মেয়েদের সন্ত্রস্ত করে রাখতে ধর্ষণকে ব্যবহার করে বাংলার পুরুষকুল বিকৃত পৌরুষকে যেন অস্ত্রে পরিণত করেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু করে রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা যেমন ভয়াবহ তেমনই লজ্জাজনক।
এই রকম বেশ কিছু ঘটনায় দেখা যাচ্ছে ধর্ষণকারীর পিছনে যেন তার পরিবার এবং স্যাঙাতদের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে, যারা গিয়ে আবার আক্রান্তের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। স্থানীয় পুলিশও যেন অভিযুক্তদেরই প্রচ্ছন্ন মদত দিচ্ছে। তারা যেভাবে কেস নিতে দেরি করছে এবং দ্রুত কার্যকর তদন্ত শুরু করছে না তা অমার্জনীয় অপরাধ। নদীয়ার হাঁসখালিতে ধর্ষিতা নাবালিকার দেহ অতি-তৎপরতার সঙ্গে দাহ করে দেওয়া হল যাতে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য জরুরি তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে যায়।
কলকাতা হাইকোর্ট হাঁসখালি গণধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে দিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, উত্তর 24 পরগণার মাটিয়ার (বসিরহাট) নাবালিকা ধর্ষণ, ওই জেলারই দেগঙ্গার নাবালিকা ধর্ষণ, মালদার ইংরেজবাজারের নাবালিকা ধর্ষণ এবং বাঁশদ্রোণী ধর্ষণের তদন্ত প্রক্রিয়ায় নজরদারির জন্য কলকাতা পুলিশের বিশেষ কমিশনার দময়ন্তী সেনকে নিযুক্ত করেছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:আহা রে, প্রেমের ধর্ষণ!
ধর্ষকরা নাবালিকা ধর্ষণের মতো ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও, এমনকি এই সব নৃশংস অপরাধে তাদের যুক্ত থাকার প্রমাণ জনসমক্ষে উঠে এলেও তারা তাদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে সামাজিক নিরাপত্তা পাচ্ছে। তার মানে আমাদের সমাজ আর রাষ্ট্রব্যবস্থা এই বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে যে প্রশাসন এবং শাসক দল শিশু কন্যা ও মহিলাদের উপর জঘন্য অত্যাচার বিন্দুমাত্রও সহ্য করব না, যাকে বলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করবে।
এই পশ্চিমবঙ্গে মেয়েরা, শিশুকন্যারা আদৌ কি নিরাপদ? এই রাজ্যে কি ধর্ষণকারীদের বিকৃত পৌরুষকে সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? যে সমাজে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে এবং ধর্ষকও বাস করে, সেখান থেকে এই দাবি কেন উঠছে না যে পশ্চিমবঙ্গকে মহিলাদের জন্য নিরাপদ রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পালন করুক।
মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যের একাধারে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটেন। তিনি কি নাবালিকাদের বিপদের আশঙ্কা বেশি এমন জায়গায় পুলিশকে বাড়তি টহল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন? একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার পরেও রাজ্যের শাসকদল হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসও কি এই সব ঘটনায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করার কথা কোনও সভা সমাবেশে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছে? তা যদি না করে থাকে তবে বুঝতে হবে ধর্ষকদের সামাজিক আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচ্ছন্ন ভূমিকা আছে। রামমোহন বিদ্যাসাগরের ঐতিহ্যবাহী আজকের পশ্চিমবঙ্গে নারীর তুলনায় পুরুষই বেশি নিরাপদ ও সুরক্ষিত!
বিচিত্র বেশভূষায় স্টেজে উঠে অকিঞ্চিৎকর প্রকল্পের উদ্বোধন করে নিজেকে হাস্যকর করে তুলছেন প্রধানমন্ত্রী
গরিব হিন্দুরা গৃহহীন হলেও বিজেপির কিছুই যায় আসে না, যদি মন্দির ভাঙা নিয়ে রাজনীতির ফায়দা ওঠানো যায়।
গণধর্ষণ ও নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তরাও পরিবার আর সহযোগীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সমর্থন পাচ্ছে আজকের বাং
জাতীয় স্তরে বিজেপিই সিপিএমের প্রধান প্রতিপক্ষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস শাসনের বাস্তবতায় রাজ্য
একদিকে হিন্দুত্ববাদী অ্যাজেন্ডা, অন্যদিকে বিশ্বের কাছে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় মোদী সরকার।
মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্টে দেড়শো বছরের পুরানো দেশদ্রোহ আইন বজায় রাখার পক্ষ সওয়াল করছে