প্রশ্ন করলে গলা ফাটিয়ে চ্যাঁচানো আর দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হেরোদের লক্ষণ। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্লেনের সহযাত্রীর প্রশ্নের উত্তরে স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) ঠিক তাই করলেন। প্রমাণ করলেন, তিনি একজন ‘লুজার’।
নয়া দিল্লি থেকে গুয়াহাটিগামী বিমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির সহযাত্রী ছিলেন মহিলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি নেত্তা ডিসুজা। সমাজ মাধ্যমের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ডিসুজার একটাই প্রশ্ন, যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়ছে, তাতে অসমের মানুষ কী করে বিহু উদযাপন করবে? প্রশ্নটার উত্তর না দিয়ে স্মৃতি ইরানি আবোল-তাবোল বলেছেন। একবার বলছেন ডিসুজা তাঁকে ঠেসে ধরছেন, একবার বলছেন ডিসুজা মিথ্যা কথা বলছেন। আবার কখনও অসংলগ্ন ভাবে বলছেন, পেট্রোল ডিজেলের বাড়তি দামে পয়সায় মানুষের জন্য কোভিড ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর কোনও উত্তরটাই ধোপে টেকে না।
বিজেপি অবশ্য সাধারণত এটাই করে থেকে। প্রশ্ন করলেই বিরোধীদের দাগিয়ে দেওয়া হয় অ্যান্টি-ন্যাশনাল বা সন্ত্রাসবাদী বা টুকরে টুকরে গ্যাং-এর সদস্য বলে।
প্লেনে ইরানির সঙ্গে ডিসুজার মোলাকাত থেকে একটা প্রশ্ন উঠে আসে, মোদী সরকার তথা শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের কাছে দায়বদ্ধ কি না? উত্তরটা হল অবশ্যই দায়বদ্ধ। প্রশ্ন করলে তাঁকে চেঁচিয়ে চুপ করিয়ে দেওয়া মানে এক ধরনের আধিপত্যবাদ।
মোদী সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে অবশ্যই স্মৃতি ইরানির সরকারের কাজ কর্মের জন্য মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। প্রশ্নের উত্তর তাঁকে দিতেই হবে। যদিও এমন কী, সংসদে মোদী সরকার কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয় না। নরেন্দ্র মোদী কখনও সাংবাদিক সম্মেলন করেন না। তিনি শুধু বেছে বেছে কয়েকজন সাংবাদিককে ইন্টারভিউ দিয়েছেন, যাঁরা সরকারের পছন্দ মতো প্রশ্নগুলোই করে, ডিসুজার মতো অস্বস্তিকর প্রশ্ন করে না।
নিছক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে, মোদীর আমলে বিনা বিতর্কে এমন সব বিষয়ে আইন পাশ হয়েছে, যা নিয়ে চুলচেরা চর্চা হওয়া উচিত ছিল। সম্প্রতি বহু আলোচিত Criminal Procedure (Identification) bill বা অপরাধী চিহ্নিত করতে বায়োমেট্রিক তথ্য সংক্রান্ত বিল সংশোধীয় কমিটির কাছে পাঠাতে রাজিই হয়নি মোদী সরকার। স্ক্রুটিনি বা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই এড়িয়ে যাওযার একই ঘটনা ঘটেছে আগে অন্যান্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইনের ক্ষেত্রেও। এই প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া এবং দায়বদ্ধতা অস্বীকার করা সমস্ত স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের লক্ষণ। সংসদীয় গণতন্ত্রে আইনসভার কাজই হচ্ছে, সরকারকে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য করা এবং তার কাজ কর্মের জন্য দায়বদ্ধ রাখা। এই জন্যই সুইডেনের V-DEM ইনস্টিটিউটের মতো বিভিন্ন সংস্থা ভারতকে আজ নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্র বলে বর্ণনা করছে।
পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের অপরাধের জন্য অঙ্কিতা অধিকারীকে দায়ী সাব্যস্ত করা বিস্ময়কর
গণধর্ষণ ও নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তরাও পরিবার আর সহযোগীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সমর্থন পাচ্ছে আজকের বাং
বিচিত্র বেশভূষায় স্টেজে উঠে অকিঞ্চিৎকর প্রকল্পের উদ্বোধন করে নিজেকে হাস্যকর করে তুলছেন প্রধানমন্ত্রী
গরিব হিন্দুরা গৃহহীন হলেও বিজেপির কিছুই যায় আসে না, যদি মন্দির ভাঙা নিয়ে রাজনীতির ফায়দা ওঠানো যায়।
জাতীয় স্তরে বিজেপিই সিপিএমের প্রধান প্রতিপক্ষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস শাসনের বাস্তবতায় রাজ্য
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো একে অন্যের বিরোধিতা করতেই ব্যস্ত রাজ্যের স্বার্থ অবহেলা করে