ভোট পর্বের মাঝেই প্রচারে এসে দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের অফিসারদের প্রশাসনিক নির্দেশ দিচ্ছেন। সাংবিধানিক বিধি ভঙ্গের অভিযোগে নীরব নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী কি তবে আইনের ঊর্ধ্বে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য কার্যত তিরস্কৃত ভোটের দিন তাঁর আচরণের জন্য। এই বিষয়ে www.4thpillars.com গত 5 এপ্রিল (সোমবার) একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক দেবাশীষ আইচ, গৌতম লাহিড়ী এবং আইনজীবী অরুণাংশু চক্রবর্তী।
1. প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের যেভাবে পিএম কিসান যোজনা প্রকল্প চালুর জন্য ফাইল প্রস্তুত করতে বলছেন, তা নজিরবিহীন। বোঝাই যাচ্ছে, তিনি দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আছে, তারপরেও তিনি কীভাবে রাজ্যের আধিকারিকদের নির্দেশ দিতে পারেন?
2. প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কোনও আইনগত মূল্য নেই। এমন নয় যে তাঁর এই নির্দেশের পরই সব আধিকারিকরা তাঁর কথা মতো চলবেন। আধিকারিকরা সাংবিধানিক বিধিব্যবস্থাকে মেনে চলতে বাধ্য। সুতরাং, তাঁরা কেউই প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনবেন না। এটা প্রধানমন্ত্রীও জানেন
3. আইনগত মূল্য না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণে একটা নীতিগত এবং রাজনৈতিক প্রশ্ন উঠছে। প্রথমত, দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রধান হয়ে নৈতিকভাবে কি তিনি এমন কাজ করতে পারেন? দ্বিতীয়ত, বাকি ৬ দফা ভোটের আগে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে, কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতেই কি তিনি এমন মন্তব্য করলেন।
4. বিভিন্ন সূত্র থেকে যে খবর আসছে, তাতে মনে হচ্ছে বিজেপি প্রথম দুই দফার নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি৷ তাই ঘনঘন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজ্যে এসে ভোট প্রচার করতে হচ্ছে৷ 'আমরাই আসছি', এমন একটা ধারণা তৈরি করতে হচ্ছে।
5. কমিশন বহুক্ষেত্রেই একপাক্ষিক আচরণ করছে। প্রধানমন্ত্রী এর আগেও বহুবার নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন। কিন্তু কমিশন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। আসামের বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের দায়ে দু'দিনের জন্য প্রচারে নিষিদ্ধ করা হলেও, তা কমিয়ে একদিন করা হল।
6. ইভিএমে কারচুপি করে ভোটের ফলাফল ঠিক করা গেলে কোনও রাজ্যেই বিজেপি পরাজিত হত না। তাছাড়া ভোট নেওয়ার আগে মক পোলিং করে সব দেখিয়ে নেওয়া হয়। তবে, যে অঞ্চলে যে দল শক্তিশালী, সেই দল ভোটে কারচুপি করার চেষ্টা করে। এটা আগে ব্যালটেও হত, এখন ইভিএমেও হচ্ছে।
7. যতক্ষণ একটি নির্বাচিত সরকার রাজ্যে আছে, ততক্ষণ প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে নাক গলাতে পারেন না। ফলে এটি একটি অত্যন্ত অসাংবিধানিক কাজ, তিনি আইনভঙ্গ করেছেন আধিকারিকদের এভাবে প্রশাসনিক ভাবে নির্দেশ দিয়ে।
8. নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেবে কিনা জানা নেই, কিন্তু তিনি ভোটারদের এক্সিট পোলের মতো যেন জানিয়ে দিলেন ভোট শেষ, আমরাই ক্ষমতায় আসছি।
ষষ্ঠ পর্বে গায়ক ঋষি চক্রবর্তী-র মুখে তাঁর ঘরবন্দি জীবনের কথা।
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আলোচনায় শিক্ষাবিদ পার্থ প্রতিম রায় এবং JBNSTS-এর অধিকর্ত্রী, অধ্যাপিকা মৈত্রী
ধর্ষণের অপরাধ কি বিয়েতে মকুব হয়ে যায়?
বাঙালিকে বাধ্য করা হচ্ছে হিন্দি বলতে।
বিজ্ঞানীদের মতে লকডাউন আসল যুদ্ধের সময় বার করার কৌশল মাত্র।
আমরা যেন এই মহামারীর সময়ে ঘটা গুজরাতের ভেন্টিলেটর কেলেঙ্কারির কথা না ভুলে যাই।