্টের কাছে ভর্ৎসিত হওয়ার পর তাদের টনক নড়েছে, কিন্তু তাতে অনেক দেরি হয়ে গেছে।

     

    7) একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচার করতেই পারেন। কিন্তু দেশের প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে তাঁর যে একটা দায়িত্ব আছে এবং সেই দায়িত্বটা যে অন্য পাঁচজনের চেয়ে বেশি— এটা তাঁর বোঝা উচিত। 

     

    8) পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির ভাবপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, রাজ্যটা একটা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির ওপর বসে আছে। যে কোনও সময় অগ্নুৎপাত হতে পারে। বাংলার গ্রামে গ্রামে একটা মোটা দাগের রাজনৈতিক মেরুকরণ চোখে পড়ছে। একদল চাইছে যেনতেন ভাবে ক্ষমতা দখল করতে। আর একদল চাইছে, অনৈতিক ভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা হলে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে।

     

    9) ইতিহাসে কেউই চিরস্থায়ী নন। কালেত নিয়মেই শাসকের পরিবর্তন হয়। এখন যারা ক্ষমতার আস্ফালন দেখাচ্ছেন, তারাও একদিন হারিয়ে যাবেন। কিন্তু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে ক্ষয়রোগ বাসা বাঁধল, সেগুলো সারাতে অনেক সময় লেগে যাবে।


    4thPillars ব্যুরো - এর অন্যান্য লেখা


    তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময়ে কবির লেখালিখির শুরু। ‘আলোর ফুলকি’-তে প্রথম ছড়া প্রকাশ পায়।

    সরকারের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা স্বীকার না করে প্রধানমন্ত্রী বল ঠেলে দিলেন রাজ্যগুলির কোর্টে।

    আজকের ভারতে চরম দক্ষিণপন্থী শাসনে যেন সেই ইউটোপিয়া বাস্তবায়িত হচ্ছে!

    ভ্যাকসিনের ভাল খারাপ সম্পর্কিত তথ্য হাতে না এলে সাধারণ মানুষের মনে ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় কাটবে না।

    কেন্দ্রের শাসক শুধু ভোটের সঙ্গে রোগ সংক্রমণের সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছে না!

    বাংলায় বিভিন্ন প্রান্তে আমপানের তাণ্ডবের টুকরো কিছু অংশ www.4thpillars.com এ।

    বাংলায় ভোট, পর্ব 26- ভোটের লড়াই কমিশনে আর আদালতে-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested