×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • আল্লাহ্ আর্মি আর আমেরিকা সকলেই বিরূপ ইমরানের প্রতি?

    প্রণয় শর্মা | 04-05-2022

    নিজস্ব ছবি

    প্রতিটি পূর্বসূরীর মতো তাঁকেও পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করার আগেও সরে যেতে হল। বা সরিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু দেশের জনপ্রিয়তম আইকন, বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্যাপ্টেন ক্রিকেট সুপারস্টার ইমরান খানকে কি অত সহজে পাকিস্তানের জনমানস থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে?

    সম্ভবত না।

    গত 10 এপ্রিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটে হেরে গিয়ে ইমরান খানের সরকার গদিচ্যুত হয়েছে। তারপরে তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অসংখ্য মানুষ ইমরানের পাকিস্তান তহরিক ই ইনসাফ দলের লাল-সবুজ পতাকা ও ব্যানার নিয়ে ইমরানের জনসভায় ভিড় করছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরের রাস্তা ভিড়ে অচল করে  দিয়ে তাঁর সরকারকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছেন

    ক্রিকেটের সুবাদে জনপ্রিয় নায়ক ইমরান 2018 সালের নির্বাচনে "নয়া পাকিস্তান" গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুলভাবে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নয়া পাকিস্তানে সবাই  ন্যায় পাবেন ও রোজগারের সুযোগ পাবেন বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সরকারের আরও 16 মাস মেয়াদ থাকতেই তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল

    বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ পাকিস্তানে 22 কোটি মানুষের বাস। আবার এই দেশেই রয়েছে পরমাণু অস্ত্রের বেশ বড়সড় ভাণ্ডার। কিন্তু পাকিস্তানের 75 বছরের ইতিহাসের অর্ধেক সময়েই সেদেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান সেনাবাহিনীই ক্ষমতায় থেকেছে। এ পর্যন্ত পাকিস্তানের নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও সরকারের মেয়াদের পুরো সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেননি

    এটা বলা হয় যে আর্মি, আল্লা ও আমেরিকা (অবশ্যই এই ক্রমানুসারে নয়) এই তিনে মিলে পাকিস্তানকে চালায়। সরকার চালাতে এই ত্রয়ীর আশীর্বাদ থাকতে হবে। মনে হচ্ছে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা ভোটের সামনে পড়ার অনেক আগেই ইমরান এই ত্রয়ীর আশীর্বাদ হারিয়ে ফেলেছিলেন

    এটা ঠিক যে বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই ইমরান সেনাবাহিনীর সমর্থন খুইয়ে বসেন। কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে তিনি স্পষ্টতই আমেরিকার উপর দোষ চাপিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তানের জন্য একটা নিজস্ব ও স্বাধীন বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করার জন্যই তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। রাশিয়ার ট্যাঙ্ক যে দিন ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে সেদিনই ইমরান মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যা কিনা অবশ্যই ইমরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার রাগের একটা কারণ। ইমরানের ওই সময়েই রাশিয়া সফর দেখে মনে করা হচ্ছিল যে পাকিস্তান রাশিয়ার তরফে তার প্রতিবেশী দেশে আক্রমণ করাকে অনুমোদন করছে।  

     

    আরও পড়ুন:ফ্রান্সে ভোটে উদারপন্থার জয়

     

    ইমরানের বিদায়ের পর মুসলিম লিগ (এন) নেতা শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী করে পাকিস্তানে যে সরকার গঠন করা হয়েছে, তাতে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। একটা সময় পর্যন্ত যে সব দল একে অপরের প্রবস প্রতিপক্ষ ছিল, তাদের অনেকেই এখন জোট সরকারে যোগ দিয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আততায়ীর হাতে নিহত বেনজির ভুট্টোর পুত্র এবং জেনারেল জিয়ার আমলে ফাঁসিতে প্রাণ দেওয়া জুলফিকার আলি ভুট্টোর পৌত্র পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পি পি পি) নেতা বিলাওল ভুট্টোও সরকারে অংশ নিয়েছেন। নতুন এই সরকার এখন সেনাবাহিনীর সমর্থন পাচ্ছে এবং সেনাবাহিনী মনে করছে ইমরানের আমলে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছিল, এই সরকার তা থেকে আবার আমেরিকার সঙ্গে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক আবার জোড়া লাগাতে পারবে

    ইমরানও 2018 সালে ক্ষমতায় আসার সময়ে সেনাবাহিনীর সমর্থন পেয়েছিলেন। ততদিনে পূর্বতন নওয়াজ শরিফ সরকার সেনাবাহিনীর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। এই নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফই নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। শাহবাজকে গদিতে বসানোর সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রাজনীতি ঘুরেফিরে আগের জায়গায় ফিরে এল

    ইমরানকে সেনাবাহিনীর সমর্থন করার একাধিক কারণ ছিল। প্রথমত, ক্রিকেট দুনিয়ার নায়ক হিসাবে ইমরান পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্মের নয়নের মণি দ্বিতীয়ত, তাঁর দুর্নীতিমুক্ত সৎ ভাবমূর্তির জন্য সাধারণ দেশবাসীর সমর্থনও তাঁর সঙ্গে ছিল। পাকিস্তানের পূর্বতন দুই রাষ্ট্রপ্রধান নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ইমরানকে আনাই হয়েছিল এই আশায় যে ক্ষমতায় এসে তিনি গোটা প্রশাসনকেই দুর্নীতিমুক্ত করবেন। সেনাবাহিনী তখন মনে করেছিল যে ইমরান ক্ষমতায় এসে সরকারকে শিল্প বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ উপহার দিতে পারবেন, ফলে, বিদেশি বিনিয়োগ এসে দেশের অর্থনীতিকে বর্তমান বেহাল অবস্থা থেকে ফেরাতে পারবে। এখন তো বেশ কিছু বছর ধরেই পাকিস্তানকে আই এম এফ (আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার) এর দেওয়া ঋণ সাহায্য ও আরব দুনিয়া থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে কোনও রকমে চালাতে হচ্ছে

    তবে এ সব সমস্যা থাকলেও সেনাবাহিনীর কাছে অক্সফোর্ডে শিক্ষিত ইমরানের প্রধান  মৈত্রীসম্পর্ক গড়ে ওঠার আসল রসায়নটা ছিল অন্যখানে। সেনাবাহিনী মনে করেছিল, আমেরিকা যে গত কয়েক বছরে পাকিস্তানকে ছেড়ে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের দিকে অনেকটা ঝুঁকে পড়েছে, সেখান থেকে ইমরান আমেরিককে আগের মতো পাকিস্তানের কাছে টেনে আনতে পারবেন

    পাকিস্তানের জন্ম এবং ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর কিন্তু দুই দেশের সঙ্গেই আমেরিকার সর্বোচ্চ স্তরে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু 1949 সালেই আমেরিকা সফরে যান। সেখানে তিনি 23 দিন থাকেন। পাক প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি আমেরিকা সফরে আসেন 1950 সালে। তিনিও 23 দিন ছিলেন। কিন্তু এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতি আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু এক হয়নি। নেহরুকে নিয়ে আমেরিকা যথেষ্ট হতাশ হয়েছিল কারণ, নেহরু আমেরিকা ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে এক পক্ষকে বেছে নিতে রাজি হননি। অন্যদিকে লিয়াকত আলি স্পষ্টতই আমেরিকার দিকে ঝুঁকে ছিলেন। পরবর্তী বছরগুলিতে পাকিস্তান আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক জোটে যুক্ত হয় এবং আমেরিকাও ভারতের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার উপযুক্ত করে পাকিস্তানকে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করে চলে

     

    1972 সাল আমেরিকা ও চিনের কাছাকাছি আসার জন্য একটা বোঝাপড়ার প্রক্রিয়ার সূচনাপর্বে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে যোগাযোগের সেতু হিসাবে পাকিস্তান সক্রিয় সাহায্য করে। এর পর থেকে আমেরিকার কাছে পাকিস্তানের গুরুত্ব বাড়তে থাকে। 1979 সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগাননিস্তান দখল করার পর রুশ সেনাবিহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত মুজাহিদিনদের কাছে আমেরিকা থেকে পাঠানো সমরাস্ত্র ও অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজেও পাকিস্তান বিশেষ ভূমিকা পালন করে। 9/11 ঘটে যাওয়ার পর কাবুলের তালিবান সরকারকে সরাতে আফগানিস্থান আক্রমণ করার সময় আমেরিকা আবারও পাকিস্তানের সাহায্য নেয়

    এভাবে আমেরিকার মিত্র হিসাবে নানা সাহায্য পেয়ে চলার মধ্যেই এশিয়ায় ভারত ও চিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এমন কিছু ঘটনা ঘটতে শুরু করে যার জের গিয়ে পড়ে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের মৈত্রী সম্পর্কের উপর

    আজকের পাকিস্তানে চিনের ভূমিকা

    পাকিস্তানের পূর্বতন রাষ্ট্রপ্রধানদের মতোই ইমরানও চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের গভীর এবং একই সঙ্গে গোপন বন্ধুত্বের সম্পর্ককে রক্ষা করে চলছিলেন। ইতিমধ্যেই চিন তার Belt and Road Intitative programme (লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার অনেকগুলি দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য চিনের প্রকল্প) শুরু করে। এর আওতায় পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণে 6000 কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে। এ ভাবে পাকিস্তানের মুমুর্ষু অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা ছাড়াও চিন পাকিস্তানের সামরিক সরঞ্জামের চাহিদার একটা বড় অংশ মিটিয়ে থাকে। উপরন্তু চিনের হাতে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার মঞ্চে পাকিস্তানকে বারবার কোনঠাসা করার চেষ্টা হয়েছে। এই ধরনের যে কোনও চেষ্টাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন ভেটো প্রয়োগ করে ঠেকিয়ে দিয়ে চলেছে

    অতীতে ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তার আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার অন্তরায় হয়নি। তখন চিনের সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্ক ক্রমশই খারাপ হচ্ছিল। কিন্তু ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসানে চিনই এখন বিশ্বে আমেরিকার প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটায় আমেরিকার দিক থেকে ভারতের কাছাকাছি আসার আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনের আগ্রাসী ভূমিকাকে রুখতে মার্কিন রণনীতির মধ্যে ভারত ভালেই খাপ খেয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই, ভারত ও আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এই সম্পর্কের প্রতিটি অগ্রগতির দিকে পাকিস্তান উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছে

     

    পাকিস্তান এখন ভেবে উঠতে পারছে না কী করে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রেখেই আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করা যায়। আমেরিকা থেকে অর্থ সাহা্যের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ভারতের সঙ্গে অস্ত্র দৌড়ে পাকিস্তান অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।  ভারত যখন আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করে তার অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে, পাকিস্তান সেখানে তার সঙ্গে পাল্লা দিতে মরিয়া হয়ে চিনের উপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ইমরানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সম্পর্ক খারাপ হওয়ার একটা কারণ পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার চাকরির মেয়াদ বাড়াতে ইমরানের রাজি না হওয়া এবং তাঁর প্রার্থীকে আই এস আই এর শীর্ষে বসানোর প্রস্তাবে সায় না দেওয়া। আবার ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় ইমরানের মস্কো যাত্রাকেও সেনাবাহিনী ভালেভাবে নেয়নি

    অন্যদিকে, আফগানিস্তান নিয়েও পাকিস্তানের হিসাবে ভুল হয়ে গেছে। পাকিস্তান ভেবেছিল আফগানিস্তান দিয়ে তারা মধ্য এশিয়ার বাজার ধরতে পারবে। কিন্তু এতদিন মদত দেওয়া তালিবানরা এখন বিরাট সমস্যার বোঝা হয়ে উঠেছে। উপরন্তু, সে দেশে আইনশৃঙ্খলার এমন ডামাডোল চলছে যে পাকিস্তান ভারতের কাছ থেকে গম ও ওষুধ নিয়ে আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে। তালিবানদের সব রকম মদত দিয়ে আমেরিকাকে আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য করা এবং পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদে ওসামা বিন লাদেনের লুকিয়ে থাকা (সেখানেই মার্কিন বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করে) আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির অন্তরায় হয়ে রয়েছে

    এখন আর্থিক দিক থেকে বিপর্যস্ত পাকিস্তান মরিয়া হয়ে আবারও আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আই এম এফ) কাছে ঋণ চেয়ে হাত পাতছে। কিন্তু আমেরিকার ফরমান, আই এম এফ থেকে ঋণ নিয়ে চিনা ঋণ শোধ করা চলবে না। একই সঙ্গে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার আগে তারা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কী রকম ব্যবস্থা নেয়, সেটাও দেখা হচ্ছে

    এই অবস্থায় পারিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের প্রধান কাজই হল আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ককে কী করে আগের মিত্রতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই রাস্তা বার করা। উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধে সক্রিয় হওয়া নিশ্চয়ই দরকার। এটাও প্রাসঙ্গিক যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন পাক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন

    কিন্তু পাকিস্তানের পক্ষে আমেরিকার কাছে পৌঁছতে পারাটাই অগ্রাধিকার। কারণ, দেশের অর্থনীতির সঙ্কটজনক অবস্থা তো রয়েছেই, অন্যদিকে সেনাবাহিনীও নজর রাখছে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোথায় যায় সেদিকে। অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য না হলে কিন্তু আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী অন্য কোনও প্রার্থীকে খুঁজে নিতে পারে।

     


    প্রণয় শর্মা - এর অন্যান্য লেখা


    পশ্চিমি দুনিয়া ইউক্রেনকে যে সব অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিচ্ছে তাতে যুদ্ধ সহজে থামবে না।

    ইউরোপে সঙ্কটময় পরিস্থিতির মধ্যে অতি দক্ষিণপন্থী রক্ষণশীলদের হারিয়ে প্রেসিডেন্ট মাকরঁর জয়।

    আমেরিকা এবং সেনাবাহিনীর উপর নির্ভরতা কমিয়ে স্বাধীন বিবেচনা অনুসারে চলার মাশুলই দিতে হল পাকিস্তানকে

    আল্লাহ্ আর্মি আর আমেরিকা সকলেই বিরূপ ইমরানের প্রতি?-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested