জনমুখী রাজনীতি জনপ্রিয়তাবাদী হতে হতে কি পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে পর্যবসিত? তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির ইশতেহারে যেন মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার প্রতিযোগিতা। এটাই কি মানুষের মঙ্গল কল্যাণের পথ? এই বিষয়ে গত 9এপ্রিল (শুক্রবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শিখা মুখার্জি এবং সমাজবিজ্ঞানী রণবীর সমাদ্দার।
1. জনবাদী রাজনীতি করে যে দলগুলি তারা স্থানীয় ক্লাবের মতো সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নীচু স্তরে সংগঠন ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। ক্লাবগুলিকে কিছু টাকাপয়সা দেওয়া হয়। ক্লাবগুলি গণসংগঠনের অভাব পুষিয়ে দেয়।
2. জনবাদী রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদে কোনও লাভ নেই, এটা ভুল কথা। কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প যেমন নারীদের স্বনির্ভর করেছে, তেমনই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বাড়ির মহিলারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেকটা অধিকার পেয়েছেন। এটাও কিন্তু খুব বড় একটা পরিবর্তন।
3. উদারনৈতিক অর্থনীতি খালি বলে রাজকোষ ঘাটতি হচ্ছে। কিন্তু অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জির মতো অর্থনীতিবিদরা বারবার বলছেন, রাজকোষ ঘাটতির ভয় না পেয়ে সাধারণ মানুষের হাতে আরও বেশি করে অর্থ তুলে দিতে হবে।
4. জনবাদী রাজনীতি কিন্তু মতাদর্শের রাজনীতিকেও সচল রাখছে। জেরেমি করবিন থেকে পিনারাই বিজয়ন— বামপন্থাকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও জনবাদী রাজনীতির জুড়ি মেলা ভার।
5. বিজেপি কোনও জনবাদী দল নয়। তারা ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে মানুষকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করছে এবং বিশেষ কিছু কিছু অংশকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। উল্টোদিকে তৃণমূল সরকার কিন্তু জাতিধর্ম নির্বিশেষে সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দিচ্ছে সবার কাছে। এই দু'টি ধারার মধ্যে মূলগত ফারাক আছে। এবারের বাংলার নির্বাচন এই দু'টি ধারার মধ্যেই।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই আদি নব্য বিরোধ তুঙ্গে।
বাংলা ও বাঙালির বৌদ্ধিক চর্চার অন্যতম কেন্দ্র কলেজ স্ট্রিট কফি হাউসেও গেরুয়া বাহিনীর হামলা।
ভারতীয় গণতন্ত্রেও চলছে নিউ নর্মাল ব্যবস্থা।
এই প্রথম একটা রূপালী রেখা দেখা যাচ্ছে।
লকডাউনের উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিল প্রবাসী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা।
আমেরিকার টেলিভিশন যে সাহস দেখাতে পারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কেন তা পারে না?