নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়াকে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আটকে দেওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত লড়াই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। তারই প্রথম ধাপ হিসাবে বুধবার 12 মে দেশের 12টি দলের শীর্ষ নেতারা একযোগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে করোনা মহামারীর মোকাবিলায় নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করতে চাপ দিয়েছেন।
এই চিঠিতে কংগ্রেসের সনিয়া গাঁধী, তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপির শরদ পওয়ার, জেডিএস-এর দেবগৌড়া, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, ডিএমকে-র এমকে স্ট্যালিন, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন, কাশ্মীরের ফারুক আবদুল্লাহ, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, আরজেডি-র তেজস্বী যাদব, সিপিআই-এর ডি রাজা এবং সিপিএম-এর সীতারাম ইয়েচুরি স্বাক্ষর করেছেন। লক্ষ্যণীয়, এঁদের মধ্যে চারজন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড) রয়েছেন। করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার যে কোনও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে তাঁরা ন’টি নির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়ে সেগুলো অবিলম্বে কার্যকর করতে বলেছেন। সেই পরামর্শগুলো বা দাবিগুলো হল: 1) যেভাবে হোক, দেশের ভিতর থেকে বা বাইরে থেকে করোনার টিকা জোগাড় করে 2) অবিলম্বে দেশ জুড়ে সব মানুষের জন্য বিনামূল্যে টিকাদানের কর্মসূচি শুরু করতে হবে। 3) দেশে টিকা উৎপাদনের বিকেন্দ্রীকরণ করতে লাইসেন্স চালু করতে হবে। 4) টিকার জন্য 35,000 কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। 5) নয়াদিল্লির কেন্দ্রস্থলে মোদী সরকার যে সেন্ট্রাল ভিস্তা (যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নতুন বাসভবন ও নতুন সংসদ ভবন তৈরির কথা রয়েছে) নির্মাণ যজ্ঞ শুরু করেছে, তা বন্ধ করতে হবে। সেই অর্থ অক্সিজেন ও টিকা সংগ্রহ করতে বরাদ্দ করতে হবে। 6) পিএম কেয়ারস ফান্ড সহ যাবতীয় ফান্ডের সব টাকা (যেগুলি অডিটের বাইরে) দিয়ে টিকা, অক্সিজেন এবং করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। 7) করোনা কালে কাজ হারানো সবাইকে মাসে 6,000 টাকা করে দেওয়া হোক। 8) যারই দরকার হবে, তাকেই বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দিতে হবে। (সরকারের গুদামগুলিতে এখন এক কোটি টনের বেশি খাদ্যশস্য পচে নষ্ট হচ্ছে। 9) লক্ষ লক্ষ কৃষক এই মহামারীর মধ্যেও চাষ করে দেশবাসীকে খাবার জোগান দিচ্ছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে তিন কৃষি আইন বাতিল করা হোক।
এই চিঠির গোড়াতেই প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগে বহুবার বিরোধী দলগুলি আলাদা আলাদা ভাবে এই সব পরামর্শ দিলেও কেন্দ্র তা উপেক্ষা করেছে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে অবিলম্বে এই সব পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। না মানলে কী হবে তা স্পষ্ট করে না বললেও চিঠির সুর থেকে বোঝা যায়, এটা একটা চরমপত্র।
দেশের প্রায় সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এইবার একযোগে পদক্ষেপ করতে শুরু করায় মোদী সরকার এবং বিজেপি যথেষ্ট চাপে পড়তে চলেছে বলেই মনে হয়।
ইতিহাস বলে কোনও একটি ভাষাকে চাপিয়ে দিয়ে দেশে ঐক্যপ্রতিষ্ঠা করা যায়নি।
তীজন বাঈ ও তাঁর উত্তরসূরী সীমা ঘোষের পাণ্ডবাণী মহাভারতের গল্পই বলে
দলের ভিতরকার সমালোচনা ও বিরোধী স্বরকে গুরুত্ব দিতে হবে বামপন্থার নতুন দিশার সন্ধানে
রাশিয়া এবং পশ্চিমি দুনিয়া, দুপক্ষই আসলে ভাবের ঘরে চুরি করছে!
বলশেভিক বিপ্লবের পর ধর্মের পীড়নের ইতিহাসের চাকা ঘুরে গিয়ে এখন ধর্মকে ব্যবহার করেই রুশজাতীয়তাবাদউস্ক
মোদীর দীপাবলী দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।