×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • ইউক্রেনে ইতিহাসের বিচিত্র পরিহাস

    রজত রায় | 09-03-2022

    প্রতীকী ছবি।

    ইতিহাস প্রায়শই কৌশল করে এমন একটি অবস্থায় ফেলে দেয় যেখানে আমরা পরস্পরবিরোধী অবস্থানের মুখোমুখি হই। বর্তমানে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় পুতিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়ান (রাশিয়ার সরকার) সরকার যে অজুহাত পেশ করেছে, তা আমাদের ঐতিহাসিক বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে প্রলুব্ধ করেছিল করছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান শুরু করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়ে দেন যে, এটা একটা ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ এবং  সেই সঙ্গে এটাও দাবি করেন যে, রাশিয়ার লক্ষ্য ‘ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ এবং সেই দেশকে নাৎসিদের হাত থেকে মুক্ত  করা’। পুতিনের অভিযোগের তীর সরাসরি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সহ তাঁর সরকারের দিকে। পুতিনের দাবি এঁরা নাৎসি চক্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

     

    বাস্তব পরিস্থিতি অবশ্য অন্য সে কথা বলছে না। জেলেনস্কি নিজে একজন ইহুদি এবং তার পরিবারের কিছু সদস্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসিদের গণহত্যায় মারা গিয়েছিলেন (যার উদ্দেশ্য ছিল, বিশেষ করে ইহুদিদের নির্মূল করা) এবং জেলেনস্কির দাদুসহ পরিবারের কিছু সদস্য সোভিয়েত ইউনিয়নের রেড আর্মিতে যোগ দিয়ে নাৎসিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।

     

    রাশিয়ার পরে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হল ইউক্রেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এখানে বিপুল সংখ্যক ইহুদির বসবাস ছিল। 1941 সালে, ইউক্রেনের সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রে প্রায় 15 লাখ ইহুদি বাস করত। তখন এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইহুদি জনগোষ্ঠী ছিল এবং ইউরোপের মধ্যে ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম। তখন সব থেকে বেশি ইহুদি ছিল পোল্যান্ডে, 30 লাখ। 1939 এবং 1941 সালের মধ্যে, যখন স্তালিন পোল্যান্ডের অর্ধেক, বাইলোরুসিয়া (বর্তমানে বেলারুশ), তিনটি বাল্টিক দেশ লাটভিয়া, এস্তোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়া পুরোটাই দখল করে, তখন ইউক্রেনে ইহুদি জনসংখ্যা বেড়ে 24 লাখ 50 হাজারে পৌঁছে যায় (National WW2 Museum, New Orleans)

     

    প্রাথমিক হিসাবে অনুযায়ী, ইউক্রেনের জার্মান অধিকৃত থাকার সময়কালে (1941-1944) নাৎসিদের দ্বারা 900,000 এরও বেশি ইহুদি নিহত হয়েছিল (Raul Hilberg, The Destruction of the European Jews, Yale University Press, 2006)অন্য অনেকর মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউক্রেনে আরও বেশি ইহুদি প্রাণ দিয়েছে। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিয়া উল্লেখ করছে যে, যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রায় 50 থেকে 60 লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল, কারণ 1947 সালে ইউক্রেনের আনুমানিক জনসংখ্যা 3 কোটি 60 লাখ ছিল, যুদ্ধের আগের তুলনায় প্রায় 50 লাখ কম। এছাড়াও, এটি মনে রাখতে হবে যে প্রায় 22 লাখ ইউক্রেনীয়কে বন্দী শ্রমিক হিসাবে জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল। অন্যদিকে, নাৎসিদের বিরুদ্ধে রেড আর্মির হয়ে লড়াই করার সময় অনেক ইউক্রেনীয় মারা গিয়েছিল। এখন ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যা 4 কোটি 30 লাখের মধ্যে, কিন্তু ইহুদিদের সংখ্যা কমতে কমতে মাত্র 140,000 জনে ঠেকেছে। কারণ, বেশিরভাগ ইহুদিই ইজরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছে (World Jewish Congress)

     

      আরও পড়ুন: হিটলার ও পুতিনকে মিলিয়ে দিল ইউক্রেনের বাবি ইয়ার

     

    এখন যুদ্ধ শুরু করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের চেষ্টায় রাশিয়ান সেনাবাহিনী যে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ করে চলেছে, তাতে নাৎসিদের হাতে নিহত ইহুদিদের জন্য স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণও ক্ষতিগ্রস্ত। কিয়েভ শহরের উত্তর প্রান্তের ডাঙ্গাজমি বাবি ইয়ারে 1941 সালের 29-30 সেপ্টেম্বর, এই দুদিনে নাৎসিরা প্রায় 34,000 ইহুদিকে হত্যা করেছিল। 1941 সালের সেপ্টম্বরের 18 তারিখ জার্মান সেনাবাহিনী কিয়েভ দখল করার পর থেকে 1943 সালের সেপ্টেম্বরে পশ্চাদপসরণ শুরু করার আগে পর্যন্ত সেখানে নাৎসি দখলের পুরো সময়টা ধরে প্রায় 100,000 লোককে হত্যা করা হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ইহুদি ছিল (ব্রিটানিকা)। এটি হলোকাস্ট প্রোগ্রামের সঙ্গে প্রথম পরীক্ষা বলে মনে করা হয় (কারণ, এটা শুরু হয় গ্যাস চেম্বার তৈরি হওয়ার অনেক আগে)। তবুও 1945 সালের পর সোভিয়েত নেতারা সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে সেই ট্র্যাজেডির স্মৃতি সংরক্ষণে কোনও আগ্রহ দেখাননি। 1961 সালে সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ বাবি ইয়ারে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়, যার প্রতিবাদে কবি ইয়েভজেনি ইয়েভতুশেঙ্কো ‘বাবি ইয়ার’ শীর্ষক কবিতা লেখেন এবং পরবর্তীকালে বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক দিমিত্রি শোস্তাকোভিচ তার 13 তম সিম্ফনির কোরালের অংশে এই কবিতাটিকে গান হিসেবে ব্যবহার করেন (এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা)। যদিও, 1974 সালে, সেখানে 50 ফুট উঁচু একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়, কিন্তু ইহুদিদের পরিচয় উপেক্ষিতই থাকে। 1991 সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরে ইউক্রেন স্বাধীন হয় এবং তারপরেই স্মারকটিতে গণহত্যার শিকার (অধিকাংশ ইহুদিদের) হয়েছিল যারা তাদের পরিচয় দিয়ে সঠিকভাবে খোদাই করা হয়েছিল।

     

    পুতিনই প্রথম রাশিয়ান নেতা নন যিনি রাশিয়া এবং রাশিয়ার প্রভাবশালী এলাকায় ইহুদিদের দুর্দশা উপেক্ষা করেছেন। রাশিয়ার ইহুদি-বিদ্বেষের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা জারের আমল থেকে স্তালিনের শাসনের সময় সোভিয়েত যুগ হয়ে বর্তমান দিন পর্যন্ত বিস্তৃত। ‘পোগ্রম’ (pogrom) শব্দের উৎপত্তিই রাশিয়ান ভাষায থেকে। এছাড়াও, রুশ সাহিত্য পোগ্রম এবং ইহুদি বিদ্বেষী পর্বের বর্ণনার উল্লেখে পরিপূর্ণ (যেমন, গোগোলের তারাস বুলবা)। সোভিয়েত যুগেও, এটি বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হয়েছিল (যেমন, নিকোলাই অস্ট্রোভোস্কির ইস্পাত বা How the Steel was Tempered)1980-এর দশকে গ্লাসনস্তের সময়কালে রাশিয়ান সমাজে সুপ্ত ইহুদি-বিদ্বেষ প্রকাশ্যে এসেছিল। ইজরায়েলের জন্ম হওয়ার পর রুশদের শত্রুতা এবং বৈষম্য থেকে বাঁচতে বহু সংখ্যক ইহুদি ইজরায়েল এবং পশ্চিমে চলে যায়।

     

    পরিহাসের কথা এটাই যে, পুতিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়া ইউক্রেনের একজন ইহুদি নেতাকেই নাৎসি বলে দাগিয়ে দিচ্ছে। অথচ আন্তর্জাতিক ইহুদি প্রতিষ্ঠান সাফ ঘোষণা করছে, ‘জেলেনস্কি মোটেই নাৎসি নন, তাঁর সরকারে কোনও নাৎসিও নেই।’ (Jewishunpacked.com) অন্যদিকে, জেলেনস্কিও পাল্টা অভিযোগ করে  24 ফেব্রুয়ারি, 2022-এ টুইট করেছেন যে, ‘রাশিয়া বিশ্বাসঘাতকতা করে আমাদের দেশ সকালে আক্রমণ করেছে, যেমনটি নাৎসি জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বছরে করেছিল।’ পুতিন কিন্তু আবারও অভিযোগ করে বলছেন যে, রুশ এবং ইউক্রেনীয়রা একই গোষ্ঠীর মানুষ, তবে নব্য-নাৎসিদের প্রচারে প্রভাবিত হয়ে সে দেশের কিছু মানুষ আমাদের বিরুদ্ধে গিয়ে থাকতে পারে।

     

    লক্ষ্যণীয়, দুই পক্ষই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হিটলারের নাৎসি শাসনের স্মৃতিকে উস্কে দিচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ উভয় দেশের সাধারণ মানুষের মনেই এখনও সেই সময়ের খুব তিক্ত স্মৃতি রয়েছে। রুশ বাহিনীর দ্বারা অবরুদ্ধ মারিউপোল শহরের ডেপুটি মেয়র তাদের পরিস্থিতিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লেনিনগ্রাদের (বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ) অবরোধের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ইউক্রেনীয় সাধারণ নাগরিকরা এখন রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে স্বাগত জানাতে মলোটভ ককটেল প্রস্তুত করছে, যাকে হাতে বানানো পেট্রোল বোমাও বলা হয়ে থাকে। 1939 সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন ফিনল্যাণ্ড আক্রমণ করে, তখন তৎকালীন সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মলোটভকে উপহাস করার জন্যই ফিনল্যাণ্ডের সাধারণ মানুষ এই বোমার নাম মলোটভ ককটেল দিয়েছিল।

     

    আমরা এখন আবার আর একটি বিড়ম্বনার সম্মুখীন হয়েছি। 1945 সাল থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার ভূমিকার জন্য অপরাধবোধে ভারাক্রান্ত জার্মানি তার সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিল। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর, নতুন ঠাণ্ডাযুদ্ধের আবহে জার্মানি তার সেনাবাহিনী শক্তিশালী করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার জেরে একটি নতুন অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্ম হতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, জার্মানি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।

     

    যুদ্ধ এবং যুদ্ধ সম্পর্কিত প্রচার প্রায়ই ঘটনাগুলিকে দমন করে এবং অপরাধীদের প্রয়োজন অনুসারে একটি নতুন আখ্যান তৈরি করে। কিন্তু এটা অনেকটা শাঁখের করাতের মতো। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (দ্য হেগ-এ অবস্থিত) বা আইসিসি ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ খুঁজে তদন্ত শুরু করেছে, যেখানে বেসামরিক নাগরিকরা নির্বিচারে গোলাগুলির শিকার হয়েছে। বিখ্যাত আমেরিকান দার্শনিক মাইকেল ওয়ালজার তার Just and Unjust Wars (1977) বইয়ে দাবি করেন যে, শত্রুপক্ষের সৈন্যদের শনাক্তকরণের অভাব একটি সরকারকে নির্বিচারে হত্যা করার অধিকার দেয় না- যোদ্ধাদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব সরকারের উপর বর্তায়। এবং তাই, যদি কোথাও কোনও অনিশ্চয়তা জড়িত থাকে তবে আক্রমণ করা উচিত নয়। এই যুক্তিতে যুদ্ধাপরাধের বিষয়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ডেভিড শেফার দাবি করছেন যে, আইসিসি-র উচিত সমস্ত অভিযোগ সংগ্রহ করে তদন্ত করা এবং এমনকি টেলিভিশন ফুটেজও বিবেচনা করা যেতে পারে এক্ষেত্রে। তাঁর দাবি, রুশরা ক্লাস্টার বোমা এবং ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করছে, যা এক্ষেত্রে গুরুতর বিষয় হয়ে উঠতে পারে। (3 মার্চ সন্ধ্যায় বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার)। আজ অবধি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির রোম সংবিধিতে (Statute) স্বাক্ষরকারী নয়। রাশিয়া, ইউক্রেন, চিন এমনকি ভারত-ও তাই। একের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট মার্কিন কংগ্রেসে সংবিধিটি অনুমোদনের তীব্র বিরোধিতা করে চলেছেন। এটা ঠিক যে রুশ হামলায় ইউক্রেনের আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল ইত্যাদির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধের সমযে, ইরাক যুদ্ধে এবং আফগানিস্তানে মার্কিনিদের আক্রমণে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা স্পষ্টতই অনেক বেশি মাত্রায় ছিল এবং টেলিভিশন রিপোর্টিং দেখিয়েছিল যে, কী ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমান থেকে বোমাবর্ষণ সেতু, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা ইত্যাদিকে ধ্বংস করেছে এবং নাগরিক জীবনকে পঙ্গু করেছে, যা আইসিসি এবং ন্যায় যুদ্ধের সংজ্ঞা অনুসারে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগকে সমর্থন করে। তবু সেই মামলাগুলোকে আইসিসিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও হইচই তখন শোনা যায়নি। বরং মার্কিন প্রশাসন আত্মপক্ষ সমর্থন করতে সাধরণ মানুষের প্রাণহানির বিষয়টিকে আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি (colateral damage) আখ্যা দিয়েছিল। এখন পুতিন পরোক্ষভাবে ইউক্রেন সরকারের উপর দায় চাপিয়ে রুশ সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তারা বেসামরিক নাগরিকদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। দু'টি উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় আমরা মার্কিন সেনাবাহিনীর কাছ থেকে শুনতে পেতাম যে, তারা এমন সব অত্যানুধিক অস্ত্র ব্যবহার করছে যে ক্ষেপনাস্ত্র বা বোমা নির্ভুলভাবে শুধুই শত্রুপক্ষের সামরিক লক্ষ্যবস্তুর উপর হামলা করছে, তাই বেসামরিক লোকদের টার্গেট করার প্রশ্নই উঠতে পারে না। এখন রুশীরাও একই লাইন আওড়াচ্ছে এবং দাবি করছে যে তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করছে এবং শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল বোমাবর্ষণ করছে।

     

    ইউক্রেনের নাগরিক সুবিধাগুলিতে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য কোনও অজুহাত থাকতে পারে না, এটার জন্য তাদের অবশ্যই নিন্দা করা উচিত এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য আইসিসি-তে বিচার করা উচিত। তবে, দু’টো দেশের জন্য দু’রকম মাপকাঠি থাকতে পারে না। এক্ষেত্রে পশ্চিমের ভণ্ডামি স্পষ্ট।

     


    রজত রায় - এর অন্যান্য লেখা


    সল্টলেক, লেকটাউন প্রভৃতি উচ্চ ও মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত এলাকা বৃদ্ধাশ্রমে পরিণত। ছেলে মেয়েরা বিদেশে

    বলশেভিক বিপ্লবের পর ধর্মের পীড়নের ইতিহাসের চাকা ঘুরে গিয়ে এখন ধর্মকে ব্যবহার করেই রুশজাতীয়তাবাদউস্ক

    রবীন্দ্রনাথের লেখা গানে সত্যের জয়গান গুরুত্বপূর্ন স্থান অধিকার করে রয়েছে।

    ইতিহাসের পুরনো ক্ষত বাঙালি ভদ্রলোকদের বিজেপি-প্রেমী করে তুলেছে।

    CAA-এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন আর পাঁচটা রাজনৈতিক আন্দোলনের মত নয়। এই লড়াই সংবিধান বাঁচানোর লড়াই

    চারপাশের অন্ধকার যখন আমাদের ঘিরে ধরছে, তখন একবার ফিরে দেখা যুক্তিবাদী চর্চার ইতিহাসকে।

    ইউক্রেনে ইতিহাসের বিচিত্র পরিহাস-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested