×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • শিশুর বিকাশের জন্য বিধি মেনে খোলা হোক প্রাইমারি স্কুল

    ঝর্ণা পান্ডা | 04-11-2020

    মারী, তোমার সঙ্গে হোক আড়ি!

    গত কয়েক মাস ধরে একটি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে সমাজে সর্বত্র আলোচনা চলছে। এই সিদ্ধান্তের উপর রাজ্যের কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রীর (সরকারি বিদ্যালয়) ভবিষ্যতও নির্ভর করছে। এমনটাও শোনা যাচ্ছিল রাজ্য সরকার পুজোর পর স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তেরও পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। মহামারীর এই পরিবেশে স্কুল খোলার তারিখটি পিছোতে পিছোতে আমরা হয়তো বছরটিকেও পার করে ফেলব।

    গত 7 মাস স্কুল বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীরা হাঁপিয়ে উঠেছে। তারা জানতে চাইছে, ‘দিদিমণিআমাদের ইস্কুল কবে খুলবে?’ বাচ্চাদের এই অনিশ্চয়তার সঙ্গে অভিভাবকদের একটি বড় অংশওঅনিশ্চয়তার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ারা বইখাতার সঙ্গে প্রায় সংস্রব ত্যাগ করায় উৎকন্ঠিত মায়েরা বলছে, ‘ইস্কুল তো বন্ধ। সারাদিনই প্রায় ছেলেমেয়েগুলো খেলে বেড়ায়পড়াশোনা কিছুই হচ্ছে না। ইস্কুল আর প্রাইভেট মাস্টার যেটুকু পড়ায়বাড়িতে পড়তে বসতেই চায় না। মারধর করে বসাইকিন্তু কী পড়ে আমরা বুঝতে পারি না। সন্ধ্যে হলেই ঘুমে ঢুলতে থাকেপ্রাইভেট পড়তে যে পাঠাব সেটাও তো এখন বন্ধ। ছেলেটা যা শিখেছিল সেটাও ভুলে যাবে। পড়া ভুলে গেলে আর ইস্কুল যেতে চাইবে না।‘ বাচ্চারা যে বাড়িতে পড়াশোনা করে নাসে কথা সব থেকে ভাল জানেন মাষ্টারমশাইরা। শিক্ষার গুণগত মানের প্রধান অন্তরায় হিসেবে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে বইয়ের পাতা না খোলার মতো ঘটনাগুলিকেই প্রধান কারণ হিসেবে তারা চিহ্নিত করেন। প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিন স্কুলে না যাওয়ার অভ্যেসও তাদের স্কুল বিমুখ করে তুলতে পারে। তাছাড়াএতদিনে যেটুকু শিখেছিল, সেটুকু ভুলে গেলে সরকারি নিয়মে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হওয়াতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু, এতে উঁচু ক্লাসে বার দুয়েক ফেল করে স্কুল ছুটের অনিবার্যতাকে রোধ করা কার্যত অসম্ভব।

    আপার প্রাইমারি ও হায়ার সেকেন্ডারির পড়ুয়াদের অবস্থা প্রাথমিক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের থেকে একটু আলাদা। তারা নিজে নিজে যেটুকু পড়ার চেষ্টা করছে স্বাভাবিকভাবেই সেটা যথেষ্ট নয়। মুর্শিদাবাদের এক প্রধান শিক্ষিকা প্রায়শই ছাত্রীদের ফোন পাচ্ছেন, ‘দিদিমণিস্কুল খুললে অঙ্ক ইংরেজিটা পড়ব। এখন ইতিহাসভূগোল পড়ছি।‘ দিদিমণির গলায় চিন্তা, ‘মা বাবা রোজগারের আশায় বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন। মেয়েগুলো বাড়ির কাজ সামলাচ্ছে। ছেলেরা কেউ কেউ সাইকেল নিয়ে সবজি বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েছে। এতে করে ছেলেমেয়ে গুলোর পড়াশোনা করারস্কুলে আসার অভ্যেসগুলো বন্ধ না হয়ে যায়।

    শুধু পড়াশোনা নয় স্কুল শৈশব রক্ষা করারও জায়গা

    গবেষকশিক্ষাবিদ কিংবা শিক্ষানুরাগীদের মধ্যে কেউ কেউ মনে স্কুল খোলার প্রশ্নেকরছেন মহামারীর মতো পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা 6 মাস স্কুলে না গেলে অশিক্ষিত হয়ে যাবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতেস্কুল খোলানা খোলা প্রসঙ্গে আমাদের মতভেদ থাকতে পারে। আলোচনা তর্ক-বিতর্ক চলতে পারে। কিন্তু স্কুল খোলার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে দ্বিমত থাকার কিংবা ‘কয়েকটা মাস স্কুলে না গেলে এমন কিছু বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না’ গোছের ভাবনার আগে ছাত্রছাত্রীদের কেন্দ্র করে দিদিমণির আশঙ্কার কথাটিও আমাদের মনে রাখতে হবে। আমাদের এও মনে রাখতে হবে যেস্কুলে না গেলে গ্রামে-গঞ্জেবস্তিতে ছড়িয়ে থাকা নিম্নবিত্তদরিদ্র পরিবারের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর অন্ধকার ভবিষ্যতের সম্ভাবনা আমরা হয়তো আটকাতে পারব না। দিদিমণির আশঙ্কাটিও একদিন সত্যি হবেযখন তার প্রিয় নাবালিকা ছাত্রীটি মায়ের পাশে বসে বিঁড়ি বাঁধতে বাঁধতেগৃহস্থালির কাজ সামলাতে সামলাতে হঠাৎ করে একদিন বিয়ের পিঁড়িতে বসবে। সবজি বিক্রেতা ছাত্রদের কেউ কেউ হয়তো স্কুলছুট হয়ে শিশু শ্রমিক বা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেবে।

    বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে যে কোনও সরকারের পক্ষে স্কুল খোলার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে দ্বিধা থাকতে পারে। সিদ্ধান্তের মধ্যে সরকারের রাজনৈতিক স্বার্থ ও শিশু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিও রয়েছেসম্পূর্ণ ভাবে যা উপেক্ষা করা সম্ভবও না।

    কিছু মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস স্কুলে যাওয়া মানেই সংক্রমণ। কিন্তু মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত পরিবারের বাচ্চাদের মতো শহর-গ্রাম নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ নিম্নবিত্ত গরিব পরিবারের বাচ্চারা এই মহামারীর সময়ে সত্যিই কি চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে আটকে আছেলক্ষ করলেই দেখাযাবে, গ্রামে-গঞ্জে কিংবা ছোট শহরের পাড়ায় পাড়ায় বাচ্চারা লকডাউনআনলকের ফাঁকা রাস্তায়পুকুর কিংবা খেলার মাঠে খেলাধূলা করছে। দিনমজুরকৃষি শ্রমিকসবজি বিক্রেতাপরিচারিকা ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত অভিভাবকদের সংখ্যাগরিষ্ঠই মাস্ক বা শারীরিক দূরত্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধিগুলো পালন না করেই কাজ করছেন। বাড়ি ফিরে তারা বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েদের সঙ্গেই থাকছেন। এছাড়াও শহর, গ্রাম-গঞ্জ নির্বিশেষে বহু পরিবার গাড়ি ভাড়া করে বাচ্চাদের নিয়ে ভিড়ের মধ্যে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে রাতভর ঠাকুর দেখলেন। কাজেই ছাত্রছাত্রীদের সংক্রমণ তো পরিবার থেকেও হতে পারে। স্কুল খোলার প্রসঙ্গে এমন গেল গেল রব তোলার আগে বিকল্প ব্যবস্থার কথা তো অনেক আগেই আমাদের ভাবার প্রয়োজন ছিল।

    অনলাইনে নোট বিতরণ ভাল হয়, শিক্ষা নয়

    অবশ্য, আমরা একেবারেই যে ভাবিনি তা নয়। বিকল্প ব্যবস্থা বলতে আমরা কেবল অনলাইন ক্লাসের কথাই ভেবেছি। অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকানেটওয়ার্কের সমস্যা ইত্যাদি কারণে হয়তো অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে যথাসম্ভব পঠনপাঠন চালিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও সরকারি নির্দেশ নেই। কাজেই অনলাইন ক্লাস মানেই কিছু স্কুলের নিজেদের পছন্দমতো ভিডিও কলফেসবুক লাইভ ইত্যাদির মাধ্যমে ক্লাস করার চেষ্টা। তবে, সংখ্যাগরিষ্ঠরাই নোট লিখেছবি তুলে পড়ুয়াদের হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপে দিয়ে দিচ্ছেন। ‘নোট’ অর্থাৎবাংলাইতিহাসবিজ্ঞানইত্যাদি পাঠ্যপুস্তকের নানা অধ্যায় নিজের ভাষায় লিখে সেটার ফটো তুলে পোস্ট করা।

    অনলাইনে পড়ানোর প্রসঙ্গ উঠতেই জনৈক মাস্টারমশাই অকপটে বললেন, ‘হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দিই। ছাত্রছাত্রীরা উত্তর লিখে পাঠায়।‘ পড়ানোর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বললেন, ‘ওরা বাড়িতে পড়ছে কিনা খোঁজ নিতে হয়ফোনে পড়াতে হলে অনেক টাকা রিচার্জ করতে হয়।‘ আবার যারা রিচার্জ করার জন্য টাকা খরচ করে ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে পড়াতে চাইছেনতাদের মধ্যে পরিচিত একজন বললেন, ‘অনলাইনে পড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছি শুনে প্রধান শিক্ষক কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না। সহকর্মীদের কেউ কেউ বলছেন, বাড়াবাড়ি কোরো না। তোমার বেশি উৎসাহতুমি এসব করবে আর উপর থেকে আমাদের উপর চাপ আসবে। অভিভাবকরাও বলবে শ্যামল মাস্টার পড়াচ্ছে তোমরা কেন পড়াবে না?’ অগত্যা শ্যামলবাবু পড়াচ্ছেন এই শর্তে যেকেউ জানতে চাইলে ছাত্রছাত্রীরা বলবেতারা পড়া বুঝে নিতে মাস্টারমশাইকে ফোন করেছে। রিচার্জ করতে টাকা খরচ করতে না চাওয়া কতজন পড়ুয়ার কাছে অ্যান্ড্রয়েড ফোন আছেসেসব সম্পর্কে ধারণা না থাকা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মাস্টারমশাইরা মিড ডে মিলের চাল নিতে আসা অভিভাবকদের হাত দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অভিভাবকরা পরবর্তী পর্যায়ের চাল নিতে যখন স্কুলে আসেন, তখন উত্তরপত্র জমা দেন। এসব ব্যবস্থার বেশিরভাগটাই মাধ্যমিকউচ্চমাধ্যমিক কিংবা বড়জোর আপার প্রাইমারির ছাত্রছাত্রীদের জন্য।

    আর প্রাথমিকের পড়ুয়াদের জন্য কী ব্যবস্থাক্লাসরুমে ক্লাস চলাকালীন কচিকাঁচারা প্রায়শই মাস্টারমশাই যাই পড়ান না কেন হয় খাতায় আঁকিবুঁকি কাটেনা হয় বই দেখে দেখে খাতায় টোকে। ক্লাসরুমেই বাচ্চাদের সঙ্গে কমিউনিকেট করার কাজ যে কঠিন, সেই অভিজ্ঞতা থেকেই কি অনলাইন পদ্ধতিতে প্রাইমারি স্তরের ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর কথা ভাবা হল না? এটা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা পর্যন্ত করা হল নাযার ফলে বিশাল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী গত কয়েকমাস জুড়ে পঠন পাঠনের বাইরে থেকে গেছে।

    শিশু স্বাস্থ্যে স্কুলের ভূমিকা সম্পূর্ণ উপেক্ষিত রয়ে যাচ্ছে

    স্কুল খোলার উচিত-অনুচিতের বিতর্কে অনলাইন ক্লাসের চর্চায় কিন্তু শিশু স্বাস্থ্যের বিষয়টিতেও আমরা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছি না। এ প্রসঙ্গে অনেকেই বলছেন, ‘মিড ডে মিলের চালডাল সবই তো দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চা স্কুলে বসে খেতএখন না হয় বাড়িতে বসে খাচ্ছে। আপনি এতেও অপুষ্টির ভূত দেখছেন?’ ভূত তো আর এমনি এমনি দেখছি না! বিনতি দিদি বললেন, ‘সরকার থেকে রেশন দিচ্ছেতাছাড়া ছেলেমেয়েরা ইস্কুল থেকে চালডাল পেয়েছে। বাবার কাজ ছিল না। লক ডাউনে ওই দিয়েই তো এতগুলো পেট চলল। পুষ্টি ভাগ হয়ে যাচ্ছে শুনেও ভূত দেখব না বলছেন?

    ইস্কুলে থাকতে দুপুরে গরম ভাত পেত। এখন মা পান্তা রেখে কাজে যায়। সাগির-চন্দনাদের কথা শুনেছেন?’ শিশুর রক্তাল্পতা ও অপুষ্টি রোধে গত কয়েক মাস ধরে একটি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়ে সমাজে সর্বত্র আলোচনা চলছে। শিশুর রক্তাল্পতা ও অপুষ্টি রোধে মিড ডে মিলে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এতকাল ধরে শিশুর রক্তাল্পতা ও অপুষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সমস্যা আরও গভীর থেকে গভীরতর হয়ে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এ কথা আমরা কি ভেবে দেখেছিএখন না হয় কেবল একটি মাত্র ভাইরাসের কারণে শিশু মৃত্যু আটকাতে চাইছি। কিন্তু ভবিষ্যতে আমরা এর থেকে কয়েক গুণ বেশি কারণে শিশুর মৃত্যুমিছিল রোধ করতে পারব তো?

    ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্যশিক্ষাজীবনজীবিকা সুরক্ষার লক্ষ্যে তুলনামূলক কম সংক্রমিত এলাকায় অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পঠনপাঠন শুরুযেসব ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি, সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ভাগ করে ক্লাস করানোপ্রাথমিকের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে একদিন অন্তর বিদ্যালয়ে উপস্থিতির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ কি একেবারেই অসম্ভব ছিলসেক্ষেত্রে প্রতিদিন প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিসিলেবাস শেষ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো 100 শতাংশ সম্ভব নাও হতে পারে। তবে, শিক্ষকশিক্ষিকাদের কড়া নজরদারিতে এবং অভিভাবকরা চাইলে মিড ডে মিলের আয়োজনছাত্রছাত্রীদের জরুরি স্বাস্থ্যবিধি পালনে (স্কুলে এসে হাত পা সাবান দিয়ে ধোয়াখাওয়ার আগে হাত সাবান দিয়ে ধোয়ামুখে হাত না দেওয়া ইত্যাদি) অভ্যস্ত করে তোলার চেষ্টাও তো করা যেতে পারত।

    কোটি কোটি সরকারি অর্থব্যয়ে হাজার হাজার শিক্ষাকর্মীর অক্লান্ত পরিশ্রমে বিদ্যালয়ে 100 শতাংশ এনরোলমেন্টে আমরা সফল হয়েছিতাকে আমরা এইভাবে নষ্ট করে ফেলবসর্বাগ্রে আমাদের ঠিক করতে হবে কোভিড সংক্রমণ নাকি একাধারে অপুষ্টিস্কুলছুটবাল্যবিবাহশিশু শ্রমিক কিংবা অশিক্ষা কোন বিষয়টিকে আমরা অগ্রাধিকার দেবএই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই অগ্রাধিকারগুলি স্থির করতে না পারলে ডজন খানেকের বেশি সরকারি প্রকল্পের সাহায্যে আশু বিপর্যয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিনা, সে প্রশ্নের মুখোমুখি আমাদের দাঁড়াতেই হবে।


    শিশুর বিকাশের জন্য বিধি মেনে খোলা হোক প্রাইমারি স্কুল -4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested