×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • তপস্বিনী আদি ভারতমাতা তেজস্বিনী রণরঙ্গিনী নন

    বিতান ঘোষ | 13-08-2021

    ভারতমাতা- কাল কালান্তরে

    তাঁর ভাবনার তপস্বিনী ভারতমাতা রাজনীতির দশচক্রে এখন তেজস্বিনী। সিংহবাহিনী রণরঙ্গিনী রূপে সেই ভারতমাতা কখনও চিত্রিত হন নির্বাচনী পোস্টারে পর্যন্ত। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদি ভারতমাতা কীভাবে এতখানি বিবর্তিত হলেন?

     

     

    অবনীন্দ্রনাথের যে শিল্পকীর্তি সর্বসাধারণের কাছে সবচেয়ে পরিচিত, তা হল ওই তেলরঙে আঁকা ভারতমাতা। কেউ কেউ সখেদে বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের একজন রোটেনস্টাইন ছিলেন, যিনি তাঁর গীতাঞ্জলিকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অবন ঠাকুরের এমন কেউ ছিলেন না, যিনি তাঁর ক্ষীরের পুতুল বা রাজকাহিনীকে ওয়াল্ট ডিজনির কাছে পৌঁছে দিতে পারতেন।' ঘরকুনো প্রকৃতির, প্রচারবিমুখ অবনীন্দ্রনাথ মানুষটি রত্নখচিত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মানো আর রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতুষ্পুত্র হওয়ার জন্যই বোধহয় প্রিয় ‘রবিকা’র দীর্ঘ ছায়াতেই প্রায় ঢাকা পড়ে রইলেনতাঁর জীবৎকালে নালক বা রাজকাহিনীর মতো সাহিত্যসৃষ্টির সমাদর হল না। তেমনই ভারতবর্ষের শিল্পকলাকে আধুনিকতার আস্বাদ এনে দেওয়া অবনীন্দ্রনাথ খানিক প্রহেলিকা হয়েই রয়ে গেলেনসাধারণের চোখে ভারতমাতা আর অবনীন্দ্রনাথ যেন সমার্থক। তাঁর এই এক তৈলচিত্রের রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভাব এতই সুদূরপ্রসারী ছিল যে, তা ভারতবর্ষ তথা উপমহাদেশের রাজনৈতিক গতিপথকে প্রায় বদলে দিয়েছিল। অবনীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবর্ষে তাঁর বিখ্যাত ভারতমাতার উপরে আরও নিবিড়ভাবে নজর পড়ে বর্তমান রাজনীতির স্বার্থের প্রয়োজনে যে বিবর্তিত ভারতমাতার উদ্ভব হয়েছে তার প্রতিতুলনায়।

     

     

    দেশকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করার প্রবণতা প্রথম লক্ষ্য করা গিয়েছিল একদা শাক্তভূমি বাংলাতেই। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় 1875 সালে ‘বন্দেমাতরম’ রচনা করলেন। তারপর 1882 সালে এই গান ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে ব্যবহার করলেন সাহিত্যসম্রাট। খুব ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এই উপন্যাসে মাতৃশক্তির আরাধনার সঙ্গে স্বদেশের মুক্তিকে প্রায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুক্তিটা দেবে কে, ঔপনিবেশিক শাসক ইংরেজ, নাকি দিল্লির ইসলাম ধর্মাবলম্বী শাসক? উত্তর স্পষ্ট নয়। তবে উপন্যাসের ভবানন্দ, জীবানন্দদের মুখ দিয়ে যেন বঙ্কিম বলাতে চাইছেন, এই লড়াই হিন্দু পুনরুত্থানবাদের লড়াই। এই লড়াইয়ের একমেবাদ্বিতীয়ম ‘শত্রু’ মুসলিমরা।

     

     

    হিন্দু পুনরুত্থানবাদ তখন বাংলায় ডালপালা মেলছে। তবু, কিছু মানুষের ওজর আপত্তি বাদ দিলে, জাতিধর্ম নির্বিশেষে ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনিই হল দেশের বিপ্লব-মন্ত্র। কংগ্রেসের অন্দরে চরমপন্থী ধারার বেশ কয়েকজন তখন এক কাল্পনিক দেশমাতৃকার মুক্তিসাধনে নিবেদিত। অরবিন্দ ঘোষ তাঁদেরই অন্যতম। তাঁর চোখে ভারতমাতার ধারণা অনেক বেশি বিস্তৃত— কী রাজনৈতিক ভাবে, কী সামাজিক ভাবে। 1905 সালে কেএম. মুনশিকে অরবিন্দ জানাচ্ছেন, ‘বৃহত্তর ভারতবর্ষের যে মানচিত্র, তার মধ্যেই ভারতমাতা বিধৃত হয়ে আছেন।' তিনি যেন তাঁর মানসচক্ষে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন, নদ, নদী পাহাড়ের মধ্যে মাতার বাহু, চোখ। সেই বছরই স্ত্রী মৃণালিনী দেবীকে চিঠি লিখে অরবিন্দ বলছেন, ‘আমি আমার দেশকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করি।' তারপর তাঁর প্রশ্ন, ‘কোনও দৈত্য যদি মায়ের বুকে বসে তাঁর রক্ত পান করে, তখন সন্তান কী করতে পারে?’ এই চিঠি লেখার দায়ে এবং আলিপুর বোমা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে অরবিন্দ জেলে গেলেন। তারপর তো অরবিন্দ সাধক, চরমপন্থী অরবিন্দ তখন ভাবগত তন্ময়তা নিয়ে পণ্ডিচেরি-বাসী। ততদিনে তাঁর ভারতমাতার ধারণা আরও পরিপুষ্ট হয়েছে, বন্দেমাতরম ধ্বনিও যেন তাঁর স্বদেশি চেতনাকে তখন তৃপ্ত করতে পারছে না।

     

    আরও পড়ুন: বিজেপির পৌরসভার পার্টি ফান্ডে সরকারি অর্থ দান

     

    বইপত্র উলটে দেখা গেল বঙ্গদেশে ‘ভারত-মাতা’ শব্দটি প্রথম নিয়ে এসেছিলেন জনৈক বাসুদেব মুখোপাধ্যায়, যিনি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস ছদ্মনামে ‘ঊনবিংশ পুরাণ’ শীর্ষক একটি ব্যাঙ্গাত্মক পুস্তক রচনা করেছিলেন। বইটির প্রতিপাদ্য বিষয় সেই মুসলিম হানাদারির বিরুদ্ধে হিন্দু পুনরুত্থানবাদের প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। বস্তুত ঊনবিংশ শতকের বাংলায় ভারতমাতাকে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তাতে কিন্তু মনে হওয়া স্বাভাবিক যে, ইনি বঙ্গমাতা, দেশময় ব্যাপ্তি তাঁর নেই। বন্দেমাতরমের একটি লাইন এ প্রসঙ্গে স্মর্তব্য— ‘সপ্তকোটি কন্ঠ কল কল নিনাদ করালে।' তখন অবিভক্ত বঙ্গদেশে কিন্তু জনসংখ্যা মোটের ওপর ওই সাত কোটিই। তাছাড়া আনন্দমঠে বঙ্কিম ভারতমাতার তিনটি রূপের কথা বলছেন। দুর্গা, কালী ও জগদ্ধাত্রী। এই তিন দেবীই মূলত বাংলায় পূজিত হন। পরে যখন আনন্দমঠকে জাতীয় স্তোত্র হিসাবে গ্রহণ করা হয়, তখন এই অংশটা বাদ দেওয়া হয়।

     

     

    এই দেশে দু'জন ভারতমাতাকে এঁকেছিলেন। একজন তো অবশ্যই অবনীন্দ্রনাথ, অন্যজন মকবুল ফিদা হুসেন। প্রথমজনের ভারতমাতা তার সৌকর্যে, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রভাবে এখনও অতুলনীয়। দ্বিতীয়জনের ভারতমাতা এতই বিতর্কিত যে, সেই বিতর্কের রেশ মাথায় নিয়ে স্রষ্টাকেই দেশান্তরী হতে হয়েছিল। অবনীন্দ্রনাথের ভারতমাতা সাধ্বী। তপস্বিনীর মতো পরনে তার গেরুয়া বসন। চার হাতে কমণ্ডলু, জপমালা, বস্ত্রখণ্ড আর পুঁথি। তার মুখাবয়বে এক অদ্ভুত স্নিগ্ধতা। মাথার পিছনে জ্যোতির্বলয়। অবনীন্দ্রনাথ যে সময় ভারতমাতাকে তাঁর ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছেন, সেই সময়টায় বঙ্গদেশে রাজনৈতিক ডামাডোল চরমে উঠেছে। কার্জন সদ্য বঙ্গভঙ্গ করেছেন। স্থানে স্থানে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন চলছে। রবীন্দ্রনাথ রাখী উৎসবের মাধ্যমে সৌভ্রাতৃত্ববোধ রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই কাজে যোগ্য সঙ্গত করছেন অবনীন্দ্রনাথ। প্রসঙ্গত এই সময়ে চলা স্বদেশি আন্দোলনকে রবীন্দ্রনাথ সমর্থন করলেও, বিদেশি দ্রব্য বয়কটের সিদ্ধান্তকে তাঁর রাজনৈতিক হঠকারিতা মনে হয়েছিল। তবে স্বদেশ চেতনা না থাকলে যে স্বাধীনতা প্রাপ্তিও বৃথা যাবে, তা রবীন্দ্রনাথ আগাগোড়া বিশ্বাস করে এসেছেন। রবীন্দ্রভাবনায় অনুপ্রাণিত অবন ঠাকুরের ভারতমাতায় কি এই স্বদেশ চেতনার প্রতিফলন? অবনীন্দ্রনাথের নিরাভরণ ভারতমাতার প্রতি যেন রবীন্দ্রনাথের কাতর প্রশ্ন ধেয়ে আসে-


    ‘কেন চেয়ে আছ গো মা, মুখপানে।
    এরা চাহে না তোমারে চাহে না যে, আপন মায়েরে নাহি জানে।
    এরা তোমায় কিছু দেবে না, দেবে না মিথ্যা কহে শুধু কত কী ভাণে।'

     

    একটা শতক পেরিয়ে গেছে। এখন কারণে, অকারণে ভারতমাতার নামে জয়ধ্বনি দেওয়াই দেশপ্রেম প্রদর্শনের বাজার চলতি প্রকরণ। বিশেষত কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়েছে। মজার বিষয়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের গুরু গোলওয়ারকর কোনওদিনই ভারতমাতার ধারণায় বিশ্বাস রাখেননি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সংঘ দেশকে ‘মাতৃভূমি’ও মনে করে না। মনে করে ‘পিতৃভূমি’পিতৃত্বের মধ্যে যে বীররসের স্রোতধারা তা মাতৃত্বে কোথায়? তাই হিন্দু পুনরুত্থানবাদ সেদিনের বাংলা আর নাগপুরকে মেলালেও লিঙ্গচেতনায় একটা সূক্ষ ফারাক থেকেই যায়। যাইহোক, সংঘ মনে করে এই পিতৃভূমি অর্থাৎ ভারতবর্ষে (অখণ্ড ভারত— যার মধ্যে আজকের পাকিস্তান, বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত) যারা জন্মগ্রহণ করেছে বা করবে, তারা সবাই হিন্দু।

     

     

    স্বাধীন ভারতের অন্যতম রূপকার জওহরলাল নেহরু নিজেও ভারতমাতার ধারণার প্রতি খুব একটা শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, এমন নজির বিশেষ মেলে নাবরং স্বাধীনতা উত্তর ভারতে, এক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে, ‘ভারতমাতা কি জয়’ শুনে তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘কে এই ভারতমাতা? এই জয় তো আপনাদের সকলের। আপনাদের সকলকে নিয়েই তো ভারতমাতা পূর্ণতা পায়।' তারপর কয়েকটা দশক দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ভারতমাতার ধারণাটির গুরুত্ব কমে এল। কিন্তু নার্গিস দত্ত অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা ‘মাদার ইন্ডিয়া’র হাত ধরে ধারণাটি একটু অন্যভাবে বেঁচে রইল। ‘ভারতমাতা’ পুনরায় রাজনৈতিক মঞ্চে অবতীর্ণ হলেন নয়ের দশকে, যখন আর্যাবর্তে বিজেপি রাম-রথের ধুলো ওড়াচ্ছে, রামজন্মভূমি আন্দোলনকে একটা জঙ্গি রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। 1992-এর 6 ডিসেম্বর যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হচ্ছে, সাধ্বী ঋতম্ভরারা ‘এক ধক্কা অউর দো, বাবরি মসজিদ তোড় দো’ বলে উন্মত্ত জনতাকে মসজিদ ভাঙতে প্ররোচনা জোগাচ্ছেন, তখন সমবেত করসেবকরা চেঁচিয়ে বলছেন ‘ভারতমাতা কি জয়’এই রামজন্মভূমি আন্দোলনের হাত ধরে, উগ্র জাতীয়তাবাদে ভর করে বিজেপি আজ 2 সাংসদ থেকে 303 সাংসদ বিশিষ্ট দল। অলিম্পিকের পদক জয় থেকে পড়শি দেশে এয়ার স্ট্রাইক— যাবতীয় রাজনৈতিক উচ্ছ্বাসের জাতীয়তাবাদী টেমপ্লেট এখন ‘ভারতমাতা কি জয়’

     

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতার সৈনিক অসমের কনকলতা এবং ভোগেশ্বরী

     

    স্বাধীনতা-পূর্ব ‘বন্দেমাতরম’ বা ‘ভারতমাতা কি জয়’ ধ্বনিও বিতর্কের উর্ধ্বে ছিল না। দেশভাগের আগে ও পরে বহু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ‘আল্লা হো আকবর’-এর পাল্টা স্লোগান হিসাবে ‘ভারতমাতা কি জয়’ ব্যবহৃত হয়েছে। এমনকি অনুশীলন সমিতির মতো সেই সময়কার অনেক গুপ্ত সমিতিতে ভারতমাতার নামে শপথ নিয়ে, কপালে তিলক কেটে বিপ্লবীরা গোপন অপারেশনে যেতেন। পরে এই হিন্দু পুনরুত্থানবাদী ধারা স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলস্রোতে মিশে যায়, অন্তত দেশভাগের আগে পর্যন্ত। এক্ষেত্রে গান্ধী একটা বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে অবনীন্দ্রনাথের ভারতমাতা আর আজকের সিংহারূঢ়, স্বর্ণাভরণে সুসজ্জিত, পতাকাবাহী ভারতমাতার মধ্যে সবদিক থেকেই ব্যবধান লক্ষ যোজন। অবন ঠাকুরের ভারতমাতা বাংলার সমসাময়িক হিন্দু পুনরুত্থানবাদের মধ্যেও এক বিশিষ্ট স্থান করে নিয়েছিল, যাকে কোনও ধর্মীয় উগ্রতা গ্রাস করতে পারেনি। আজকের ভারতমাতার মধ্যে বিশেষ কোনও শিল্পগুণ নেই। এই ভারতমাতা পুরোদস্তুর রাজনৈতিক। একটি বিশেষ মতাদর্শের উদ্দেশ্য সিদ্ধ করার জন্যই যেন এই ‘ভারতমাতা’ ব্যবহৃত হন, দেশের বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্যের প্রতিফলন ধরা দেয় না এই ভারতমাতার মধ্যে। সভ্যতা সৃষ্টির গোড়ার দিন থেকে এই ভারতভূমি যে মুক্তির পথের সন্ধান করে গেছে, ত্যাগের যে দর্শনকে সামনে রেখে পথ হেঁটেছে, তার সবকিছুর মূর্ত অবয়ব যেন অবনীন্দ্রনাথের ভারতমাতা। এই তেলরঙা ভারতমাতাকে ছাড়া একশো ত্রিশ কোটি মানুষের এই দেশকে চেনা অসম্ভব।


    বিতান ঘোষ - এর অন্যান্য লেখা


    কালো চামড়ার মানুষদের ওপর অত্যাচারের যে সুদীর্ঘ দলিল, তাতে জর্জ ফ্লয়েডের নামটা নতুন সংযোজন মাত্র।

    মাথা মুড়িয়ে গায়ে স্যানিটাইজার দিয়ে দলে ফেরানোর সংস্কৃতি কিন্তু একদিন ব্যুমেরাং হতে পারে

    সমাজের প্রান্তিক মানুষদের অধিকার রক্ষায় পার্থ সারথি বরাবরই সরব।

    ছিন্নমূলের দেশ নেই, সমাজ নেই, আছে জেদ আর কল্যাণকামী রাষ্ট্রের তাচ্ছিল্য ও করুণা।

    নিছক খাওয়া-পরা নয়, দুর্গতদের পড়াশোনা আর স্বাস্থ্যেও সমান নজর দিতে চাইছে ‘জোনাকি’।

    রাজবংশী ভোটই বিজেপির প্রাপ্তি, বিয়োগের খাতায় মতুয়া ও আদিবাসী ভোট।

    তপস্বিনী আদি ভারতমাতা তেজস্বিনী রণরঙ্গিনী নন-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested